সংবাদ শিরোনাম ::
দাগনভূঞা উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের ১ম ও ২য় দিনের কর্মবিরতি পালন

শাখাওয়াত হোসেন টিপু, দাগনভূঞা
- আপডেট সময় : ০২:৪৮:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫ ৭ বার পড়া হয়েছে
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্যপরিষদ কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে দাগন ভূঞা উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা গতকাল সোমবার (৫ মে) মঙ্গল বার (৬মে) এক ঘণ্টার কর্মবিরতি কর্ম সূচী পালন করেছেন।
বাংলাদেশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি(১২০৬৮),দাগন ভূঞা উপজেলার সভাপতি মাসুদুর রহমান বলেন ” দাবী আদায়ের লক্ষ্যে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচী পালন অব্যাহত থাকবে। ২৬ মে পর্যন্ত আমাদের এই কর্মসূচী চলবে।
বাংলাদেশ প্রাইমারি স্কুল পরিষদ, দাগন ভূঞা উপজেলার সেক্রেটারী মো: ওয়ালী উল্যাহ বলেন ” কেন্দ্রীয় ঐক্যপরিষদের ঘোষনা অনুযায়ী ৫ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত প্রতিদিন ১ ঘন্টা, ১৬ মে থেকে ২০ মে পর্যন্ত প্রতিদিন ২ ঘণ্টা, ২১ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত প্রতিদিন অর্ধদিবস, ২৬ মে থেকে লাগাতার পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করা হবে দাবী আদায়ের লক্ষ্যে। তবে এই আন্দোলন কর্মসূচীর আওতামুক্ত থাকবে পরীক্ষা কার্যক্রম।
বাংলাদেশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি(১২০৬৮) এর দাগন ভূঞা উপজেলার সেক্রেটারী সাজেদুল ইসলাম (কমল) বলেন,” আমাদের এই আন্দোলন ৩ দফা দাবীতে। (১) সরকারের গঠিত কনসালটেশন কমিটির সুপারিশের যৌক্তিক সংস্কার করে সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে ১১ তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ।(২) ১০ বছর ও ১৬বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন।(৩) প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতি সহ দ্রুত পদোন্নতি প্রদান।
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক দশম গ্রেড বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদ,দাগনভূঞা উপজেলার সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেন,” যদি ও আমরা দীর্ঘ দিন ধরে দশম গ্রেড বাস্তবায়নে আন্দোলন করেছি, তারপর ও ১১ তম গ্রেডের দাবীর আন্দোলনে ও আমাদের দৃঢ সমর্থন রয়েছে।তবে আমরা ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবীতে আগামীতে ও আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (কম্বাইন্ড) দাগন ভূঞা উপজেলার সেক্রেটারী জিয়াউল হক বলেন,” ভেদাভেদ ভুলে আমরা উপজেলার সকল সহকারি শিক্ষক ঐক্যবদধ্যভাবে এই কর্মবিরতি কর্মসূচী পালন করছি। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। দাগনভূঞা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুর রহমান বলেন,এ বিষয়টা পত্র পত্রিকা, সোশাল মিডিয়া ও শিক্ষক সূত্রে অবগত আছি।