ঢাকা ০১:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনা মৃত ১৩

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:২৮:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৫৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ফরিদপুর সড়কে ঝরে গেলো ১৩ প্রাণ। যাত্রীবাহী বাস ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। মৃত সবাই ছিলেন পিকআপের যাত্রী। মৃতদের মধ্যে একই পরিবারের ৫ সদস্য রয়েছে। আহত কমপক্ষে ১৫ জন।

ফরিদপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে।

জানা গেছে মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৮টা নাগাদ ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে সদর উপজেলার কানাইপুরের তেঁতুলতলা এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার পর স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে ফায়ার সার্ভিস, হাইওয়ে পুলিশ ও জেলা পুলিশের সদস্যরা উদ্ধারে নামেন।


এক পরিবারের মৃত ৫জন হচ্ছে, বোয়ালমারী উপজেলার বেজিডাঙ্গা গ্রামের রাকিবুল ইসলাম মিলন (৩৮), তার স্ত্রী সুমি বেগম (৩৫) ও দুই ছেলে রুহান (৮) ও হাবিব সিনান (৩) ও মিলনের মা মর্জিনা বেগম (৭০)।
মৃত অপর ব্যক্তিদের মধ্যে আলফাডাঙ্গা উপজেলার চরবকাইল গ্রামের তবিবুর খান (৫৫), বেজিডাঙ্গা গ্রামের জাহানারা বেগম (৫৬), সোনিয়া বেগম (৫৮), নুরারী (২), পিকআপ চালক কুসুমদি গ্রামের নজরুল ইসলাম (৩৫), হিদাডাঙ্গা গ্রামের শুকুরুন নেছা (৮৫), কহিনুর বেগম (৭০) ও সূর্য বেগম (৫৫)।

স্বজনরা জানিয়েছেন, মৃত রফিক ঢাকায় একটি সরকারি অফিসে লিফটম্যানের চাকরি করেন। ঈদের ছুটি শেষে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকায় ফিরছিলেন।

বাসে সিট না পেয়ে পথে আলফাডাঙ্গা উপজেলা থেকে ছেড়ে আসা একটি পিকআপে উঠেন। পথে ঢাকা থেকে মাগুরাগামী ইউনিক পরিবহনের বাসের সঙ্গে পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই পিকআপের চালকসহ ১১ জন নিহত হন। আহতদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সাহানা বেগম জানান, ঘটনাস্থলে আসার পর যাত্রীবাহী বাসের একটি চাকা গর্তে পড়ে যায়। এতে গাড়িটি আড়াআড়িভাবে সড়কে দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পিকআপটি এসে বাসটির সামনে সজোরে আঘাত করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনা মৃত ১৩

আপডেট সময় : ০২:২৮:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

 

ফরিদপুর সড়কে ঝরে গেলো ১৩ প্রাণ। যাত্রীবাহী বাস ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। মৃত সবাই ছিলেন পিকআপের যাত্রী। মৃতদের মধ্যে একই পরিবারের ৫ সদস্য রয়েছে। আহত কমপক্ষে ১৫ জন।

ফরিদপুর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে।

জানা গেছে মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৮টা নাগাদ ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে সদর উপজেলার কানাইপুরের তেঁতুলতলা এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার পর স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে ফায়ার সার্ভিস, হাইওয়ে পুলিশ ও জেলা পুলিশের সদস্যরা উদ্ধারে নামেন।


এক পরিবারের মৃত ৫জন হচ্ছে, বোয়ালমারী উপজেলার বেজিডাঙ্গা গ্রামের রাকিবুল ইসলাম মিলন (৩৮), তার স্ত্রী সুমি বেগম (৩৫) ও দুই ছেলে রুহান (৮) ও হাবিব সিনান (৩) ও মিলনের মা মর্জিনা বেগম (৭০)।
মৃত অপর ব্যক্তিদের মধ্যে আলফাডাঙ্গা উপজেলার চরবকাইল গ্রামের তবিবুর খান (৫৫), বেজিডাঙ্গা গ্রামের জাহানারা বেগম (৫৬), সোনিয়া বেগম (৫৮), নুরারী (২), পিকআপ চালক কুসুমদি গ্রামের নজরুল ইসলাম (৩৫), হিদাডাঙ্গা গ্রামের শুকুরুন নেছা (৮৫), কহিনুর বেগম (৭০) ও সূর্য বেগম (৫৫)।

স্বজনরা জানিয়েছেন, মৃত রফিক ঢাকায় একটি সরকারি অফিসে লিফটম্যানের চাকরি করেন। ঈদের ছুটি শেষে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকায় ফিরছিলেন।

বাসে সিট না পেয়ে পথে আলফাডাঙ্গা উপজেলা থেকে ছেড়ে আসা একটি পিকআপে উঠেন। পথে ঢাকা থেকে মাগুরাগামী ইউনিক পরিবহনের বাসের সঙ্গে পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই পিকআপের চালকসহ ১১ জন নিহত হন। আহতদের ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সাহানা বেগম জানান, ঘটনাস্থলে আসার পর যাত্রীবাহী বাসের একটি চাকা গর্তে পড়ে যায়। এতে গাড়িটি আড়াআড়িভাবে সড়কে দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পিকআপটি এসে বাসটির সামনে সজোরে আঘাত করে।