ঢাকা ০৪:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জুড়ীতে ডিবি হাতে ৪১০ ইয়াবাসহ ০১ জন আটক  Logo কিশোরগঞ্জে নিকলী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারও মাদক নির্মূলে সংবাদ সম্মেলন করছেন  Logo ঝিনাইদহে ভয়াবহ আগুনে পড়ল দুটি ট্রাক Logo পলাশবাড়ীতে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি রবি গ্রেফতার Logo ডামুড্যায় জাকের পার্টি মৎস্যজীবী ফ্রন্টের দাওয়াতি মিশন সভা অনুষ্ঠিত Logo বিএমএসএস ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ফিরোজ এর আগমণে সিলেট জেলা ২০৯৭ শ্রমিক জোটের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক প্রদান Logo নাটোরে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ: যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড Logo ছাত্রনেতা পারভেজ হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে তিতাস উপজেলা ছাত্রদল  Logo নেত্রকোণার কলমাকান্দায় অবৈধভাবে জমি বিক্রয়ের সাইনবোর্ড টাঙানোর অভিযোগ  Logo ভবদহ জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানে তিন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার পরিদর্শন

ঢাকায় নারী চক্র! বিত্তবানদের অপহরণ করতো তারা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৪০:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪ ৪৩৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

পরিকল্পিত ছক। টার্গেট বিত্তিবান পুরুষ। কৌশলে প্রলোবন, তারপর সুবিধামতো সময়ে অপহরণ! মুক্তিপন আদায়েও তাদের ছিলো ভিন্ন কৌশল। মুক্তিপণ আদায় করা হতো ক্রিপ্টোকারেন্সিতে। জড়িত ৬ জন আটকা পড়ে গোয়েন্দা জালে। তাদের দু’জন নারী সদস্য।

ঢাকায় অপহরণের শিকার এক ব্যক্তিকে উদ্ধারের ওঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। লিটন মিয়া নামের এক ব্যবসায়ীকে ১০দিন আগে ঢাকা থেকে অপহরণ করা হয়। লিটনকে উদ্ধারে শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতে মাঠে নামে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি বিশেষ দল।

তারা ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান লিটন মিয়াকে উদ্ধার এবং জড়িত ৪ অপহরণকারীকে আটক করে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মা-মেয়েকে আটক করা হয়। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, অপহরণকারীরা নারীদের দিয়ে ফাঁদ পেতে অপহরণ করে আসছিলো। লিটনের বেলায়ও তাই ঘটেছিলো।

কোন ঘটনার পর সেসময় ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সেট ঘটনাস্থল থেকে বহু দূরে কোথাও ফেলে দিতো। চক্রের মূল হোতা জুয়েল রানা একজন দাগী অপরাধী। যে কীনা নিজের শ্বশুড়কে হত্যার মধ্যদিয়ে হাত পাকিয়েছে। জুয়েল রানার বিরুদ্ধে এখন ১৮টি মামলা।

জুয়েল রানা ৩০টি অপহরণের সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে স্বীকার করেছে। মুক্তিপণের টাকা আদায় করতো ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে। আর অপহরণের টার্গে ছিলো ধনাঢ্য ব্যক্তি। সেই কাজটি করানো হতো নারীদের দিয়ে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ সংবাদমাধ্যকে জানিয়েছেন, জুয়েল রানার বাড়ি নবীনগর। আন্ডারওয়ার্ল্ডের একজন গডফাদার হিসেবে পরিচিত। যে কিনা প্রথমে শ্বশুরকে হত্যা করে পানিতে ভাসিয়ে দিয়েছিলো।

হারুন অর রশিদ বলেন, এবার লিটন মিয়া নামে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। যেটা চাওয়া হয় ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে।

আদায়কৃত মুক্তিপণের টাকার মধ্যে ৪ লাখ টাকার ডলার পাঠিয়ে দেয়া হয় দুবাইয়ে রিফাত নামে একজনের কাছে। আর জুয়েল রানা নিয়ে নেন ৬ লাখ টাকা। এর আগেও এই চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করেছিলো গোয়েন্দা পুলিশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঢাকায় নারী চক্র! বিত্তবানদের অপহরণ করতো তারা

আপডেট সময় : ০৫:৪০:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ মার্চ ২০২৪

 

পরিকল্পিত ছক। টার্গেট বিত্তিবান পুরুষ। কৌশলে প্রলোবন, তারপর সুবিধামতো সময়ে অপহরণ! মুক্তিপন আদায়েও তাদের ছিলো ভিন্ন কৌশল। মুক্তিপণ আদায় করা হতো ক্রিপ্টোকারেন্সিতে। জড়িত ৬ জন আটকা পড়ে গোয়েন্দা জালে। তাদের দু’জন নারী সদস্য।

ঢাকায় অপহরণের শিকার এক ব্যক্তিকে উদ্ধারের ওঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। লিটন মিয়া নামের এক ব্যবসায়ীকে ১০দিন আগে ঢাকা থেকে অপহরণ করা হয়। লিটনকে উদ্ধারে শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতে মাঠে নামে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি বিশেষ দল।

তারা ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান লিটন মিয়াকে উদ্ধার এবং জড়িত ৪ অপহরণকারীকে আটক করে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মা-মেয়েকে আটক করা হয়। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, অপহরণকারীরা নারীদের দিয়ে ফাঁদ পেতে অপহরণ করে আসছিলো। লিটনের বেলায়ও তাই ঘটেছিলো।

কোন ঘটনার পর সেসময় ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সেট ঘটনাস্থল থেকে বহু দূরে কোথাও ফেলে দিতো। চক্রের মূল হোতা জুয়েল রানা একজন দাগী অপরাধী। যে কীনা নিজের শ্বশুড়কে হত্যার মধ্যদিয়ে হাত পাকিয়েছে। জুয়েল রানার বিরুদ্ধে এখন ১৮টি মামলা।

জুয়েল রানা ৩০টি অপহরণের সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে স্বীকার করেছে। মুক্তিপণের টাকা আদায় করতো ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে। আর অপহরণের টার্গে ছিলো ধনাঢ্য ব্যক্তি। সেই কাজটি করানো হতো নারীদের দিয়ে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ সংবাদমাধ্যকে জানিয়েছেন, জুয়েল রানার বাড়ি নবীনগর। আন্ডারওয়ার্ল্ডের একজন গডফাদার হিসেবে পরিচিত। যে কিনা প্রথমে শ্বশুরকে হত্যা করে পানিতে ভাসিয়ে দিয়েছিলো।

হারুন অর রশিদ বলেন, এবার লিটন মিয়া নামে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। যেটা চাওয়া হয় ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে।

আদায়কৃত মুক্তিপণের টাকার মধ্যে ৪ লাখ টাকার ডলার পাঠিয়ে দেয়া হয় দুবাইয়ে রিফাত নামে একজনের কাছে। আর জুয়েল রানা নিয়ে নেন ৬ লাখ টাকা। এর আগেও এই চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করেছিলো গোয়েন্দা পুলিশ।