তিনদিন পর খোলার দিনেই ব্যাংকে উপচেপড়া ভিড়
- আপডেট সময় : ০২:০৮:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুলাই ২০২৪ ১০৪ বার পড়া হয়েছে
গত শুক্রবার থেকে কার্যত ব্যাংকিং লেনদেন বন্ধ থাকে। ইন্টারনেট সংযোগ না থাকায় এটিএম বুথ থেকেও টাকা তোলা যায়নি।
শুক্রবার রাত থেকে দেশে কারফিউ জারি করার পর থেকে সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ে। পাশাপাশি পণ্যপরিবহণ কমে যাওয়ার সুযোগে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। ডিমের ডজন হয় ১৭০ টাকা।
বিদ্যুৎ ও গ্যাসের প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারকারীরা সমস্যায় পড়েন। ইন্টারসংযোগ বন্ধ থাকার কারণে অনেকেই মিটারে টাকা লোড করতে পারেননি। ফলে অন্ধকারে কাটানোর পাশাপাশি রান্নাও বন্ধ থাকে অনেক
বাসাবাড়িতে।
অবশ্য এই সমস্যা দূর করতে সরকারের তরফে অগ্রিম টাকার ব্যবস্থা করা হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকে।
এমন অবস্থায় আজ বুধবার বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত অফিস-আদালত খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রোবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত টানা তিনদিন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পর খোলে ব্যাংক। ব্যাংক
খোলার দিনে শাখায় শাখায় উপচেপড়া ভিড়। এদিন টাকা জমার চেয়ে উত্তোলনই বেশি হয়েছে।
ব্যাংকগুলোর শাখার প্রতিটি সেবা কাউন্টারে উপস্থিত সিংহভাগ গ্রাহকই এসেছেন টাকা উত্তোলন করতে। দু-একজন জমা দিতে এসেছেন।
বেলা সাড়ে ১১টায় টাকা উত্তোলনের জন্য সোনালী ব্যাংকে অপেক্ষা থাকা অনেক গ্রহক বলেন, গত কয়েক দিনে নগদ টাকার জন্য বেশ অস্বস্তিতে ছিলেন তারা। এটিএম বুথ থেকেও টাকা তোলা সম্ভব হয়নি। তাই
ব্যাংক খোলার কথা শুনেই চলে চলে আসেন তারা।
এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিসের ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম বলেন, তিন কার্যদিবস ব্যাংক বন্ধ ছিল। এসময়ে হয়তো অনেক গ্রাহকই তাদের নগদ টাকা কেনাকাটায় শেষ করেছেন। এ কারণে আজকের
বেশিরভাগ গ্রাহকই টাকা উত্তোলন করছেন।
বুধবার ও বৃহস্পতিবার ব্যাংক খোলা থাকবে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।
এর আগে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বুধবার ও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। আর একই দিনে
জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সব অফিস খোলা থাকবে।