নাটোরে নববর্ষেও দেশের মানুষ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ : দুলু

- আপডেট সময় : ০২:৫৩:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫ ৪২ বার পড়া হয়েছে
বাঙালির প্রাণের উৎসব নববর্ষ উপলক্ষ্যেও বাংলাদেশের মানুষ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান অতিথি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী এ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ১২টার সময় পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে নাটোর জেলা বিএনপি আয়োজিত বিশাল শোভাযাত্রা প্রধান প্রধান সড়ক পদক্ষেণ করে কানাইখালি পুরাতন বাস টার্মিনালে শেষ করে সেখানে একটি সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমরা দেখেছি এই পহেলা বৈশাখ আসলেই শেখ হাসিনা র্যাব-পুলিশ দিয়ে এমন একটি অবস্থা সৃষ্টি করতো।
জঙ্গি জঙ্গি খেলা করতো। এগুলো করে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের মানুষকে জঙ্গি প্রমাণ করার চেষ্টা করতো। শুধুমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য। আজকে হাসিনা নাই, দেশে জঙ্গিও নাই।তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশ সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তবে আমাদের ভুলে গেলে চলবে না নাটোরে যারা আমাদের রক্ত ঝরিয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীদেরকে হত্যা করেছে তাদেরকে কোনোভাবেই ক্ষমা করা যাবে না। নাটোরের অবৈধ সন্ত্রাসী এমপি গোপনে আস্ফালন করার চেষ্টা করছে। এই সন্ত্রাসীকে দমনে নাটোরের বিএনপি নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ। এই সন্ত্রাসীদের জন্য ঈদে বাড়িতে এসে খাবার না খেয়ে ঢাকায় ফিরে যেতে হয়েছে। এগুলো আমরা ভুলে যাইনি। এই সন্ত্রাসীদের বিচার নাটোরের মাটিতেই করব।
এ সময় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজ, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদ, যুগ্ন আহবায়ক সাইফুল ইসলাম আফতাব,যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান খান চৌধুরী বাবুল, মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন, জেলা যুবদলের সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নাটোরে পালিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষ সকালে শহরের মহারাজা জগদীন্দ্র নাথ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গন থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রা জেলা প্রশাসক মিজ আসমা শাহীন ও পুলিশ সুপার আমজাদ হোসেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা ও মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন। পরে নাটোর রানী ভবানী রাজবাড়ি চত্বর মুক্তমঞ্চের আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং দুই দিনব্যাপী গ্রামীণ মেলার আয়োজন করা হয়