ঢাকা ০৪:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

ত্রিশালে ৩ মাসে কোরআনের হাফেজ বিস্ময় শিশু মাহাদী

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ৩৫ বার পড়া হয়েছে

0-4608x3466-0-0#

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মাত্র ৯০ দিনে পবিত্র কোরআনের হাফেজ হয়েছে দশ বছরের বিস্ময় শিশু মোহাম্মদ মাহাদী হাসান। দ্রুত সময়ে ৩০ পারা কোরআন হিফজ (মুখস্থ) করায় শিশুর পরিবার ও শিক্ষকরা আনন্দিত।
মোহাম্মদ মাহাদী হাসান ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভা ৭ নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ রাজিব আহমেদ ও শাপলা খাতুনের দ্বিতীয় ছেলে। ইল্ মুল কোরআন আদর্শ মাদরাসার সে হেফজ বিভাগের ছাত্র।
জানা গেছে, মোহাম্মদ রাজিব আহমেদ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। হাফেজ মাহাদী হাসানের জন্ম : ৫/১০/২০১৫ সালে। বাবার স্বপ্ন পূরণে মোহাম্মদ মাহাদী হাসান ইল্ মুল কোরআন আদর্শ মাদরাসায় হেফজ বিভাগে ভর্তি করানো হয়। নাজরানা বিভাগে পড়ে মাত্র তিন মাসে পবিত্র কুরআন হিফজ শেষ করেছে সে।
এ বিষয়ে শিশু মোহাম্মদ মাহাদী হাসান বলেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ! অল্প সময়ে হাফেজ হতে পেরে আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। আমার ওস্তাদরা আমাকে অনেক বেশি সহায়তা করেছেন। ওস্তাদদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি প্রথম ভেবেছিলাম অনেক কঠিন হবে। কিন্তু আল্লাহ আমাকে সহজ করে দিয়েছেন। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন ভবিষ্যতে বড় একজন আলেম হতে পারি।
মোঃ মাহাদী হাসানের দাদী বলেন, আমার স্বপ্ন ছিলো আমার ছেলেকে কোরআনের হাফেজ বানাবো। কিন্তু তা আর করতে পারি নাই। এখন আমার নাতী মোহাম্মদ মাহাদী হাসান মাত্র ৯০ দিনে হিফজ শেষ করেছে, এ জন্য আমরা খুব আনন্দিত। আপনারা সকলেই আমার নাতীর জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন আমার নাতীকে দ্বীন ইসলামের পথে কবুল করেন।
মাহাদী হাসানের বাবা মোহাম্মদ রাজিব আহমেদ বলেন, ছোট থেকে আমার স্বপ্ন ছিলো আমি কোরআনের হাফেজ হবো। কিন্তু আমি তা হতে পারি নাই এখন আমার ছেলে মাহাদী হাসান মাত্র ৯০ দিনে কোরআনের হাফেজ হয়েছে। সে আমাদের স্বপ্ন পূরণ করেছে। আমরা মাদরাসার সব শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তার জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি। আল্লাহ যেন আমাদের ছেলেকে ইসলামের জন্য কবুল করে।’
হাফেজ মাহাদীর মা শাপলা বেগম বলেন, আমি ইল্ মুল কোরআন আদর্শ মাদরাসা সকল শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞ। উনারা কঠোর পরিশ্রম ও আদর যত্ন করে আমার ছেলেকে মাত্র ৯০ দিনে কোরআনের হাফেজ বানিয়েছেন। আপনারা সকলেই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন।
ইল্ মুল কোরআন আদর্শ মাদরাসার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও পরিচালক হাফেজ আবু সায়েম উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘শিশুটি মাত্র দুই থেকে আড়াই মাসে নাজেরানা পড়ে হেফজ বিভাগে ছবক শুরু করে। মাত্র তিন মাসে
ছবক শেষ করে কোরআনে হেফজ সম্পন্ন করে। আমি আশা করছি, মাহাদী আন্তর্জাতিকভাবে কোরআনের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আমাদের মাদরাসা, পরিবার, দেশ ও জাতির জন্য সম্মান বয়ে আনবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ত্রিশালে ৩ মাসে কোরআনের হাফেজ বিস্ময় শিশু মাহাদী

আপডেট সময় :

মাত্র ৯০ দিনে পবিত্র কোরআনের হাফেজ হয়েছে দশ বছরের বিস্ময় শিশু মোহাম্মদ মাহাদী হাসান। দ্রুত সময়ে ৩০ পারা কোরআন হিফজ (মুখস্থ) করায় শিশুর পরিবার ও শিক্ষকরা আনন্দিত।
মোহাম্মদ মাহাদী হাসান ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভা ৭ নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ রাজিব আহমেদ ও শাপলা খাতুনের দ্বিতীয় ছেলে। ইল্ মুল কোরআন আদর্শ মাদরাসার সে হেফজ বিভাগের ছাত্র।
জানা গেছে, মোহাম্মদ রাজিব আহমেদ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে। হাফেজ মাহাদী হাসানের জন্ম : ৫/১০/২০১৫ সালে। বাবার স্বপ্ন পূরণে মোহাম্মদ মাহাদী হাসান ইল্ মুল কোরআন আদর্শ মাদরাসায় হেফজ বিভাগে ভর্তি করানো হয়। নাজরানা বিভাগে পড়ে মাত্র তিন মাসে পবিত্র কুরআন হিফজ শেষ করেছে সে।
এ বিষয়ে শিশু মোহাম্মদ মাহাদী হাসান বলেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ! অল্প সময়ে হাফেজ হতে পেরে আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। আমার ওস্তাদরা আমাকে অনেক বেশি সহায়তা করেছেন। ওস্তাদদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি প্রথম ভেবেছিলাম অনেক কঠিন হবে। কিন্তু আল্লাহ আমাকে সহজ করে দিয়েছেন। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন ভবিষ্যতে বড় একজন আলেম হতে পারি।
মোঃ মাহাদী হাসানের দাদী বলেন, আমার স্বপ্ন ছিলো আমার ছেলেকে কোরআনের হাফেজ বানাবো। কিন্তু তা আর করতে পারি নাই। এখন আমার নাতী মোহাম্মদ মাহাদী হাসান মাত্র ৯০ দিনে হিফজ শেষ করেছে, এ জন্য আমরা খুব আনন্দিত। আপনারা সকলেই আমার নাতীর জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন আমার নাতীকে দ্বীন ইসলামের পথে কবুল করেন।
মাহাদী হাসানের বাবা মোহাম্মদ রাজিব আহমেদ বলেন, ছোট থেকে আমার স্বপ্ন ছিলো আমি কোরআনের হাফেজ হবো। কিন্তু আমি তা হতে পারি নাই এখন আমার ছেলে মাহাদী হাসান মাত্র ৯০ দিনে কোরআনের হাফেজ হয়েছে। সে আমাদের স্বপ্ন পূরণ করেছে। আমরা মাদরাসার সব শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তার জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি। আল্লাহ যেন আমাদের ছেলেকে ইসলামের জন্য কবুল করে।’
হাফেজ মাহাদীর মা শাপলা বেগম বলেন, আমি ইল্ মুল কোরআন আদর্শ মাদরাসা সকল শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞ। উনারা কঠোর পরিশ্রম ও আদর যত্ন করে আমার ছেলেকে মাত্র ৯০ দিনে কোরআনের হাফেজ বানিয়েছেন। আপনারা সকলেই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন।
ইল্ মুল কোরআন আদর্শ মাদরাসার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও পরিচালক হাফেজ আবু সায়েম উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘শিশুটি মাত্র দুই থেকে আড়াই মাসে নাজেরানা পড়ে হেফজ বিভাগে ছবক শুরু করে। মাত্র তিন মাসে
ছবক শেষ করে কোরআনে হেফজ সম্পন্ন করে। আমি আশা করছি, মাহাদী আন্তর্জাতিকভাবে কোরআনের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে আমাদের মাদরাসা, পরিবার, দেশ ও জাতির জন্য সম্মান বয়ে আনবে।’