ঢাকা ০৮:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo দাড়ি-গোঁফ ফেলে ভারতে পালানোর সময় শ্যামল দত্ত ও মোজাম্মেল বাবু Logo ফরিদপুরে কালি মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর, ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার Logo ইলিশ রপ্তানি না করে ভারতের বাঙালিদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে! বেহিসাবী মন্তব্য কেন? Logo ঢাকার যানজট নিরসনের উপায় খুঁজতে পুলিশ ও বিশেষজ্ঞদের নির্দেশনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা Logo স্বজনপ্রীতির অনন্য উচ্চতার স্বাক্ষর রাখলেন সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী Logo তৌহিদের মহান বাণী নিয়ে এসেছিলেন মহানবী (সা.) : বাংলাদেশ ন্যাপ Logo ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে তারেক রহমানের বিবৃতি Logo পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) Logo প্রধান উপদেষ্টার সেনাসদর পরিদর্শন Logo শিশু ধর্ষণকাণ্ডে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

ঢাকায় সাড়ে চারশ’ বছরের ঐতিহ্যবাহী ইফতার বাজার

আমিনুল হক ভূইয়া
  • আপডেট সময় : ০৬:০১:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪ ৩০৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ঢাকায় সাড়ে চারশ’ বছরের ঐতিহ্যবাহী ইফতার বাজার। যা কিনা মোগল আমল থেকে চলে আসছে। এটি চকবাজার নামেই খ্যাত। এখানেই মোগল আমলের খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা। হাকডাকে চারিদিক মুখরিত হয়ে ওঠে।

পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম দিন মঙ্গলবার। সময় দুপুর আড়াইটা। ঢাকার চকবাজারে পা রাখতেই দেখা গেলো ইফতার বাজার লোকারণ্য। হাজার রকমের ইফতার। কি নেই চকবাজারের ইফতার বাজারে?

মানব মিছিল ঠেলে ধীরে ধীরে সামনে এগিয়ে যেতে যেতে কানে ভেসে আসে ‘বড় বাপের পোলায় খায়, ঠোঙ্গা ভরে নিয়ে যায়। খাসির রান (লেক রোস্ট) থেকে শুরু করে আস্ত পায়েল ও মুরগীর রোস্ট, কাবার, সূতি কাবার, দৈ বরা, শরবত, লাচ্ছি, সমুচা, নানা রকমের চপ, পাকুরা, শাহী জিলাপী থেকে শুরু করে রকমারি ইফতার মোগল আমলকে সরণ করিয়ে দেয়।

সময় সঙ্গে চকবাজার ইফতার বাজারের বাতাসে নানা পদের ইফতারির খুশবু ছড়িয়ে পড়ে। দূরদুরান্ত থেকে বহু মানুষ ছুটে এসেছেন চকবাজারে। তারা ঐতিহ্যবাহী ইফতার নিয়ে বাড়ি যাবেন বলেই দিনে দিনে চলে আসেন এখানে। দেখে দেখে পছন্দ মাফিক ইফতার আইটেম কিনে নেন তারা। বাড়িতে পরিবার পরিজন ইফতারের অপেক্ষায়। রমজানে একসঙ্গে বসে ইফতার করার তৃপ্তিই আলাদা। এটি পারিবারিক বন্ধন মজবুত করে।

চকবাজারে শাহী জিলাপী বিক্রি হচ্ছে সাড়ে তিনশ’ টাকা কেজি দরে। খাসির সূকি কাবার ১৮০০ টাকা এবং গরুর সূতি কাবার ১৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। আস্ত পায়েলের রোস্ট ১২০ টাকা, দেশি মুরগীর রোস্ট ৩০০ টাকা, কাবার ১২০ থেকে ১৫০ টাকা। খাসির লেক রোস্ট প্রতিটি ৮০০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে। সাধারণ জিলাপী ২০০ থেকে ২৫০ টাকা প্রতি কেজি, দৈ বরা ১২০ থেকে ২০০ টাকা বক্স বিক্রি করা হয়।

সূতি কাবাব, ঐতিহাসিক ঢাকাই খাবার, মোগল আমলের খাবার নিয়ে প্রশ্ন করতেই স্মৃতি গলি পথে হারিয়ে যান ৭০ পেরিয়ে যাওয়া ইফতেখার হোসেন। বলেন, সেদিনের কথা এখন অতিত। এই চকবাজারে কি মিলতো না বলুন। পাশেরই ঢাকার নবাবদের নিবাস নবাববাড়ি। মোগলটুলিতে মোগলদের বাসবাস। ঢাকাতো ঐতিহ্যের শহর। আর খাবারের দিক থেকে ঢাকার ঐতিহ্য এই তল্লাটজুড়ে।

চকবাজারের ইফতারির বাজার ঘুরে না দেখা সম্বব না হলে, কেবল বর্ণনা দিয়ে বোঝানো যাবে না। সময় বয়ে যায়। অফিসে ফেরার তাড়া, চকবাজার ইফতার বাজারের জনস্রোত ঠেলে বেড়িয়ে আসতেও বেশ কয়েকট মিনিট সময় লেগে যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঢাকায় সাড়ে চারশ’ বছরের ঐতিহ্যবাহী ইফতার বাজার

আপডেট সময় : ০৬:০১:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ মার্চ ২০২৪

 

ঢাকায় সাড়ে চারশ’ বছরের ঐতিহ্যবাহী ইফতার বাজার। যা কিনা মোগল আমল থেকে চলে আসছে। এটি চকবাজার নামেই খ্যাত। এখানেই মোগল আমলের খাবারের পসরা সাজিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা। হাকডাকে চারিদিক মুখরিত হয়ে ওঠে।

পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম দিন মঙ্গলবার। সময় দুপুর আড়াইটা। ঢাকার চকবাজারে পা রাখতেই দেখা গেলো ইফতার বাজার লোকারণ্য। হাজার রকমের ইফতার। কি নেই চকবাজারের ইফতার বাজারে?

মানব মিছিল ঠেলে ধীরে ধীরে সামনে এগিয়ে যেতে যেতে কানে ভেসে আসে ‘বড় বাপের পোলায় খায়, ঠোঙ্গা ভরে নিয়ে যায়। খাসির রান (লেক রোস্ট) থেকে শুরু করে আস্ত পায়েল ও মুরগীর রোস্ট, কাবার, সূতি কাবার, দৈ বরা, শরবত, লাচ্ছি, সমুচা, নানা রকমের চপ, পাকুরা, শাহী জিলাপী থেকে শুরু করে রকমারি ইফতার মোগল আমলকে সরণ করিয়ে দেয়।

সময় সঙ্গে চকবাজার ইফতার বাজারের বাতাসে নানা পদের ইফতারির খুশবু ছড়িয়ে পড়ে। দূরদুরান্ত থেকে বহু মানুষ ছুটে এসেছেন চকবাজারে। তারা ঐতিহ্যবাহী ইফতার নিয়ে বাড়ি যাবেন বলেই দিনে দিনে চলে আসেন এখানে। দেখে দেখে পছন্দ মাফিক ইফতার আইটেম কিনে নেন তারা। বাড়িতে পরিবার পরিজন ইফতারের অপেক্ষায়। রমজানে একসঙ্গে বসে ইফতার করার তৃপ্তিই আলাদা। এটি পারিবারিক বন্ধন মজবুত করে।

চকবাজারে শাহী জিলাপী বিক্রি হচ্ছে সাড়ে তিনশ’ টাকা কেজি দরে। খাসির সূকি কাবার ১৮০০ টাকা এবং গরুর সূতি কাবার ১৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। আস্ত পায়েলের রোস্ট ১২০ টাকা, দেশি মুরগীর রোস্ট ৩০০ টাকা, কাবার ১২০ থেকে ১৫০ টাকা। খাসির লেক রোস্ট প্রতিটি ৮০০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে। সাধারণ জিলাপী ২০০ থেকে ২৫০ টাকা প্রতি কেজি, দৈ বরা ১২০ থেকে ২০০ টাকা বক্স বিক্রি করা হয়।

সূতি কাবাব, ঐতিহাসিক ঢাকাই খাবার, মোগল আমলের খাবার নিয়ে প্রশ্ন করতেই স্মৃতি গলি পথে হারিয়ে যান ৭০ পেরিয়ে যাওয়া ইফতেখার হোসেন। বলেন, সেদিনের কথা এখন অতিত। এই চকবাজারে কি মিলতো না বলুন। পাশেরই ঢাকার নবাবদের নিবাস নবাববাড়ি। মোগলটুলিতে মোগলদের বাসবাস। ঢাকাতো ঐতিহ্যের শহর। আর খাবারের দিক থেকে ঢাকার ঐতিহ্য এই তল্লাটজুড়ে।

চকবাজারের ইফতারির বাজার ঘুরে না দেখা সম্বব না হলে, কেবল বর্ণনা দিয়ে বোঝানো যাবে না। সময় বয়ে যায়। অফিসে ফেরার তাড়া, চকবাজার ইফতার বাজারের জনস্রোত ঠেলে বেড়িয়ে আসতেও বেশ কয়েকট মিনিট সময় লেগে যায়।