ঢাকা ১১:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল কার্যক্রম শুরু Logo সীমান্তে আরাকান আর্মি, কী প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশে? Logo দেড় কোটি প্রবাসী ভোটাধিকার বঞ্চিত, উপায় খুঁজছে সংস্কার কমিশন Logo অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টা করছে রাজনৈতিক দলগুলো Logo অর্থ উপদেষ্টার দৃষ্টিতে আলুর দাম বাড়লেও অন্যগুলো সাশ্রয়ী Logo প্রভাবমুক্ত থেকে ন্যায়নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার অঙ্গিকার Logo ভারতের আগ্রাসনের প্রতিবাদে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাদের বিক্ষোভ, ৬ দাবি Logo ভারতীয় মিডিয়ায় ইসকন সদস্যের ওপর হামলার সংবাদ মিথ্যা Logo ৫ মাস পর ভারতে ফিরে গেলো মিতালি এক্সপ্রেস Logo সরকার নতজানু পররাষ্ট্রনীতি থেকে সরে এসেছে: আসিফ মাহমুদ

ফিলিপাইনে ভূমিধসে নিহত বেড়ে ৬৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:০০:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৩৪৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফিলিপাইনে ভূমিধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮ জনে। প্রায় এক সপ্তাহ আগে দেশটির সোনার খনি সমৃদ্ধ একটি গ্রামে ভূমিধস আঘাত হানে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দাভাও দে ওরো প্রদেশে ওই বিপর্যয়ের পর এখনও পর্যন্ত ৫১ জন নিখোঁজ রয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, সেখানে আর কারও বেঁচে থাকার কোনো সম্ভাবনা নেই।

সেখানে সর্বশেষ তিন বছর বয়সী এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ভূমিধসের ৬০ ঘণ্টা পর ওই শিশুকে উদ্ধারের ঘটনাকে ‘অলৌকিক’ বলে দাবি করেন উদ্ধারকর্মীরা। দাভাও দে ওরো প্রদেশের দুর্যোগ সংস্থার কর্মকর্তা এডওয়ার্ড ম্যাকাপিলি বলেন, সে সময় ওই শিশুটিকে উদ্ধারের ঘটনা উদ্ধারকারীদের মনে আশা জুগিয়েছে।

তবে এখন আর কাউকে জীবিত উদ্ধারের আশা খুবই ক্ষীণ। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রয়ারি) মিন্দানাও দ্বীপের দাভাও দে ওরো প্রদেশের খনিসমৃদ্ধ গ্রাম মাসারোয় ভয়াবহ ভূমিধস ঘটে। এই ঘটনায় অন্তত ৩১ জন আহত হন। এখনও অনেকেরই কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

ভূমিধসের সময় খনি শ্রমিকদের পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত তিনটি বাস ও জিপ গাড়ি কাদায় আটকে যায়। বাসগুলোতে থাকা ২৮ শ্রমিকের মধ্যে ৮ জন বেরিয়ে আসতে পারেন। তাছাড়া এ দুর্ঘটনায় গ্রামটির অনেক বাড়িঘরও ধ্বংস হয়েছে।

প্রাদেশিক কর্মকর্তা ম্যাকাপিলি জানান, ২০০৭ এবং ২০০৮ সালে ভূমিধসের পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাটিকে ‘নো বিল্ড জোন’ বা স্থাপনা তৈরি করা যাবে না বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার পর এলাকাবাসীকে এই স্থান ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা আবারও সেখানে ফিরে আসেন।
সাম্প্রতিক সময়ে ফিলিপাইনের এই অঞ্চলে ভূমিকম্প, ভূমিধস ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা বেড়ে গেছে। ভবিষ্যতে ভূমিধসের আশঙ্কায় মাসারা ও আশপাশের চারটি গ্রামের শত শত পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে জরুরি কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল-কলেজ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ফিলিপাইনে ভূমিধসে নিহত বেড়ে ৬৮

আপডেট সময় : ১২:০০:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ফিলিপাইনে ভূমিধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮ জনে। প্রায় এক সপ্তাহ আগে দেশটির সোনার খনি সমৃদ্ধ একটি গ্রামে ভূমিধস আঘাত হানে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দাভাও দে ওরো প্রদেশে ওই বিপর্যয়ের পর এখনও পর্যন্ত ৫১ জন নিখোঁজ রয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, সেখানে আর কারও বেঁচে থাকার কোনো সম্ভাবনা নেই।

সেখানে সর্বশেষ তিন বছর বয়সী এক শিশুকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ভূমিধসের ৬০ ঘণ্টা পর ওই শিশুকে উদ্ধারের ঘটনাকে ‘অলৌকিক’ বলে দাবি করেন উদ্ধারকর্মীরা। দাভাও দে ওরো প্রদেশের দুর্যোগ সংস্থার কর্মকর্তা এডওয়ার্ড ম্যাকাপিলি বলেন, সে সময় ওই শিশুটিকে উদ্ধারের ঘটনা উদ্ধারকারীদের মনে আশা জুগিয়েছে।

তবে এখন আর কাউকে জীবিত উদ্ধারের আশা খুবই ক্ষীণ। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রয়ারি) মিন্দানাও দ্বীপের দাভাও দে ওরো প্রদেশের খনিসমৃদ্ধ গ্রাম মাসারোয় ভয়াবহ ভূমিধস ঘটে। এই ঘটনায় অন্তত ৩১ জন আহত হন। এখনও অনেকেরই কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

ভূমিধসের সময় খনি শ্রমিকদের পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত তিনটি বাস ও জিপ গাড়ি কাদায় আটকে যায়। বাসগুলোতে থাকা ২৮ শ্রমিকের মধ্যে ৮ জন বেরিয়ে আসতে পারেন। তাছাড়া এ দুর্ঘটনায় গ্রামটির অনেক বাড়িঘরও ধ্বংস হয়েছে।

প্রাদেশিক কর্মকর্তা ম্যাকাপিলি জানান, ২০০৭ এবং ২০০৮ সালে ভূমিধসের পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাটিকে ‘নো বিল্ড জোন’ বা স্থাপনা তৈরি করা যাবে না বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার পর এলাকাবাসীকে এই স্থান ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা আবারও সেখানে ফিরে আসেন।
সাম্প্রতিক সময়ে ফিলিপাইনের এই অঞ্চলে ভূমিকম্প, ভূমিধস ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা বেড়ে গেছে। ভবিষ্যতে ভূমিধসের আশঙ্কায় মাসারা ও আশপাশের চারটি গ্রামের শত শত পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে জরুরি কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল-কলেজ।