ঢাকা ০৩:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৫ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কালীগঞ্জে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত Logo শেরপুর-৩ আসনে বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী এরশাদ আলম জর্জ Logo মানবতার ফেরিওয়ালা গোমস্তাপুর ইউএনও নিশাত আনজুম অনন্যা  Logo টেকনাফে কোস্টগার্ড-র‍্যাবের অভিযানে ইয়াবা মদসহ দুই মাদককারবারী আটক Logo ইমন হত্যা মামলায় গোপালপুর পৌর যুবলীগ সভাপতি গ্রেপ্তার Logo মাদারীপুরে দুই দফা দাবিতে বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশনের কর্মবিরতি Logo অর্থকন্ঠ বিজনেস এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত পপুলারের এমডি বি এম ইউসুফ আলী Logo দাগনভূঞায় গ্রহকের কোটি টাকা নিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তা উধাও!  Logo বর্ষা মৌসুমের আগেই দাগনভূঞা দাদনা খাল সংস্কার কার্যক্রম শুরু আশ্বাস Logo নরসিংদীতে মাদকের টাকা না পেয়ে ছেলে কর্তৃক মাকে পিটিয়ে হত্যা

প্রবাসী আয়ে বড় চমক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১২:১৬:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫ ৩৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
    • এপ্রিলে এসেছে ২ হাজার ৭৫২ মিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স

    • বিশ্লেষকদের মতে- ঈদুল ফিতরের পর প্রবাসী আয়ের এই গতি দেশের অর্থনীতিতে স্বস্তির বার্তা দিচ্ছে

বিদেশে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো অর্থের প্রবাহে বড় ধরনের উল্লম্ফন দেখা গেছে এপ্রিল মাসে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যমতে, ২০২৫ সালের ৩০ এপ্রিল একদিনেই দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর পুরো মাসে (১ থেকে ৩০ এপ্রিল) মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২৭৫২ মিলিয়ন ডলার, বা ২৭৫ কোটি ২০ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত) দেশে প্রবাসী আয় এসেছে মোট ২৪ হাজার ৫৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯ হাজার ১১৯ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এই সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহে ২৮ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
ঈদুল ফিতরের পরও প্রবাসী আয়ের এই গতি দেশের অর্থনীতিতে স্বস্তির বার্তা দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। মার্চ মাসেই রেকর্ড ৩২৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল, যা এক মাসে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। চলতি অর্থবছরের প্রতিটি মাসেই দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে, যা অভিবাসী শ্রমিকদের ব্যাংকিং চ্যানেলের প্রতি আস্থার প্রতিফলন। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, সরকারের প্রণোদনা, হুন্ডি প্রতিরোধে কঠোর নজরদারি এবং প্রবাসীদের জন্য সহজ ব্যাংকিসেবা চালুর ফলে রেমিট্যান্সে এই ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। একইসঙ্গে রফতানিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ও ডলারের বিনিময় হার দীর্ঘদিন ১২২ টাকায় স্থিতিশীল থাকাও অনুকূল প্রভাব ফেলছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের আগস্টে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অতিমাত্রায় ডলার বিক্রির কারণে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে তা নেমে আসে ২০ দশমিক ৩৯ বিলিয়নে। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি বন্ধ করে বাজার থেকে ডলার সংগ্রহের নীতিতে যায়, যার ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে রিজার্ভ পুনরুদ্ধারে। অর্থনীতিবিদদের মতে, রেমিট্যান্স প্রবাহে এই ঊর্ধ্বগতি সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনবে এবং বৈদেশিক ঋণ নির্ভরতা কমাতে সহায়ক হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

প্রবাসী আয়ে বড় চমক

আপডেট সময় : ১২:১৬:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
    • এপ্রিলে এসেছে ২ হাজার ৭৫২ মিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স

    • বিশ্লেষকদের মতে- ঈদুল ফিতরের পর প্রবাসী আয়ের এই গতি দেশের অর্থনীতিতে স্বস্তির বার্তা দিচ্ছে

বিদেশে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো অর্থের প্রবাহে বড় ধরনের উল্লম্ফন দেখা গেছে এপ্রিল মাসে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যমতে, ২০২৫ সালের ৩০ এপ্রিল একদিনেই দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর পুরো মাসে (১ থেকে ৩০ এপ্রিল) মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২৭৫২ মিলিয়ন ডলার, বা ২৭৫ কোটি ২০ লাখ ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত) দেশে প্রবাসী আয় এসেছে মোট ২৪ হাজার ৫৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯ হাজার ১১৯ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ এই সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহে ২৮ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
ঈদুল ফিতরের পরও প্রবাসী আয়ের এই গতি দেশের অর্থনীতিতে স্বস্তির বার্তা দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। মার্চ মাসেই রেকর্ড ৩২৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল, যা এক মাসে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। চলতি অর্থবছরের প্রতিটি মাসেই দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে, যা অভিবাসী শ্রমিকদের ব্যাংকিং চ্যানেলের প্রতি আস্থার প্রতিফলন। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, সরকারের প্রণোদনা, হুন্ডি প্রতিরোধে কঠোর নজরদারি এবং প্রবাসীদের জন্য সহজ ব্যাংকিসেবা চালুর ফলে রেমিট্যান্সে এই ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। একইসঙ্গে রফতানিতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ও ডলারের বিনিময় হার দীর্ঘদিন ১২২ টাকায় স্থিতিশীল থাকাও অনুকূল প্রভাব ফেলছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের আগস্টে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ দশমিক ০৬ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছিল। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অতিমাত্রায় ডলার বিক্রির কারণে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে তা নেমে আসে ২০ দশমিক ৩৯ বিলিয়নে। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি বন্ধ করে বাজার থেকে ডলার সংগ্রহের নীতিতে যায়, যার ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে রিজার্ভ পুনরুদ্ধারে। অর্থনীতিবিদদের মতে, রেমিট্যান্স প্রবাহে এই ঊর্ধ্বগতি সামষ্টিক অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনবে এবং বৈদেশিক ঋণ নির্ভরতা কমাতে সহায়ক হবে।