ঢাকা ০৯:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বশীল হতে হবে

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১১:২১:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪ ১৬৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

প্রচণ্ড দুর্গন্ধ ছড়িয়ে ভরদুপুরে ব্যস্ততম মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা দিয়ে বর্জ্য বোঝাই ট্রাক ছুটে চলছে। ট্রাক থেকে বর্জ্যরে দুর্গন্তযুক্ত পানি রাস্তায় পড়ছে, সঙ্গে কিছু ময়লাও। রাস্তার অবর্জনা সেখানেই শুকিয়ে বাতাসের সঙ্গে মিশে ফের আমাদের দেহে প্রবেশ করছে। অপরিকল্পিত মেগাসিটি ঢাকার আনাচে-কানাচে স্তুপাকারে ময়লা-আবর্জনা হরহামেশাই চোখে পড়ে। দায়িত্বহীনতার এখানেই শেষ নয়। গৃহস্থালীর ময়লা-আবর্জনা থেকে শুরু করে, বাজার, মার্কেটের ময়লা-আবর্জনা পরিচ্ছন্নতা নিয়ে হাজারো অভিযোগ।

রাজধানীর ঢাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার এমনই চিত্র। বাসা-বাড়ির ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করা নিয়ে গুরুতর অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচকদের কথায় সমাজের পিছিয়ে পড়া কিছু মানুষ বিশেষ করে কিশোরদের ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করাটা খুবই কষ্টকর। তারা অনিরাপদ অবস্থায় বর্জ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হাতে-পায়ে গা হওয়ার পাশাপাশি আক্রান্ত হচ্ছে নানা রোগে। সঠিক চিকিৎসার পাচ্ছে না তারা।

এমনিভাবেই পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি মানবিক বিষয়টি তুলে ধরেন বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক এবং পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন আন্দোলন (পরিজা)’র সভাপতি প্রকৌশলী মো: আবদুস সোবহান।

প্রান্তিক মানুষের জন্য কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অন্তভুর্ক্তি ও বাস্তবায়নের রূপকল্পের কথা সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছে বক্তারা। তারা বলেছেন, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার রোডম্যাপ বাস্তবায়নে সংবাদমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে।

সোমবার ঢাকার মোহাম্মদপুরে ডিনেট সম্মেলন কক্ষে ঢাকা কলিং প্রকল্পের উদ্যোগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ সব কথা বলেন তারা। সাংবাদিক নিখিল ভদ্রের সভাপতিত্বে ও মাহবুল হকের সঞ্চালনায় সভায় বক্তৃব্য রাখেন, বাপা’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রসুল, কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধি নাইরা নিজাম, বারসিকের প্রজেক্ট ম্যানেজার ফেরদৌস আহমেদ, ডিএসকের মনিটরিং ও ডকুমেন্টেশন ম্যানেজার জেসমিন মলি।

সভায় বিশিষ্ট পরিবেশবিদ প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান বলেন, বাংলাদেশের আইনের কোন অভাব নেই, অভাব হলো বাস্তবায়নের। সার্বিক পরিবেশের জন্য কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের দেশে যে পরিমাণ বর্জ্য প্রতিদিন উৎপাদন হয় তার সঠিক ব্যবস্থাপনা না থাকায় হাজারো পরিবেশগত সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।

সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের উচিত সকল মন্ত্রণালয়কে নিয়ে একটি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা এবং প্রত্যেকের কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। সংবাদমাধ্যম সকল কিছুকে জাতির সামনে তুলে ধরার প্রধান বাহন। এক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যম কর্মীদের উৎসাহিত করতে মিডিয়া এওয়ার্ড ও ফেলোশীপের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

বাপার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রসূল বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বড় সমস্যা ইজারা প্রথা। বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করার জন্য সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি আর এর জন্য চাই একটি রোডম্যাপ। যে রোডম্যাপে প্রান্তিক মানুষের অংশগ্রহণ ও অধিকার নিশ্চিত হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বশীল হতে হবে

আপডেট সময় : ১১:২১:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪

 

প্রচণ্ড দুর্গন্ধ ছড়িয়ে ভরদুপুরে ব্যস্ততম মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা দিয়ে বর্জ্য বোঝাই ট্রাক ছুটে চলছে। ট্রাক থেকে বর্জ্যরে দুর্গন্তযুক্ত পানি রাস্তায় পড়ছে, সঙ্গে কিছু ময়লাও। রাস্তার অবর্জনা সেখানেই শুকিয়ে বাতাসের সঙ্গে মিশে ফের আমাদের দেহে প্রবেশ করছে। অপরিকল্পিত মেগাসিটি ঢাকার আনাচে-কানাচে স্তুপাকারে ময়লা-আবর্জনা হরহামেশাই চোখে পড়ে। দায়িত্বহীনতার এখানেই শেষ নয়। গৃহস্থালীর ময়লা-আবর্জনা থেকে শুরু করে, বাজার, মার্কেটের ময়লা-আবর্জনা পরিচ্ছন্নতা নিয়ে হাজারো অভিযোগ।

রাজধানীর ঢাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার এমনই চিত্র। বাসা-বাড়ির ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করা নিয়ে গুরুতর অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচকদের কথায় সমাজের পিছিয়ে পড়া কিছু মানুষ বিশেষ করে কিশোরদের ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করাটা খুবই কষ্টকর। তারা অনিরাপদ অবস্থায় বর্জ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হাতে-পায়ে গা হওয়ার পাশাপাশি আক্রান্ত হচ্ছে নানা রোগে। সঠিক চিকিৎসার পাচ্ছে না তারা।

এমনিভাবেই পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি মানবিক বিষয়টি তুলে ধরেন বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক এবং পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন আন্দোলন (পরিজা)’র সভাপতি প্রকৌশলী মো: আবদুস সোবহান।

প্রান্তিক মানুষের জন্য কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অন্তভুর্ক্তি ও বাস্তবায়নের রূপকল্পের কথা সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছে বক্তারা। তারা বলেছেন, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার রোডম্যাপ বাস্তবায়নে সংবাদমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে।

সোমবার ঢাকার মোহাম্মদপুরে ডিনেট সম্মেলন কক্ষে ঢাকা কলিং প্রকল্পের উদ্যোগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ সব কথা বলেন তারা। সাংবাদিক নিখিল ভদ্রের সভাপতিত্বে ও মাহবুল হকের সঞ্চালনায় সভায় বক্তৃব্য রাখেন, বাপা’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রসুল, কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধি নাইরা নিজাম, বারসিকের প্রজেক্ট ম্যানেজার ফেরদৌস আহমেদ, ডিএসকের মনিটরিং ও ডকুমেন্টেশন ম্যানেজার জেসমিন মলি।

সভায় বিশিষ্ট পরিবেশবিদ প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান বলেন, বাংলাদেশের আইনের কোন অভাব নেই, অভাব হলো বাস্তবায়নের। সার্বিক পরিবেশের জন্য কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের দেশে যে পরিমাণ বর্জ্য প্রতিদিন উৎপাদন হয় তার সঠিক ব্যবস্থাপনা না থাকায় হাজারো পরিবেশগত সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।

সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের উচিত সকল মন্ত্রণালয়কে নিয়ে একটি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা এবং প্রত্যেকের কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। সংবাদমাধ্যম সকল কিছুকে জাতির সামনে তুলে ধরার প্রধান বাহন। এক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যম কর্মীদের উৎসাহিত করতে মিডিয়া এওয়ার্ড ও ফেলোশীপের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

বাপার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রসূল বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বড় সমস্যা ইজারা প্রথা। বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করার জন্য সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি আর এর জন্য চাই একটি রোডম্যাপ। যে রোডম্যাপে প্রান্তিক মানুষের অংশগ্রহণ ও অধিকার নিশ্চিত হবে।