ঢাকা ০১:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বেনাপোলে দেড় কোটি টাকার ভারতীয় চোরাই পণ্য জব্দ Logo কোস্টগার্ডের অভিযানে ইয়াবা গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক Logo মোংলায় কোস্টগার্ডের যুদ্ধজাহাজ “কামরুজ্জামান” ঘুরে দেখলেন দর্শনার্থীরা  Logo মাগুরায় গ্যাস ব্যবসায়ীর উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ Logo ডামুড্যায় স্বাধীনতা দিবসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান Logo পলাশবাড়ীতে ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ৪২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় Logo দখল আর দূষণে হারিয়ে যাচ্ছে নওগাঁর ছোট যমুনা নদী Logo নওগাঁয় অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৬ জন হাসপাতালে ভর্তি Logo মহান স্বাধীনতা উপলক্ষে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার, হবিগঞ্জ Logo পাইকগাছায় ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে উপজেলা কৃষকদল সভাপতি’র পাল্টা সংবাদ সম্মেলন

ময়মনসিংহে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা

পরকীয়া প্রেমিকসহ স্ত্রীর আমৃত্যু কারাদন্ড

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০১:৫৪:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৯৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় স্বামীকে হত্যাকান্ডের ঘটনায় পরকীয়া প্রেমিকসহ স্ত্রীর আমৃত্যু কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ময়মনসিংহ পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আলী মনসুর এ রায় ঘোষণা করেন।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- হাফিজা খাতুন (৪২) ও তার পরকীয়া প্রেমিক আবদ্ল্লুাহ আল মাসুম (৩৬)। আমৃত্যু কারাদন্ড দেওয়ার পাশাপাশি দুজনকে ১ লাখ টাকা করে অর্থদন্ডও দেওয়া হয়েছে। মামলার চার্জশিটভুক্ত অপর আসামী মো. আরমান মামলার স্বাক্ষ্য চলাকালে মৃত্যুবরণ করায় তাকে মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। পলাতক থাকায় আবদুল্লাহ আল মাসুমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

আদালত ও মামলার নথির বরাত দিয়ে সহকারী সরকারি আইন কর্মকর্তা (এপিপি) মো: শামীম উল আজম খান জানান, ২০১১ সালের ২৮ জুন খুন হয় মুক্তাগাছা উপজেলার ভাবকীর মোড় এলাকার দুবাই প্রবাসী হেলাল উদ্দিন। হাফিজা খাতুন তার প্রবাস ফেরত স্বামীকে হত্যার জন্য সদর উপজেলার চরঘাগড়া গ্রামের আবদুল্লাহ আল মাসুমকে নিয়ে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে ঘুম পাড়ান স্ত্রী হাফিজা খাতুন। তারপর মাসুম ও তার এক সহযোগী বাড়িতে গিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে হেলাল উদ্দিনকে। পরে এ ঘটনাকে ডাকাতির নাটক সাজিয়েছিলেন তারা।

ঘটনার পরদিন নিহত হেলাল উদ্দিনের বোন সাফিয়া আক্তার বাদি হয়ে মুক্তাগাছা থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় পুলিশ হাফিজা খাতুন, তার পরকীয়া প্রেমিক আবদুল্লাহ আল মাসুম এবং মো. আরমানসহ তিনজনের নামে আদালতে চার্জশিট দেয়। মামলায় আসামী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সাজেদুর রহমান এবং রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন সহকারী সরকারি আইন কর্মকর্তা (এপিপি) মো. শামীম উল আজম খান।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ময়মনসিংহে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যা

পরকীয়া প্রেমিকসহ স্ত্রীর আমৃত্যু কারাদন্ড

আপডেট সময় : ০১:৫৪:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় স্বামীকে হত্যাকান্ডের ঘটনায় পরকীয়া প্রেমিকসহ স্ত্রীর আমৃত্যু কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ময়মনসিংহ পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আলী মনসুর এ রায় ঘোষণা করেন।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- হাফিজা খাতুন (৪২) ও তার পরকীয়া প্রেমিক আবদ্ল্লুাহ আল মাসুম (৩৬)। আমৃত্যু কারাদন্ড দেওয়ার পাশাপাশি দুজনকে ১ লাখ টাকা করে অর্থদন্ডও দেওয়া হয়েছে। মামলার চার্জশিটভুক্ত অপর আসামী মো. আরমান মামলার স্বাক্ষ্য চলাকালে মৃত্যুবরণ করায় তাকে মামলা থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। পলাতক থাকায় আবদুল্লাহ আল মাসুমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

আদালত ও মামলার নথির বরাত দিয়ে সহকারী সরকারি আইন কর্মকর্তা (এপিপি) মো: শামীম উল আজম খান জানান, ২০১১ সালের ২৮ জুন খুন হয় মুক্তাগাছা উপজেলার ভাবকীর মোড় এলাকার দুবাই প্রবাসী হেলাল উদ্দিন। হাফিজা খাতুন তার প্রবাস ফেরত স্বামীকে হত্যার জন্য সদর উপজেলার চরঘাগড়া গ্রামের আবদুল্লাহ আল মাসুমকে নিয়ে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে ঘুম পাড়ান স্ত্রী হাফিজা খাতুন। তারপর মাসুম ও তার এক সহযোগী বাড়িতে গিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে হেলাল উদ্দিনকে। পরে এ ঘটনাকে ডাকাতির নাটক সাজিয়েছিলেন তারা।

ঘটনার পরদিন নিহত হেলাল উদ্দিনের বোন সাফিয়া আক্তার বাদি হয়ে মুক্তাগাছা থানায় মামলা করেন। সেই মামলায় পুলিশ হাফিজা খাতুন, তার পরকীয়া প্রেমিক আবদুল্লাহ আল মাসুম এবং মো. আরমানসহ তিনজনের নামে আদালতে চার্জশিট দেয়। মামলায় আসামী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সাজেদুর রহমান এবং রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন সহকারী সরকারি আইন কর্মকর্তা (এপিপি) মো. শামীম উল আজম খান।