ঢাকা ১১:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নরসিংদীতে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা Logo ‘দুর্গা পূজায় সৌজন্যে ইলিশ ভারতে পাঠানোর অনুমোদন’ Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারাগার থেকে ভারতীয় নাগরিক রামদেবকে স্বাদেশে প্রত্যাবাসন Logo নিউট্রিশন ইন সিটি ইকোসিস্টেমস প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের চুক্তি স্বাক্ষর Logo বিহারীবস্তিতে দুস্কৃতিকারীর হামলায় শালিসি ব্যক্তিত্ব পূর্ব আহত Logo শিবগঞ্জের দ্বিতীয় দফায় ভাঙ্গনের কবলে পদ্মা পাড়ের মানুষ, ফেলা হচ্ছে জিও ব্যাগ Logo কক্সবাজারে ইউনিয়ন হাসপাতালের সাথে ভোরের পাখি সংগঠনের স্বাস্থ্য সেবা চুক্তি Logo জকসু ও সম্পূরক বৃত্তিসহ জবি শাখা বাগছাসের ৫ দাবি Logo ইঞ্জিনিয়ার হারুন উর রশিদ গার্লস কলেজের শিক্ষার্থীদের নবীন বরন Logo জাতীয়তাবাদী তাঁতীদল সিলেট জেলা শাখার প্রচার মিছিল সম্পন্ন

 নওগাঁয় পল্লী চিকিৎসকের অপারেশনে মারা গেলো রোগী

এস এম শামীম হাসান, মহাদেবপুর প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ৪৮৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
নওগাঁর মহাদেবপুরে সদর হাসপাতাল থেকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ট করা রুগী সাহেদ আলীকে অপারেশন করার অভিযোগ উঠেছে পল্লী চিকিৎসক সুমন কুমার মন্ডলের বিরুদ্ধে। তার অপারেশনের পর ক্ষতস্থানের মাংস পচে খুলে পরার পর সাহেদ আলীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। গত বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৯ টার সময় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত সাহেদ আলী উপজেলার বাগধানা (ঘোলাগাড়ী) গ্রামের মৃত কাফির উদ্দিনের ছেলে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নিহত সাহেদ আলী তার কোমরে ফোঁড়া বের হওয়ার পর নওগাঁ সদর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়। সেখানে চিকিৎসা নেওয়ার এক পর্যায়ে গত ২ অক্টোবর নওগাঁ হাসপাতাল থেকে অপারেশন করার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। রাজশাহীতে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে তার পরিবারের লোকজন তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। এ ঘটনাটি তাদের পারিবারিক পল্লী চিকিৎসক সুমন কুমারকে জানালে সে রাজশাহীতে নিয়ে যাওয়া লাগবে না জানিয়ে ওই দিনই তাকে অপারেশন করে। এরপর এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন ড্রেসিং করে দেয়।
পরে নিহতের অপারেশন করার স্থানের মাংস পচে খুলে পড়তে লাগলে তার অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে গত মঙ্গলবার রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেয়। তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিবারের লোকজন তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার ভোরে সে মারা যায়।
এ বিষয়ে নিহতের ছেলে মো. ফরিদ বলেন, আমরা গরিব মানুষ। পেটের দায়ে ঢাকা শহরে গিয়ে রিকশা চালায়। আমার বাবাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহীতে প্রেরণ করেন। ওই গ্রাম্য ডাক্তার আমার পরিবারের লোকজনকে মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে তিনি চিকিৎসার নামে আমার বাবাকে হত্যা করেছে।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত গ্রাম্য ডাক্তার সুমন কুমার মন্ডল নিজের দায় স্বীকার করে বলেন, আমার এই কাজটি করা ঠিক হয়নি।
সিভিল সার্জন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, কোন গ্রাম্য ডাক্তারের তো একজন রেফার্ড করা রুগীর চিকিৎসাই করতে পারেন না। নি:সন্ধেহে তিনি এটা অন্যায় করেছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাসমত আলী বলেন, এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

 নওগাঁয় পল্লী চিকিৎসকের অপারেশনে মারা গেলো রোগী

আপডেট সময় :
নওগাঁর মহাদেবপুরে সদর হাসপাতাল থেকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ট করা রুগী সাহেদ আলীকে অপারেশন করার অভিযোগ উঠেছে পল্লী চিকিৎসক সুমন কুমার মন্ডলের বিরুদ্ধে। তার অপারেশনের পর ক্ষতস্থানের মাংস পচে খুলে পরার পর সাহেদ আলীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। গত বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৯ টার সময় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত সাহেদ আলী উপজেলার বাগধানা (ঘোলাগাড়ী) গ্রামের মৃত কাফির উদ্দিনের ছেলে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নিহত সাহেদ আলী তার কোমরে ফোঁড়া বের হওয়ার পর নওগাঁ সদর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়। সেখানে চিকিৎসা নেওয়ার এক পর্যায়ে গত ২ অক্টোবর নওগাঁ হাসপাতাল থেকে অপারেশন করার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। রাজশাহীতে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে তার পরিবারের লোকজন তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। এ ঘটনাটি তাদের পারিবারিক পল্লী চিকিৎসক সুমন কুমারকে জানালে সে রাজশাহীতে নিয়ে যাওয়া লাগবে না জানিয়ে ওই দিনই তাকে অপারেশন করে। এরপর এক সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন ড্রেসিং করে দেয়।
পরে নিহতের অপারেশন করার স্থানের মাংস পচে খুলে পড়তে লাগলে তার অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে গত মঙ্গলবার রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেয়। তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিবারের লোকজন তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার ভোরে সে মারা যায়।
এ বিষয়ে নিহতের ছেলে মো. ফরিদ বলেন, আমরা গরিব মানুষ। পেটের দায়ে ঢাকা শহরে গিয়ে রিকশা চালায়। আমার বাবাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহীতে প্রেরণ করেন। ওই গ্রাম্য ডাক্তার আমার পরিবারের লোকজনকে মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে তিনি চিকিৎসার নামে আমার বাবাকে হত্যা করেছে।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত গ্রাম্য ডাক্তার সুমন কুমার মন্ডল নিজের দায় স্বীকার করে বলেন, আমার এই কাজটি করা ঠিক হয়নি।
সিভিল সার্জন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, কোন গ্রাম্য ডাক্তারের তো একজন রেফার্ড করা রুগীর চিকিৎসাই করতে পারেন না। নি:সন্ধেহে তিনি এটা অন্যায় করেছেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাসমত আলী বলেন, এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।