ঢাকা ০৪:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নবীনগরে রাস্তা পানির নিচে, দুর্ভোগে পৌরবাসী

আবদুল হাদী, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
  • আপডেট সময় : ৩২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড এর অন্তর্গত পশ্চিমপাড়ার (ফতেহপুর রাস্তা) রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে থাকার ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ঐ মহল্লাবাসীকে। শিক্ষার্থী ও পথচারীদের হাঁটুসমান ময়লাযুক্ত পানি পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয়। কখনো পানির নিচে ডুবে থাকা রাস্তার খানাখন্দে পড়ে গিয়ে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। ময়লা পানির কারণে চর্মরোগসহ ছড়িয়ে পড়ছে নানা রোগ। স্থানীয়দের অভিযোগ- রাস্তাঘাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার বেহাল দশার কারণে এ রাস্তাটি বছরের দীর্ঘ সময় পানির নিচে তলিয়ে থাকে। এ ছাড়া সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। সরেজমিন দেখা যায়- নবীনগর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড এর অন্তর্গত ফতেহপুর রাস্তার বেহাল অবস্থা। স্থানীয়রা জানান- এই রাস্তার একাংশ প্রায় সারা বছরই পানির নিচে তলিয়ে থাকে। বৃষ্টি হলে ধারণ করে জলাবদ্ধতার ভয়াবহ রূপ। পৌর এলাকায় নিয়মিত ড্রেন খনন না করায় সামান্য বৃষ্টি হলেই এ রাস্তাটি পানির নিচে তলিয়ে যায়। ২ নং ওয়ার্ডের ফতেপুর রোডের বাসিন্দা খন্দকার আলমগীর হোসেন বলেন- এ রাস্তাটি বছরের বেশির ভাগ সময়ই পানির নিচে তলিয়ে থাকে। বৃষ্টির পানি জমে ব্যস্ততম এই রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তাই দ্রুত ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নের দাবি করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
ওই এলাকার একাধিক ব্যক্তি বলেন- নামে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা আর পানিতে ডুবে থাকা খানাখন্দে ভরা রাস্তায় বিপর্যস্ত পৌরসভার এ এলাকাবাসী।
পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীব চৌধুরী বলেন-“পশ্চিমপাড়া ফতেহপুর রোডে আমরা ইতিমধ্যে একটি প্রকল্প দিয়েছি। ঠিকাদারকে ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসন ও জনদুর্ভোগ লাগবে কাজটি দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। এ ছাড়াও পরিচ্ছন্নতাকর্মী বাড়ানো হয়েছে এবং নিয়মিত ড্রেন গুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে। আশা করি এই সমস্যা সামনে আর থাকবে না”।
উল্লেখ্য ১৯৯৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তিতাস পাড়ের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরকে পৌরসভায় উন্নীত করা হয়। ৬৮ হাজার ২১৯ জনসংখ্যার নবীনগরকে ২০০৯ সালে প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় রূপান্তর করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নবীনগরে রাস্তা পানির নিচে, দুর্ভোগে পৌরবাসী

আপডেট সময় :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড এর অন্তর্গত পশ্চিমপাড়ার (ফতেহপুর রাস্তা) রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে থাকার ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ঐ মহল্লাবাসীকে। শিক্ষার্থী ও পথচারীদের হাঁটুসমান ময়লাযুক্ত পানি পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয়। কখনো পানির নিচে ডুবে থাকা রাস্তার খানাখন্দে পড়ে গিয়ে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। ময়লা পানির কারণে চর্মরোগসহ ছড়িয়ে পড়ছে নানা রোগ। স্থানীয়দের অভিযোগ- রাস্তাঘাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার বেহাল দশার কারণে এ রাস্তাটি বছরের দীর্ঘ সময় পানির নিচে তলিয়ে থাকে। এ ছাড়া সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। সরেজমিন দেখা যায়- নবীনগর পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড এর অন্তর্গত ফতেহপুর রাস্তার বেহাল অবস্থা। স্থানীয়রা জানান- এই রাস্তার একাংশ প্রায় সারা বছরই পানির নিচে তলিয়ে থাকে। বৃষ্টি হলে ধারণ করে জলাবদ্ধতার ভয়াবহ রূপ। পৌর এলাকায় নিয়মিত ড্রেন খনন না করায় সামান্য বৃষ্টি হলেই এ রাস্তাটি পানির নিচে তলিয়ে যায়। ২ নং ওয়ার্ডের ফতেপুর রোডের বাসিন্দা খন্দকার আলমগীর হোসেন বলেন- এ রাস্তাটি বছরের বেশির ভাগ সময়ই পানির নিচে তলিয়ে থাকে। বৃষ্টির পানি জমে ব্যস্ততম এই রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তাই দ্রুত ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নের দাবি করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
ওই এলাকার একাধিক ব্যক্তি বলেন- নামে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা আর পানিতে ডুবে থাকা খানাখন্দে ভরা রাস্তায় বিপর্যস্ত পৌরসভার এ এলাকাবাসী।
পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীব চৌধুরী বলেন-“পশ্চিমপাড়া ফতেহপুর রোডে আমরা ইতিমধ্যে একটি প্রকল্প দিয়েছি। ঠিকাদারকে ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসন ও জনদুর্ভোগ লাগবে কাজটি দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। এ ছাড়াও পরিচ্ছন্নতাকর্মী বাড়ানো হয়েছে এবং নিয়মিত ড্রেন গুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে। আশা করি এই সমস্যা সামনে আর থাকবে না”।
উল্লেখ্য ১৯৯৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তিতাস পাড়ের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরকে পৌরসভায় উন্নীত করা হয়। ৬৮ হাজার ২১৯ জনসংখ্যার নবীনগরকে ২০০৯ সালে প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় রূপান্তর করা হয়।