ঢাকা ০১:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 নির্মাণের মাত্র ১০ দিন না পেরুতেই ওঠে যাচ্ছে সড়কের পিচ

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৫৯:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪ ২০৫ বার পড়া হয়েছে

নির্মাণের ১০ দিনের মাথায় ওঠছে সড়কের পিচ: ছবি সংগ্রহ

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সড়কটির ঠিকানা পটুয়াখালীর মহিপুর। ১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩.৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটির নির্মাণের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। আর ঠিকাদারি কাজ পায় শহীদুল এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রকল্পের আওতায় সড়কটি নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার মাত্র ১০ দিওেনর মাথায় পিচ ওঠে গিয়ে মাটি বেড়িয়ে আসছে। এলজিআরডির নির্দেশনা অনুযায়ী ২৫ মিলিমিটার পুরো পিচ ঢালাই দেওয়ার কথা থাকলেও অনেক স্থানেই দেওয়া হয়েছে ১৫ থেকে ২০ মিলিমিটার।

এই দুরবস্থা হয়েছে সাগর সিনেমা হল থেকে নিজামপুর খেয়াঘাট পর্যন্ত ৩.৩ কিলোমিটার সড়কের। কলাপাড়া উপজেলা এলজিইডি অফিসের উদাসীনতা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতিতে সড়কের এমন বেহাল দশা হয়েছে। এতে ক্ষোভে ফুঁসে উঠছে এলাকাবাসী।

১০ দিন আগে শেষ হয়েছে এ সড়কের পিচ ঢালাইয়ের কাজ। ইতোমধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বিল পরিশোধ করা হয়েছে প্রায় ৯০ লাখ টাকা। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় হস্তান্তরের আগেই বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে সড়কটি।


এলাকার বাসিন্দা সোলেমান মুন্সী সংবাদমাধ্যমকে জানান, এখনই পিচ উঠে যাচ্ছে। নিচে কোনও ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়নি। অনেক স্থানে শুধু মাটির উপর পিচ দেওয়া হয়েছে। আমরা সড়কটি আবার নতুন করে নির্মাণের দাবি জানাই।

নির্মাণ প্রতিষ্ঠান শহিদুল এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মো. শহীদ জানান, এখানে আমরা কোনও অনিয়ম দুর্নীতি করিনি। আমি এ কাজটি সাব কন্টাক দিয়েছি। তাকেও সম্পূর্ণ বিল দেওয়া হয়নি। বৃষ্টির কারণে সমস্যা হয়েছে। আমরা আবার ঠিক করে দেবো।

কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোতালেব তালুকদার সংবাদমাধ্যমকে জানান, আমি ভিডিও দেখেছি। এ সড়কটিতে অত্যন্ত নিম্নমানের কাজ হয়েছে। তদারকি কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর সুপারিশের পাশাপাশি দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন করে নির্মাণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, নিম্নমানের কাজ হওয়ায় ইতোমধ্যে এলজিইডি কর্মকর্তাদের সঠিক তদারকির মাধ্যমে নতুন করে সড়কটি মেরামত করতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাদেকুর রহমান সাদেক। সড়কটি পুনর্র্নিমাণ না করা পর্যন্ত বাকি বিল আটকে রাখা হবে বলে জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

 নির্মাণের মাত্র ১০ দিন না পেরুতেই ওঠে যাচ্ছে সড়কের পিচ

আপডেট সময় : ১০:৫৯:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪

 

সড়কটির ঠিকানা পটুয়াখালীর মহিপুর। ১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩.৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটির নির্মাণের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। আর ঠিকাদারি কাজ পায় শহীদুল এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রকল্পের আওতায় সড়কটি নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার মাত্র ১০ দিওেনর মাথায় পিচ ওঠে গিয়ে মাটি বেড়িয়ে আসছে। এলজিআরডির নির্দেশনা অনুযায়ী ২৫ মিলিমিটার পুরো পিচ ঢালাই দেওয়ার কথা থাকলেও অনেক স্থানেই দেওয়া হয়েছে ১৫ থেকে ২০ মিলিমিটার।

এই দুরবস্থা হয়েছে সাগর সিনেমা হল থেকে নিজামপুর খেয়াঘাট পর্যন্ত ৩.৩ কিলোমিটার সড়কের। কলাপাড়া উপজেলা এলজিইডি অফিসের উদাসীনতা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতিতে সড়কের এমন বেহাল দশা হয়েছে। এতে ক্ষোভে ফুঁসে উঠছে এলাকাবাসী।

১০ দিন আগে শেষ হয়েছে এ সড়কের পিচ ঢালাইয়ের কাজ। ইতোমধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বিল পরিশোধ করা হয়েছে প্রায় ৯০ লাখ টাকা। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় হস্তান্তরের আগেই বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে সড়কটি।


এলাকার বাসিন্দা সোলেমান মুন্সী সংবাদমাধ্যমকে জানান, এখনই পিচ উঠে যাচ্ছে। নিচে কোনও ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়নি। অনেক স্থানে শুধু মাটির উপর পিচ দেওয়া হয়েছে। আমরা সড়কটি আবার নতুন করে নির্মাণের দাবি জানাই।

নির্মাণ প্রতিষ্ঠান শহিদুল এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মো. শহীদ জানান, এখানে আমরা কোনও অনিয়ম দুর্নীতি করিনি। আমি এ কাজটি সাব কন্টাক দিয়েছি। তাকেও সম্পূর্ণ বিল দেওয়া হয়নি। বৃষ্টির কারণে সমস্যা হয়েছে। আমরা আবার ঠিক করে দেবো।

কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোতালেব তালুকদার সংবাদমাধ্যমকে জানান, আমি ভিডিও দেখেছি। এ সড়কটিতে অত্যন্ত নিম্নমানের কাজ হয়েছে। তদারকি কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর সুপারিশের পাশাপাশি দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন করে নির্মাণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, নিম্নমানের কাজ হওয়ায় ইতোমধ্যে এলজিইডি কর্মকর্তাদের সঠিক তদারকির মাধ্যমে নতুন করে সড়কটি মেরামত করতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি কলাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাদেকুর রহমান সাদেক। সড়কটি পুনর্র্নিমাণ না করা পর্যন্ত বাকি বিল আটকে রাখা হবে বলে জানান তিনি।