ফেনীর সাবেক এমপি নিজাম হাজারীসহ ৬৫ জনের নামে হত্যা

- আপডেট সময় : ১০:৫১:২৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৪ ৩০১ বার পড়া হয়েছে
৫ আগষ্ট ফেনীর মহিপালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালীন গুলিতে মো. সবুজ নামের এক অটোরিকশা চালক নিহত হন। এ ঘটনায় ফেনী-২ আসনের সদ্য সাবেক এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারীকে প্রধান আসামি করে ৬৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার দুই আসামী আখাউড়া চেকপোস্ট দিয়ে ভারত পালিয়ে যাবার সময় গ্রেফতার হয়। সে নিজাম হাজারীর পিএস ও জেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক ফরিদ মানিক।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে নিহতের ভাই মো. ইউসুফ বাদি হয়ে ফেনী সদর থানায় মামলা করেন। মো. সবুজ লক্ষীপুর জেলার রামগতি উপজেলার দক্ষিণ টুমচর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে। মামলায় ৬৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
আসামীর তালিকায় সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল, পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, দাগনভূঞা উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগ সভাপতি দিদারুল কবির রতন, ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন মজুমদার, ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ছনুয়া ইউপি চেয়ারম্যান করিম উল্যাহ বি.কমসহ জেলার ইউপি এবং থানা পর্যায়ের নেতারা রয়েছে।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ কর্মসূচিতে তার ভাই সবুজ অংশ নেয়। ঘটনার দিন বেলা ২টা নাগাদ ট্রাংক রোড থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা গুলি করলে সবুজ সার্কিট হাউজ রোডের দিকে চলে যায়।
সেখানে স্বপন মিয়াজী, জানে আলম, মাহবুবুল হক লিটন ও অর্নবের গুলিতে সবুজ লুটিয়ে পড়লে অপর আসামিরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে সবুজের মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে পুনরায় হামলার আশংকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি নিয়ে দাফন করা হয়।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রুহুল আমিন জানান, এ বিষয়ে মামলা হয়েছে।