ঢাকা ০৪:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মুন্সীগঞ্জে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা Logo গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে এনসিপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মাহমুদ মোত্তাকিম Logo গোমস্তাপুরের ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন Logo নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের অর্থায়নে বিশ্বনাথে ‘সমতায় তারুণ্য’ প্রকল্পের উদ্বোধন Logo পলাশবাড়ীতে সুবিধাভোগীদের মাঝে ভিডাব্লিউবির চাল বিতরণ Logo সুন্দরবনে অস্ত্র ও গুলিসহ বনদস্যু দুলাভাই বাহিনীর সহযোগী আটক Logo মধ্যরাতে কোস্ট গার্ডের অভিযান, তিন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার Logo নকলা কৃষি অফিসারের উপর হামলার প্রতিবাদে শ্রীবরদীতে কলম বিরতি Logo শ্রীবরদীতে আদিবাসীর অর্ধশতাধিক সুপারি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ Logo ফেনী-২ আসনের বিএনপির যৌথ প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে সমৃদ্ধ করার বিকল্প নেই

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ২৯৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

মৎস্য ও প্রানিসম্পদ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমান বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে সমৃদ্ধ করার কোনো বিকল্প নেই।

মঙ্গলবার (১১ জুন) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ওয়ার্ল্ড ফিশ বাংলাদেশ আয়োজিত ফাইনাল ওয়ার্কশপ এন্ড ফেয়ার অব আর্টিমিয়া ফর বাংলাদেশ প্রজেক্ট অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, মৎস্য খাদ্যের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আর্টিমিয়া উৎপাদনের মাধ্যমে মাছের উৎপাদন আরও বাড়াতে পারি। পাশাপাশি এটির উৎপাদনের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করা সম্ভব। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে এবং ওয়ার্ল্ড ফিশের উদ্যোগে সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে লবণ চাষের পাশাপাশি আর্টিমিয়া চাষ করা হচ্ছে, যার ফলে মাছ বিশেষত চিংড়ি জাতীয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে, সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মাছের এ ধরনের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা জরুরী বলে তিনি মনে করেন মৎস্য মন্ত্রী। আর্টিমিয়া ফর বাংলাদেশ প্রকল্পসহ এধরনের উৎপাদনশীল প্রকল্প গ্রহণ করে বাংলাদেশের মৎস্য খাতকে এগিয়ে নেয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ওয়ার্ল্ড ফিশকে ধন্যবাদ প্রদান করেন।

 

মৎস্যমন্ত্রী জানান, মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে আমরা বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় স্থান থেকে দ্বিতীয় স্থানে উত্তরণ করেছি। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণেই। ২০৪১ সালে আমাদের ৮৫ লক্ষ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে মৎস্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী যুগান্তকারী বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে যেমনি দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তেমনি মাছ উৎপাদনেও আমরা তার নির্দেশনায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হব।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে আমরা যেখানে দেখতে চাই, সেখানে দেখতে হলে আমাদের এই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদকে সমৃদ্ধ করতে হবে। শুধু এই দুই খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনই নয়, এই খাত থেকে আমরা যাতে কাঙ্খিত পরিমানে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারি সে ব্যাপারেও আমাদের প্রস্তুত হতে হবে।

ওয়ার্ল্ড ফিস ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে আগামী দিনেও নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে এবং মূল লক্ষ্য হলো ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ তথা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গঠন। আর বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে সমৃদ্ধ করার বিকল্প নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে সমৃদ্ধ করার বিকল্প নেই

আপডেট সময় :

 

মৎস্য ও প্রানিসম্পদ মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমান বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে সমৃদ্ধ করার কোনো বিকল্প নেই।

মঙ্গলবার (১১ জুন) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ওয়ার্ল্ড ফিশ বাংলাদেশ আয়োজিত ফাইনাল ওয়ার্কশপ এন্ড ফেয়ার অব আর্টিমিয়া ফর বাংলাদেশ প্রজেক্ট অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, মৎস্য খাদ্যের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আর্টিমিয়া উৎপাদনের মাধ্যমে মাছের উৎপাদন আরও বাড়াতে পারি। পাশাপাশি এটির উৎপাদনের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করা সম্ভব। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে এবং ওয়ার্ল্ড ফিশের উদ্যোগে সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে লবণ চাষের পাশাপাশি আর্টিমিয়া চাষ করা হচ্ছে, যার ফলে মাছ বিশেষত চিংড়ি জাতীয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে, সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মাছের এ ধরনের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা জরুরী বলে তিনি মনে করেন মৎস্য মন্ত্রী। আর্টিমিয়া ফর বাংলাদেশ প্রকল্পসহ এধরনের উৎপাদনশীল প্রকল্প গ্রহণ করে বাংলাদেশের মৎস্য খাতকে এগিয়ে নেয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ওয়ার্ল্ড ফিশকে ধন্যবাদ প্রদান করেন।

 

মৎস্যমন্ত্রী জানান, মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে আমরা বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় স্থান থেকে দ্বিতীয় স্থানে উত্তরণ করেছি। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণেই। ২০৪১ সালে আমাদের ৮৫ লক্ষ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে মৎস্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী যুগান্তকারী বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে যেমনি দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তেমনি মাছ উৎপাদনেও আমরা তার নির্দেশনায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হব।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে আমরা যেখানে দেখতে চাই, সেখানে দেখতে হলে আমাদের এই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদকে সমৃদ্ধ করতে হবে। শুধু এই দুই খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনই নয়, এই খাত থেকে আমরা যাতে কাঙ্খিত পরিমানে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারি সে ব্যাপারেও আমাদের প্রস্তুত হতে হবে।

ওয়ার্ল্ড ফিস ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে আগামী দিনেও নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে এবং মূল লক্ষ্য হলো ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ তথা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গঠন। আর বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে সমৃদ্ধ করার বিকল্প নেই।