নাটোরে উপজেলা পদপ্রার্থীকে অপরহণের দায়ে আরও একজন গ্রেপ্তার
- আপডেট সময় : ১০:৪০:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৬৫ বার পড়া হয়েছে
নাটোর জেলা নির্বাচন অফিসের সামনে থেকে ফিল্মী কায়দায় সিংড়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেন, তার ভাই ও অপর এক নেতাকে অপহরণের ঘটনায় মো. আতাউর রহমানকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি মতে অপহরণ কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস কালো রঙের মাইক্রোবাস, তার মধ্য থেরেক দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে।
এসব অস্ত্রশস্ত্রে মধ্যে রয়েছে, ২টি চায়না চাপাতি, ১টি চায়না টিপ চাকু, ১টি বার্মিজ কাটার, ২টি দেশীয় রামদা, ২টি টি স্টিলের পাইপ, ২টি টি স্ট্যাম্প (লাঠি), ১টি দেশীয় তৈরি চাপাতি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. রুবেল হোসেনের অসংখ্য লিফলেট, স্টিকার, ক্যালেন্ডার সম্বলিত পোস্টার ছবি উদ্ধার করে পুলিশ।
শনিবার (২০ এপ্রিল) সিংড়া উপজেলা থেকে আতাউর রহমানকে গ্রেপ্তারের পর সন্ধ্যা ৭টায় নাটোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হয়।
এর আগে গত সোমবার (১৫ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য দেলোয়ার হোসেন ব্যাংকে জামানতের টাকা জমা দেওয়ার জন্য বের হন। পরে জরুরি প্রয়োজনে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে গেলে অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জন একটি কালো রংয়ের মাইক্রোবাসে যোগে জোর পূর্বক অপহরণ করে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে পালিয়ে যায়।
অপহরণকারীরা দেলোয়ার হোসেনকে প্রচণ্ড মারপিট করে। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় মাইক্রোবাস থেকে ফেলে যায়। দেলোয়ারকে উদ্ধার করে রাজশা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থতাবোধ করলে তাকে বেডে স্থানান্তর করা হয়।
দেলোয়ার হোসেনের ভাই মজিবর রহমান নাটোর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে জড়িত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে। যাদের একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক উপজেলা চেয়ারম্যানপ্রার্থী লুৎফুল হাবীব রুবেলের নির্দেশে দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ এবং মারধর করা হয়েছে বলে জবানবন্দীতে উল্লেখ করেন।