ঢাকা ০৭:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নরসিংদীতে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা Logo ‘দুর্গা পূজায় সৌজন্যে ইলিশ ভারতে পাঠানোর অনুমোদন’ Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারাগার থেকে ভারতীয় নাগরিক রামদেবকে স্বাদেশে প্রত্যাবাসন Logo নিউট্রিশন ইন সিটি ইকোসিস্টেমস প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের চুক্তি স্বাক্ষর Logo বিহারীবস্তিতে দুস্কৃতিকারীর হামলায় শালিসি ব্যক্তিত্ব পূর্ব আহত Logo শিবগঞ্জের দ্বিতীয় দফায় ভাঙ্গনের কবলে পদ্মা পাড়ের মানুষ, ফেলা হচ্ছে জিও ব্যাগ Logo কক্সবাজারে ইউনিয়ন হাসপাতালের সাথে ভোরের পাখি সংগঠনের স্বাস্থ্য সেবা চুক্তি Logo জকসু ও সম্পূরক বৃত্তিসহ জবি শাখা বাগছাসের ৫ দাবি Logo ইঞ্জিনিয়ার হারুন উর রশিদ গার্লস কলেজের শিক্ষার্থীদের নবীন বরন Logo জাতীয়তাবাদী তাঁতীদল সিলেট জেলা শাখার প্রচার মিছিল সম্পন্ন

দাগনভূঞা মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা

শাখাওয়াত হোসেন টিপু, দাগনভূঞা
  • আপডেট সময় : ১২৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দাগনভূঞা পৌরসভার ৭ নং কৃষ্ণরাম গ্রামে মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১৫ ই এপ্রিল বর্তমান কমিটির সভাপতি সৈয়দ আমিনুল ইসলাম সেলিম বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং সি আর ২০২/২০২৫ মামলার ধারা দঃবিধি ৪০৬/৪২০/১০৯/৫০৬। মামলার বিবাদিরা হলেন পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আবুল খায়ের, সিরাজ উল্ল্যা, জলিলুর রহমান, আরমান।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বিবাদিগণ পরস্পর যোগসাজশে ও একে অন্যের সহায়তাকারী হয়ে ৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা সমুদয় টাকা মুসল্লী ও লোকজনের বিশ্বাস ভঙ্গ করে উক্ত টাকা আত্মসাৎ করে নিজস্ব ভোগ ব্যবহারে পরিণত করে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায় ২০০১ সালে দাগনভূঞা পৌরসভা গঠনের পর ৭ নং ওয়ার্ডে আবুল খায়ের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়। নির্বাচনের পর থেকে ক্ষমতা বলে সে উক্ত মসজিদের সভাপতি হয়। সে থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত মসজিদ কমিটির সভাপতি ছিলেন। সভাপতি থাকা অবস্থায় কোন রশিদ বইয়ের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করতেন না। মসজিদের মুসল্লীদের মাসিক বা বাৎসরিক কোন হিসাব নিকাশ দিতেন না এবং মসজিদের উন্নতি কল্পে স্থানীয় জনগণ ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের সাথে কোন প্রকার আলাপ আলোচনা করতেন না। নিজেদের প্রভাবখাটিয়ে যেকোন সিদ্ধান্ত নিতেন এবং তার ছেলে আরমান সরকারি চাকরির প্রভাব খাটিয়ে মসজিদের কমিটিতে বাবার বিপরীতে প্রভাব খাটাতেন। মুসল্লীরা মসজিদের কোন হিসাব নিকাশ চাইতে গেলে মুসল্লীদেরকে গাল মন্দ করেতেন এবং বিভিন্ন রকমের হুমকি দিতেন।
এই বিষয়ে মামলার বিবাদিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তারা বলেন, বর্তমান কমিটির উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
এই বিষয়ে মামলার বাদী ও বর্তমান কমিটির সভাপতি সৈয়দ আমিনুল ইসলাম সেলিম বলেন, প্রভাব খাটিয়ে আবুল খায়ের মসজিদ পরিচালনা করতেন দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর তিনি মসজিদের কোন হিসাব নিকাশ দিতেন না। হিসাব চাইতে গেলে মুসল্লীদের বিভিন্ন রকম হুমকি ধামকি প্রদান করতেন এবং মসজিদের কোন উন্নতি সাধন করেন নাই। মসজিদের টাকা তার ব্যক্তিগত ব্যবসায় বিনিয়োগ করতেন। এই সব ক্ষোভের থেকে মুসল্লীগণ মসজিদের উন্নতি, আয় ব্যায়ের হিসাব সংরক্ষণসহ নানা প্রকার অব্যবস্থাপনার দূরীকরনার্থে সৎ ও ধর্মানুরাগী নিয়মিত মুসল্লীগণকে নিয়ে এবং অত্র এলাকার মুসল্লীদের গণস্বাক্ষর নিয়ে বিগত ৫ ই জুন ২০২৪ সালে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট বৈধ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠনের পর আমরা বর্তমান কমিটি মসজিদের টাকা চাইতে গেলে তিনি তালবাহানা করতে থাকে। এদিকে তার ছেলে আরমান দাগনভূঞা সমবায়ে সরকারি চাকরির প্রভাব খাটিয়ে তার বাবার পক্ষ নিয়ে এলাকার লোকজনকে হুমকি ধামকি প্রদান করতে থাকে। এমতাবস্থায় আমরা বর্তমান কমিটি বাদ্য হয়ে নিজেদের নিরাপত্তা ও মসজিদের টাকা উদ্ধারে মামলা করতে বাদ্য হই।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দাগনভূঞা মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা

আপডেট সময় :

দাগনভূঞা পৌরসভার ৭ নং কৃষ্ণরাম গ্রামে মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১৫ ই এপ্রিল বর্তমান কমিটির সভাপতি সৈয়দ আমিনুল ইসলাম সেলিম বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং সি আর ২০২/২০২৫ মামলার ধারা দঃবিধি ৪০৬/৪২০/১০৯/৫০৬। মামলার বিবাদিরা হলেন পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আবুল খায়ের, সিরাজ উল্ল্যা, জলিলুর রহমান, আরমান।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বিবাদিগণ পরস্পর যোগসাজশে ও একে অন্যের সহায়তাকারী হয়ে ৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা সমুদয় টাকা মুসল্লী ও লোকজনের বিশ্বাস ভঙ্গ করে উক্ত টাকা আত্মসাৎ করে নিজস্ব ভোগ ব্যবহারে পরিণত করে।
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায় ২০০১ সালে দাগনভূঞা পৌরসভা গঠনের পর ৭ নং ওয়ার্ডে আবুল খায়ের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়। নির্বাচনের পর থেকে ক্ষমতা বলে সে উক্ত মসজিদের সভাপতি হয়। সে থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত মসজিদ কমিটির সভাপতি ছিলেন। সভাপতি থাকা অবস্থায় কোন রশিদ বইয়ের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করতেন না। মসজিদের মুসল্লীদের মাসিক বা বাৎসরিক কোন হিসাব নিকাশ দিতেন না এবং মসজিদের উন্নতি কল্পে স্থানীয় জনগণ ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের সাথে কোন প্রকার আলাপ আলোচনা করতেন না। নিজেদের প্রভাবখাটিয়ে যেকোন সিদ্ধান্ত নিতেন এবং তার ছেলে আরমান সরকারি চাকরির প্রভাব খাটিয়ে মসজিদের কমিটিতে বাবার বিপরীতে প্রভাব খাটাতেন। মুসল্লীরা মসজিদের কোন হিসাব নিকাশ চাইতে গেলে মুসল্লীদেরকে গাল মন্দ করেতেন এবং বিভিন্ন রকমের হুমকি দিতেন।
এই বিষয়ে মামলার বিবাদিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তারা বলেন, বর্তমান কমিটির উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
এই বিষয়ে মামলার বাদী ও বর্তমান কমিটির সভাপতি সৈয়দ আমিনুল ইসলাম সেলিম বলেন, প্রভাব খাটিয়ে আবুল খায়ের মসজিদ পরিচালনা করতেন দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর তিনি মসজিদের কোন হিসাব নিকাশ দিতেন না। হিসাব চাইতে গেলে মুসল্লীদের বিভিন্ন রকম হুমকি ধামকি প্রদান করতেন এবং মসজিদের কোন উন্নতি সাধন করেন নাই। মসজিদের টাকা তার ব্যক্তিগত ব্যবসায় বিনিয়োগ করতেন। এই সব ক্ষোভের থেকে মুসল্লীগণ মসজিদের উন্নতি, আয় ব্যায়ের হিসাব সংরক্ষণসহ নানা প্রকার অব্যবস্থাপনার দূরীকরনার্থে সৎ ও ধর্মানুরাগী নিয়মিত মুসল্লীগণকে নিয়ে এবং অত্র এলাকার মুসল্লীদের গণস্বাক্ষর নিয়ে বিগত ৫ ই জুন ২০২৪ সালে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট বৈধ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠনের পর আমরা বর্তমান কমিটি মসজিদের টাকা চাইতে গেলে তিনি তালবাহানা করতে থাকে। এদিকে তার ছেলে আরমান দাগনভূঞা সমবায়ে সরকারি চাকরির প্রভাব খাটিয়ে তার বাবার পক্ষ নিয়ে এলাকার লোকজনকে হুমকি ধামকি প্রদান করতে থাকে। এমতাবস্থায় আমরা বর্তমান কমিটি বাদ্য হয়ে নিজেদের নিরাপত্তা ও মসজিদের টাকা উদ্ধারে মামলা করতে বাদ্য হই।