দাগনভূঞায় আবদুল আউয়াল মিন্টু
ফ্যাসিবাদের বিদায় প্রথম বিজয়, গণতন্ত্রের বিজয়ে প্রয়োজন সুষ্ঠু নির্বাচন
- আপডেট সময় : ৪৬ বার পড়া হয়েছে
দাগনভূঞা উপজেলা রাজাপুর ও সিন্দুরপুর ইউনিয়ন বিএনপির জেলা ও সংসদীয় আসন ভিত্তিক প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম উদ্ভোদন করতে গিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট ব্যাবসয়ী আবদুল আউয়াল মিন্টু উক্ত মন্তব্য করেন।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, গত ১৫ বছর ফ্যাসিবাদীদের অন্যায়-অপকর্ম লুটপাটের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি। আমাদের আন্দোলন-সংগ্রামে একটা সরকারের পতন ঘটেছে। তাদের অনেক লোক দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এটা হলো প্রাথমিক বিজয়, যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা সংগ্রাম করছি। সে প্রজাতন্ত্রের মালিকানার একমাত্র উপায় দেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন।
গতকাল বুধবার বিকেলে রাজাপুর বাজারে অনুষ্ঠিত নবায়ন কার্যক্রমে ইউনিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সভাপতিত্ব করেন।
আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, বর্তমান সরকার ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে দেশে একটি সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে। উদার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল বিএনপিকে ভাঙার জন্য গত ১৫ বছর ব্যাপক ষড়যন্ত্র হয়েছে কিন্তু তারা সফল হয়নি। তাই দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জিয়া উদ্দিন মিস্টার, মশিউর রহমান বিপ্লব, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী হাবিবুল্লাহ মানিক, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আকবর হোসেন, সদস্য সচিব কামরুল উদ্দিন। দাগনভূঞা পৌর বিএনপির সদস্য সচিব হুমায়ন কবির বাবু, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মনসুর উদ্দিনের সঞ্চালনায় এ সময় ইউনিয়ন বিএনপি নেতা হাজী রফিক, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বাকি বিল্লাহ, যুবদল নেতা নিজাম উদ্দিন ভূঞা হুদনসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
কারা কিভাবে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সদস্য হবেন এই বিষয়ে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মশিউর রহমান বিপ্লব বলেন, ২০ টাকার বিনিময়ে আপনি দলের প্রাথমিক সদস্য ফরম সংগ্রহ করবেন। যারা অন্য কোন কমিটিতে আছেন তারা কোন ভাবেই নতুন করে সদস্য হতে পারবেন না। আর অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন আওয়ামী, ফ্যাসিস্ট, ও স্বৈরাচারের দোসর কেউ বিএনপির সদস্য হতে না পরে। এরা কাল সাপ, যে কোন মূহুর্তে ছোবল মারতে পারে তাই সর্বাবস্থায় আওয়ামী লীগ থেকে সজাগ থাকতে হবে। আওয়ামী ও তাদের দোসর রা যেন বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করে দলকে কলংকিত করতে না পারে।
পরে বিকাল ৫ টায় উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও যুবদলের য়ুগ্ন সাধারন সম্পাদক দিদার হোসেন ভূঞার যৌথ সঞ্চালনায়, ১ নং সিন্দুরপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক দলিলুর রহমান দুলাল এর সভাপতিত্বে প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম উদ্ভোদনে প্রধান অতিথি হিসাবে অংশগ্রহণ করেন আবদুল আউয়াল মিন্টু।
সেখানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্মৃতিচারণ করে আরো বলেন, আমার বয়স যখন ৩৫ বা ৪০ বছর, তখন এই রাজাপুর ও সিন্দুরপুরের এমন কোন বাড়ি নেই (নতুন বাড়ি ছাড়া) যে বাড়িতে আমি যাই নি। এসব এলাকায় আমাদের বিএনপির নেতা কর্মির কোন অভাব নেই। বিগত ১৭ বছরের অপশাসনে অনেকেই অনেক কিছু ভূলে গেছে। তাই আমাদের নেতা কর্মিদের উচিত আগামী নির্বাচনের আগে প্রতিটি বাড়িতে ও ঘরে ঘরে গিয়ে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া এবং তারুণ্যের আইকন তারেক রহমানের আদর্শ ও কর্মসূচি তূলে ধরা। যাতে করে আমাদের দলের আদর্শে উজ্জীবীত হয়ে আগামীতে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে ধানের শীষে ভোট দেয়।
তিনি আরো বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারীর নির্বাচনে দল যাকে মনোনয়ন দিবে, তার পক্ষে সকল ভেদাভেদ ভূলে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ থেকে ফেনীর মেয়ে খালেদা জিয়ার প্রতীক ধানের শীষ কে বিজয়ী করতে হবে।
এর আগে দুপুরে আবদুল আউয়াল মিন্টু রাজাপুরের বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন বাচ্চুর কবর জিয়ারত করে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সন্ধ্যায় সোনাগাজী উপজেলার কয়েকটি পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন আব্দুল আউয়াল মিন্টু।





















