নওগাঁয় নকল ওষুধ তৈরির কারখানা, পরিচালকের কারাদণ্ড-জরিমানা

- আপডেট সময় : ১০৮ বার পড়া হয়েছে
নওগাঁয় একটি নকল ওষুধ তৈরির কারখানা খুঁজে পেয়েছে প্রশাসন। শাস্তি হিসেবে কারখানাটির পরিচালককে এক মাসের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে এক অভিযানকালে নওগাঁয় একটি নকল ওষুধ তৈরির কারখানা খুঁজে পায় প্রশাসন।
ভেজাল ও মানহীন ওষুধ নিয়ে সময় সংবাদে প্রতিবেদন প্রচারের পর নড়েচড়ে বসে নওগাঁ জেলা প্রশাসন। এরই ধারাবাহিকতায় জেলার পোরশা উপজেলার নিতপুর ইউনিয়নের বাঙালপাড়ায় অনুমোদনবিহীন একটি নকল মেডিসিন কারখানার সন্ধান মেলে। কারখানাটিতে লাইসেন্স ছাড়াই পশুখাদ্য ও ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাত করা হচ্ছিল।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত বিশেষ অভিযানে ভিলেজ এগ্রোভেট নামের প্রতিষ্ঠানের পরিচালক রবিউল আউয়ালকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। একই সঙ্গে কারখানার সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয় এবং বিপুল পরিমাণ মানহীন পশুখাদ্য, ওষুধ ও উৎপাদন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
রোববার দুপুরে এই অভিযান পরিচালনা করেন পোরশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল ইসলাম। এতে সহায়তা করেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ, ওষুধ প্রশাসন, পোরশা থানা পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে প্রমাণ মেলে লাইসেন্স ছাড়া পশুখাদ্য উৎপাদন, অনুমোদনবিহীন ৬২ প্রকার নিম্নমানের ফুড সাপ্লিমেন্ট ও পশুখাদ্য ও ওষুধ প্রস্তুত ও বাজারজাত করছিল প্রতিষ্ঠানটি। যা ‘মৎস্য ও পশুখাদ্য আইন ২০১০’ অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘লাইসেন্স ও অনুমোদন ছাড়া পশুখাদ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। জনস্বাস্থ্য ও প্রাণিসম্পদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চালানো হবে।’
এ সময় জনসাধারণকে ভেজাল ও অনুমোদনহীন পশু ওষুধ ব্যবহারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়। গত ৩ সেপ্টেম্বর সময় সংবাদে ভেজাল ওষুধ ও প্রতারিত ভোক্তাদের নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রচারিত হলে প্রশাসনের নজরে আসে বিষয়টি।