ঢাকা ০৩:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo পাইকগাছায় বেগম রোকেয়া দিবসে শ্রেষ্ঠ জয়িতা সম্মাননা প্রদান  Logo ভারতীয় গণমাধ্যমে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে বলেছে বাংলাদেশ Logo অন্তর্বর্তী সকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহী ভারত Logo আমলারা বহুরূপী হয়ে সামনে আসেন বলেন: ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য Logo ইইউ’র ভিসা সেন্টার দিল্লি থেকে ঢাকায় স্থানান্তরের অনুরোধ Logo ডিআরইউর সভাপতি, যুগ্ম সম্পাদক ও ইসি সদস্যকে ক্র্যাবের সংবর্ধনা Logo রাজনৈতিক পরিচয়ে ১৫ বছরে ৯০ হাজার পুলিশ নিয়োগ: ডিএমপি কমিশনার Logo বাণিজ্য বন্ধ করলে ভারত দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে পারবে না: গয়েশ্বর Logo শেরপুরে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস পালিত Logo ভান্ডারিয়ায় আন্তর্জাতিক দুর্নীতি প্রতিরোধ দিবস পালিত

নূর হোসেন দিবসে তারেক রহমান,  ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা ষড়যন্ত্র করছে 

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:১০:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪ ৩৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব আন্দোলনে ফ্যাসিবাদের পতন হলেও তাদের প্রেতাত্মারা এখনো ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে দেওয়া বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করে আরও বলেন, যে স্বপ্ন চোখে নিয়ে নূর হোসেন জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, তার সে স্বপ্ন আজও পুরোপুরি সফল হয়নি।
তিনি বলেন, আজকের এই দিনে আমি দল-মত নির্বিশেষে সবার প্রতি আহ্বান জানাই, আসুন সব চক্রান্ত মোকাবিলা করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি।
তারেক রহমান বলেন, ১৯৯০ এর মুক্ত হওয়া গণতন্ত্র আবার শৃঙ্খলিত হয়েছে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরে আগের রাতের নির্বাচন ও ২০২৪ সালের ডামি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতন ঘটলেও তাদের প্রেতাত্মারা এখনো ষড়যন্ত্র করছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর পাঠানো বাণীতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শহীদ নূর হোসেনকে ‘স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের বীর’ আখ্যা দিয়ে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং তার রুহের শান্তি কামনা করেন।
তারেক রহমান বলেন, আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে নূর হোসেন একটি অবিস্মরণীয় নাম। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের এক লড়াকু সৈনিক হিসেবে তিনি রাজপথে নেমে এসেছিলেন। তার বুকে পিঠে লিখা ছিল- ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের দাবিতে সোচ্চার এই যুবকের কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল স্বৈরাচারের বন্দুক। স্বৈরাচারের বুলেট বুকে বরণ করে নিয়েছিলেন নূর হোসেন। তার সে অবদান বৃথা যায়নি। তাকে হত্যার মাধ্যমে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে চেয়েছিল স্বৈরশাসক গোষ্ঠী। কিন্তু নূর হোসেনের রক্তের ধারা বেয়েই নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরশাসকের পতন ঘটে, মুক্ত হয় আমাদের গণতন্ত্র।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নূর হোসেন দিবসে তারেক রহমান,  ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা ষড়যন্ত্র করছে 

আপডেট সময় : ০৯:১০:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪

 

ছাত্র-জনতার অভূতপূর্ব আন্দোলনে ফ্যাসিবাদের পতন হলেও তাদের প্রেতাত্মারা এখনো ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
১০ নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে দেওয়া বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করে আরও বলেন, যে স্বপ্ন চোখে নিয়ে নূর হোসেন জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, তার সে স্বপ্ন আজও পুরোপুরি সফল হয়নি।
তিনি বলেন, আজকের এই দিনে আমি দল-মত নির্বিশেষে সবার প্রতি আহ্বান জানাই, আসুন সব চক্রান্ত মোকাবিলা করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি।
তারেক রহমান বলেন, ১৯৯০ এর মুক্ত হওয়া গণতন্ত্র আবার শৃঙ্খলিত হয়েছে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরে আগের রাতের নির্বাচন ও ২০২৪ সালের ডামি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতন ঘটলেও তাদের প্রেতাত্মারা এখনো ষড়যন্ত্র করছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর পাঠানো বাণীতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শহীদ নূর হোসেনকে ‘স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের বীর’ আখ্যা দিয়ে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং তার রুহের শান্তি কামনা করেন।
তারেক রহমান বলেন, আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে নূর হোসেন একটি অবিস্মরণীয় নাম। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের এক লড়াকু সৈনিক হিসেবে তিনি রাজপথে নেমে এসেছিলেন। তার বুকে পিঠে লিখা ছিল- ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের দাবিতে সোচ্চার এই যুবকের কণ্ঠকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল স্বৈরাচারের বন্দুক। স্বৈরাচারের বুলেট বুকে বরণ করে নিয়েছিলেন নূর হোসেন। তার সে অবদান বৃথা যায়নি। তাকে হত্যার মাধ্যমে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে চেয়েছিল স্বৈরশাসক গোষ্ঠী। কিন্তু নূর হোসেনের রক্তের ধারা বেয়েই নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরশাসকের পতন ঘটে, মুক্ত হয় আমাদের গণতন্ত্র।