ঢাকা ০১:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের শিকার তরুণীর আদালতে জবানবন্দি

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:৩৩:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪ ২৮১ বার পড়া হয়েছে

ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ ছবি: সংগৃহীত

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বৃহস্পতিবার মামলা রেকর্ড হলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ প্রধান আসামি উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদসহ ৭ জনের কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি

ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের শিকার তরুণী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

জানা গিয়েছে, খুলনার বহু আলোচিত ধর্ষণ ও অপহরণের শিকার সেই তরুণী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডুমুরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মুক্ত রায় চৌধুরী তাকে আদালতে হাজির করেন। জবানবন্দি শেষে তরুণীকে মায়ের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (৮ মার্চ) বিকাল ৫টা নাগাদ খুলনা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক রওনক জাহান তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন।

গত বৃহস্পতিবার মামলা রেকর্ড হলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ প্রধান আসামি উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদসহ ৭ জনের কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

উপজেলা চেয়ারম্যান ছাড়াও এ মামলার অন্য আসামিদেও তালিকায় রয়েছে, এজাজ আহমেদের চাচাতো ভাই রুদাঘরা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদুজ্জামান, গাজী আবদুল হক, আল আমিন গাজী, আক্তারুল আলম, সাদ্দাম গাজী ও মো. ইমরান হোসাইন।

এছাড়াও অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকাল ৫টা থেকে রাত ৭ পর্যন্ত দুই ঘণ্টা ধরে ভুক্তভোগী তরুণী খুলনা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক রওনক জাহানের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে ভুক্তভোগী তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ এবং হাসপাতাল থেকে উঠিয়ে নিয়ে নির্যাতন ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের বর্ণনা দেন। জবানবন্দি রেকর্ড হওয়ার পর আদালত ভুক্তভোগীকে মায়ের কাছে পৌঁছে দেন।

ডুমুরিয়া থানার ওসি সুকান্ত কুমার সাহা জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে আদালতের নির্দেশ থানায় আসার পর রাতেই মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে।

মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওসি (তদন্ত) মুক্ত রায় চৌধুরীকে। তিনি জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের শিকার তরুণীর আদালতে জবানবন্দি

আপডেট সময় : ০৯:৩৩:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪

 

বৃহস্পতিবার মামলা রেকর্ড হলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ প্রধান আসামি উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদসহ ৭ জনের কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি

ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের শিকার তরুণী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

জানা গিয়েছে, খুলনার বহু আলোচিত ধর্ষণ ও অপহরণের শিকার সেই তরুণী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডুমুরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মুক্ত রায় চৌধুরী তাকে আদালতে হাজির করেন। জবানবন্দি শেষে তরুণীকে মায়ের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (৮ মার্চ) বিকাল ৫টা নাগাদ খুলনা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক রওনক জাহান তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন।

গত বৃহস্পতিবার মামলা রেকর্ড হলেও এখন পর্যন্ত পুলিশ প্রধান আসামি উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদসহ ৭ জনের কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

উপজেলা চেয়ারম্যান ছাড়াও এ মামলার অন্য আসামিদেও তালিকায় রয়েছে, এজাজ আহমেদের চাচাতো ভাই রুদাঘরা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদুজ্জামান, গাজী আবদুল হক, আল আমিন গাজী, আক্তারুল আলম, সাদ্দাম গাজী ও মো. ইমরান হোসাইন।

এছাড়াও অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকাল ৫টা থেকে রাত ৭ পর্যন্ত দুই ঘণ্টা ধরে ভুক্তভোগী তরুণী খুলনা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক রওনক জাহানের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে ভুক্তভোগী তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ এবং হাসপাতাল থেকে উঠিয়ে নিয়ে নির্যাতন ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের বর্ণনা দেন। জবানবন্দি রেকর্ড হওয়ার পর আদালত ভুক্তভোগীকে মায়ের কাছে পৌঁছে দেন।

ডুমুরিয়া থানার ওসি সুকান্ত কুমার সাহা জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে আদালতের নির্দেশ থানায় আসার পর রাতেই মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে।

মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওসি (তদন্ত) মুক্ত রায় চৌধুরীকে। তিনি জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।