দাগনভূঞা ফুটপাতে সকালে উচ্ছেদ, বিকালে দখল
- আপডেট সময় : ২৫ বার পড়া হয়েছে
দাগনভূঞা শহরের ফুটপাতে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। উচ্ছেদ করা হয়েছে অবৈধভাবে দখল করে রাখা ফুটপাতের দোকানপাট। এতে কমেছে পথচারীদের ভোগান্তি। উচ্ছেদ অভিযান শেষ করে যাওয়ার সাথে সাথে বিকালে ফের আবার ফুটপাত দখল করে নেয়। জনগন মনে করে এই ফুটপাত দখলের পিছনে অদৃশ্য হাত রয়েছে। আর এই অদৃশ্য শক্তিরাই এই ফুটপাত থেকে বড় সুবিধা নিয়ে থাকে।
দাগনভূঞা উপজেলা প্রশাসন, দাগনভূঞা থানা ও পৌরসভার সম্মিলিত দ্যোগে শহরের প্রধান সড়ক বসুরহাট রোড, চৌমুহনী সড়ক, চৌধুরী হাট রোড় ফেনী রোডসহ অলিগলিতে সড়কের উপর অস্থায়ীভাবে গড়ে তোলা দোকানপাট ও ভাসমান হকারদের উচ্ছেদ করা হয়। এই অভিযানে প্রায় লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করা হয়।এই অভিযানে সড়কে বিভিন্ন পণ্য রাখায় সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ অনুসারে ৭০০০ হাজার টাকা, বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে পঁচা বাসি ও মেয়াদউর্ত্তীন মিষ্টি ও দই রাখায় ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ অনুসারে ১৫০০০ হাজার টাকা এবং রাস্তা বন্ধ করে বালি রাখায় একজন ব্যবসায়ীকে পরিবেশ আইন ১৯৯৫ অনুসারে ৫০০০০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল সোমবার থেকে উপজেলা প্রশাসন ফুটপাত দখলমুক্ত করার এ অভিযান শুরু হয়। এসময় ফুটপাত ও ফুটপাতের পার্শ্বসড়কে বসানো অস্থায়ী দোকান, সাইনবোর্ড ও অবৈধ পার্কিং উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু রাতেই আবার সন্ধ্যার সাথে সাথে আবার দোকানে বসে যায়।
দাগনভূঞা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন টিপু বলেন, যানজট সমস্যা নিরসনে এমন উদ্যোগ মাঝেমধ্যেই নেয়া হয়। তবে তা টেকসই হয় না। কারণ, দোকানের সামনে যেসব ফেরিওয়ালারা বসে তাদের কাছ থেকে ভাড়া নেয়া হয়। এ কারণে প্রশাসন চলে যাওয়ার পর তারা আবার বসে। এবং রাজনৈতিক স্টিক হোলডাররাই এই গুলো নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা ছাড়া কোন কিছুই সম্ভব নয়। সবার আগে এই অদৃশ্য শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। দোকানদারকে জরিমানা করা একমাত্র সমাধান নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।
একাধিক পথচারী জানান, শহর জঞ্ঝাটমুক্ত ও পথচারীদের নির্বিঘ্ন চলাচলে এ অভিযান চলমান রাখতে হবে। পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় অতীতের মতো যেন এ পরিবেশ বিঘ্নিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এমন অভিযানের জন্য আলাদা উইং করার দাবিও তোলেন কেউ কেউ।
দাগনভূঞা থানার অফিসার ইনচার্জ ওয়াহিদ পারভেজ বলেন, সোমবার থেকে আমরা অভিযান শুরু করেছি। পুলিশ, আনচারনছাড়াও পৌরসভার প্রশাসকসহ লোকজন আছে। রাস্তাঘাট হকারমুক্ত করার লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। রাস্তার ওপর অনেকগুলো হোটেল রাস্তার ওপর রান্নাবান্না করছে। এসব অবৈধ কাজ ও অবৈধভাবে দখল করা জায়গাগুলোও দখলমুক্ত করার জন্য আমরা একযোগে কাজ করে যাচ্ছি।
দাগনভূঞা পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শাহিদুল ইসলাম বলেন, উচ্ছেদ কার্যক্রমকে আরও বেগবান করার চেষ্টা চলছে। সামনের দিকে অভিযান অব্যহত থাকব। তবে ফুটপাত অবৈধ দখল মুক্ত রাখতে নাগরিকদেরও সদিচ্ছা থাকতে হবে। এ প্রত্যয়টা যদি সবার থাকে এবং সবাই যদি আন্তরিক হই তাহলে সম্ভব হবে।


















