তারাকান্দা পাকা সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগ

- আপডেট সময় : ১৪ বার পড়া হয়েছে
ঠিকাদারের গাফিলতিতে মেয়াদ শেষ হলেও তারাকান্দা এসআর রোডের ৯০০ মিটার রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ হয়নি। এখনোও।
ময়মনসিংহের তারাকান্দায় ৯০০ মিটার রাস্তার কাজ মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স জান্নাতুল ট্রেডার্স ঠিকাদার মোশারফ হোসেন।
১ কোটি ৩৭ লাখ ৬৩ হাজার ৪৩২ টাকা ব্যয়ে এমআরআইডিপি প্রকল্পের আওতায় ২০২৪ সালের ১৫ মে পুরাতন এস,আর, রোড টু নারায়নপুর সড়কের পাকা করণ কাজ শুরু হয়। চুক্তি অনুযায়ী২০২৪- ২০২৫ অর্থবছরে ২০২৫ সালের ১১ মার্চ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এখনো পুরো কাজ শেষ হয়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নির্ধারিত ৯০০ মিটারের মধ্যে প্রায় ৫০০ মিটার অংশে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করে কাজ চলছে। বাকি ৪০০ মিটারে এখনো কোনো কাজ শুরু হয়নি। বরঞ্চ ৪০০ মিটারে খোদাই করে কাদামাটি ফেলা হয়েছে। ফলে জনগণের চলাচলে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা অভিযোগ করেছেন, যেমন কাশেম মেম্বার, হারুন মেম্বার,ছোট্ট মেম্বার, ফখরুল মাস্টার, ফারুক হোসেন,নয়ন মিয়া,শফিক মিয়া,আরো অনেকই ।রাস্তার কাজ এভাবে ঝুলে থাকায় কারণে বর্ষায় আমাদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।”
কাজের ধীরগতি ও নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার দেখে মনে হচ্ছে রাস্তা টেকসই হবে না। স্থানীয়রা ঠিকাদার মোশারফ হোসেনকে এবং ওয়ার্ক এসিস্ট্যান্ট ফজলুল হককে বলার পরেও তারা নিম্নমানের ইট ,সুরকি, ও বালু ব্যবহার করেছে।
”স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের শক্ত পদক্ষেপ ছাড়া এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এতে কোটি টাকার সরকারি অর্থ ব্যয়ের পরও টেকসই রাস্তার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কা করছেন তারা।
এই বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী এলজিইডি আয়েশা আখতার মুঠোফোনে বলেন—“আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়তে পারে। তবে কারও বাঁধার মুখে কাজ থমকে আছে—বিষয়টি আমার জানা নেই। অনুসন্ধানের পর জানা যাবে। আমি ট্রেনিংয়ে থাকায় এখন বিস্তারিত বলতে পারছি না।”
তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাকির হোসাইন বলেন—“পাড়বিহীন ফিসারী স্থাপনের ফলে যদি রাস্তা নির্মাণে অসুবিধা হয়ে থাকে, তাহলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু এলাকাবাসীর বলতেছেন ইউএনও মহোদয় কোন সময় এই রাস্তা দেখতে আসেনি ”এ বিষয়ে এলজিইডি কার্যালয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত ঠিকাদরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও ফোন না ধরায় কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।