ঢাকা ১১:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

নদী দখলবাজদের অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হবে : উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১০:০০:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪ ৫৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

উন্নয়ন ফ্যাসিস্টদের শব্দ। উন্নয়নের কথা বলে তারা আমাদের গণতন্ত্র হরণ করেছে, পরিবেশ ধ্বংস করেছে

নদী দখলবাজদের অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। নতুন সংবিধানে নদী ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় উদ্যোগের কথা লেখা হবে। উন্নয়ন ফ্যাসিস্টদের শব্দ। উন্নয়নের কথা বলে তারা আমাদের গণতন্ত্র হরণ করেছে, পরিবেশ ধ্বংস করেছে। নদী যদি রঙ বদলাতে পারতো, তাহলে নদীর পানি রক্তের মতো লাল হতো। নদী হত্যার জন্য নদী হত্যাকারীদের বিচার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

মঙ্গলবার বিকালে প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) অডিটোরিয়ামে ফ্যাসিবাদের কবলে নদী শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেছেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উপদেষ্টা।

ফরিদা আখতার আরও বলেন, আমরা দেখি হাওরের রাস্তায় আলপনা আঁকা হয়। পরবর্তীতে সেই রং গিয়ে পানিতে পড়ে, এতে অনেক মাছ মারা যায়, পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সে বিষয়ে কথা বলা লোকের সংখ্যা বর্তমান সমাজে একেবারেই কম। তাই নদী দখলকারীদের বিরুদ্ধে নতুন করে আইন করা যায় কিনা সেটা ভেবে দেখা হচ্ছে।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ডাক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আবরার ফাহাদ নদীর কথা বলতে গিয়ে শহীদ হন। ফ্যাসিবাদের কবলে পড়ে বিগত ১৬ বছরে নদীর যে বিপর্যস্ত অবস্থা তার সমাধান কিভাবে করা যায় সে বিষয়ে ভাবতে হবে। নদী, কৃষি এবং পরিবেশ নিয়ে জাতীয় নীতি গ্রহণ করা হবে।

নাহিদ ইসলাম আরও বলেছেন, বাংলাদেশের অস্তিত্বের সাথে নদীর সম্পর্ক। স্বাধীনতা সংগ্রামে আমাদের স্লোগান ছিল পদ্মা মেঘনা যমুনা তোমার আমার ঠিকানা। ঢাকার চতুর্দিকে চারটা নদী রয়েছে এই নদীগুলোকে মাথায় রেখে নগর পরিকল্পনা করতে পারলে তা জনবান্ধব হতো।

বিভিন্ন মাফিয়ারা নদী দখল এবং পরিবেশ ধ্বংস করে গোষ্ঠীস্বার্থ হাসিল করেছে। আমরা যাতে দখলদারদের প্রতিহত করতে পারি সে জন্য রূপরেখা প্রণয়ন করা হবে। দীর্ঘমেয়াদী এবং স্বল্পমেয়াদী রূপরেখা প্রণয়নে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।

অনুষ্ঠানে পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দীন, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, তিস্তা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতিসহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার (আরডিআরসি)’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নদী দখলবাজদের অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হবে : উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

আপডেট সময় : ১০:০০:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৪

 

উন্নয়ন ফ্যাসিস্টদের শব্দ। উন্নয়নের কথা বলে তারা আমাদের গণতন্ত্র হরণ করেছে, পরিবেশ ধ্বংস করেছে

নদী দখলবাজদের অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। নতুন সংবিধানে নদী ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় উদ্যোগের কথা লেখা হবে। উন্নয়ন ফ্যাসিস্টদের শব্দ। উন্নয়নের কথা বলে তারা আমাদের গণতন্ত্র হরণ করেছে, পরিবেশ ধ্বংস করেছে। নদী যদি রঙ বদলাতে পারতো, তাহলে নদীর পানি রক্তের মতো লাল হতো। নদী হত্যার জন্য নদী হত্যাকারীদের বিচার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

মঙ্গলবার বিকালে প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) অডিটোরিয়ামে ফ্যাসিবাদের কবলে নদী শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেছেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উপদেষ্টা।

ফরিদা আখতার আরও বলেন, আমরা দেখি হাওরের রাস্তায় আলপনা আঁকা হয়। পরবর্তীতে সেই রং গিয়ে পানিতে পড়ে, এতে অনেক মাছ মারা যায়, পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সে বিষয়ে কথা বলা লোকের সংখ্যা বর্তমান সমাজে একেবারেই কম। তাই নদী দখলকারীদের বিরুদ্ধে নতুন করে আইন করা যায় কিনা সেটা ভেবে দেখা হচ্ছে।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ডাক, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আবরার ফাহাদ নদীর কথা বলতে গিয়ে শহীদ হন। ফ্যাসিবাদের কবলে পড়ে বিগত ১৬ বছরে নদীর যে বিপর্যস্ত অবস্থা তার সমাধান কিভাবে করা যায় সে বিষয়ে ভাবতে হবে। নদী, কৃষি এবং পরিবেশ নিয়ে জাতীয় নীতি গ্রহণ করা হবে।

নাহিদ ইসলাম আরও বলেছেন, বাংলাদেশের অস্তিত্বের সাথে নদীর সম্পর্ক। স্বাধীনতা সংগ্রামে আমাদের স্লোগান ছিল পদ্মা মেঘনা যমুনা তোমার আমার ঠিকানা। ঢাকার চতুর্দিকে চারটা নদী রয়েছে এই নদীগুলোকে মাথায় রেখে নগর পরিকল্পনা করতে পারলে তা জনবান্ধব হতো।

বিভিন্ন মাফিয়ারা নদী দখল এবং পরিবেশ ধ্বংস করে গোষ্ঠীস্বার্থ হাসিল করেছে। আমরা যাতে দখলদারদের প্রতিহত করতে পারি সে জন্য রূপরেখা প্রণয়ন করা হবে। দীর্ঘমেয়াদী এবং স্বল্পমেয়াদী রূপরেখা প্রণয়নে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।

অনুষ্ঠানে পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দীন, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, তিস্তা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতিসহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার (আরডিআরসি)’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ।