পালানো হাসিনা, রেহানা, জয়, টিউলিপের দুর্নীতি অনুসন্ধানে মাঠে নামছে দুদক
- আপডেট সময় : ০৫:১৭:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ৬০ বার পড়া হয়েছে
স্মরণকালের দুর্নীতিবাজ সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা (বর্তমানে পালিয়ে ভারতে অবস্থান), তার বোন রেহানা, হাসিনাপুত্র জয় এবং রেহানা কন্যা টিউলিপদের দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে মাঠে নামছে দুর্নীতি দমন কমিমন (দদুদ)। সংস্থাটি শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে তদন্ত বা অনুসন্ধানের উদ্যোগ এটাই প্রথম। সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন মঙ্গলবার কমিশনের এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
দুদক মতে আওয়ামী লীগ সরকারের বিশেষ অগ্রাধিকারের আট প্রকল্পে ২১ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে কমিশন। এর আগে শেখ হাসিনা পরিবারের দুর্নীতি তদন্তে রুল জারির দু’দিনের মাথায় দুদকের তরফে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত জানানো এলো।
বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাই কোর্ট বেঞ্চ গত রোববার রুল জারি করেছিলেন। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প থেকে মালয়েশিয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকের ৫ বিলিয়ন ডলার লোপাটের অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে ৫৯ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছে দুদক। এসব দুর্নীতিতে শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, বোন শেখ রেহানা ও তার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। মঙ্গলবার দুদক চেয়ারম্যান আবদুল মোমেনের নেতৃত্বে কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
দুদকের নথিতে বলা হয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে দুর্নীতির ওই অভিযোগ কমিশনের গোচরে এনেছেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম এর চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। আর আশ্রয়ণ প্রকল্প, বেজা ও বেপজার আট প্রকল্প বাস্তবায়নের আড়ালে ২১ হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগটি এসেছে সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে।
ছাত্র-জনতার প্রবল গণ-আন্দোলনে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। এরপর গত ৫ অগাস্ট পালিয়ে ভারতে চলে যায় শেখ হাসিনা। সে সময় বোন রেহানাও তার সঙ্গে ছিলেন। হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী।
আর রেহানার মেয়ে টিউলিপ যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য। ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগে হাসিনা, রেহানা ও জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। আন্দোলনের সময় হত্যার কয়েক ডজন মামলায় আসামি তারা। আওয়ামী লীগের সময়ে ব্যাপক দুর্নীতির যেসব অভিযোগ বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে, সে বিষয়ে তদন্ত বা অনুসন্ধানের উদ্যোগ এটাই প্রথম।