ঢাকা ০২:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ৩০ মৃত শ্রমিকের পরিবারকে ১৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এককালীন অনুদান প্রদান Logo ফরিদপুরে গৃহবধূর ওপর হামলার পর বসতবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ Logo পীরগঞ্জে ডাক্তার কামাল হোসেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে বদলি হওয়ায় উপজেলাবাসীর ক্ষোভ Logo বসুরহাট বস্ত্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির শপথ গ্রহণ Logo দেওয়ানগঞ্জ সাত পুলিশ কর্মকর্তা পেলেন সনম্মনা Logo ইসলামপুরে আগুনে পুড়ে ২টি ঘর ভস্মীভূত Logo নোয়াখালীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে বাড়িতে হামলা Logo মুন্সীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু Logo সুরসম্রাট আলাউদ্দিন খাঁ স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ Logo কাশিমপুরে জমি সংক্রান্ত প্রতারণা মামলায় দেলোয়ার হোসেন আটক

বর্ষা এলেই টনক নড়েচড়ে বসেন পাহাড় প্রশাসন

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ৪১২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বছরজুড়ে পাবর্ত্য অঞ্চলে প্রশাসনিক পর্যায়ে তেমন তৎপরতা লক্ষ্য করা না গেলেও বর্ষা এলেই টনক নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। রাঙামাটি জেলায় পাহাড়ধসে ২০১৭ সালে ১২০ ও ২০১৮ সালে ১১ জনের মৃত্যু হয়। তারপরও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসতি বেড়েছে কয়েক গুণ।

নাগরিক সমাজের দাবি, প্রশাসনের নজরদারির অভাবে পাহাড়ের পাদদেশে বসতি বেড়েছে এবং এসব বসতি বন্ধে তেমন কোনও উদ্যোগও চোখে পড়েনি।

রাঙামাটি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের তথ্যমতে, রোববার (৩০ জুন) সকাল থেকে সোমবার (১ জুলাই) সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। রাঙামাটি শহরে ২৩টিসহ জেলায় মোট ২৬৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বাসবাস : ছবি সংগ্রহ

মৌসুমি বায়ুর সচল থাকায় দেশজুড়ে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় রাঙামাটিতেও কয়েকদিন ধরে মাঝারি ও ভারী বর্ষণ হচ্ছে। তাতে পাহাড়ধসের শঙ্কা করা হচ্ছে। ভারী বর্ষণে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসেরও আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং ও সচেতনতার প্রচার করেই দায় সারছে প্রশাসন।

রোববার রাতে শহরের রূপনগর, শিমুলতলী, লোকনাথ মন্দিরসংলগ্ন পাহাড়ের ঢালসহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সচেতনতা তৈরিতে প্রচার-প্রচারণা করা হয়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবাইয়া বিনতে কাশেম এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিবশঙ্কর বসাকের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের একটি বিশেষ টিম শহরের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সচেতনতামূলক এ প্রচারণা চালায়।

এ সময় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভারী বর্ষণ শুরু হলে নিরাপদ আশ্রয় অথবা নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে। মাইকিং করা হলেও স্থানীয়রা এখন পর্যন্ত কোনও আশ্রয়কেন্দ্রে যাননি।

রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রিফাত আসমা জানান, পৌর এলাকায় ২৩টি ও ৬টি ইউনিয়নে ৫৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পৌর এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারী তালিকা অনুযায়ী ১ হাজার ৩৬৪ জন রয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বর্ষা এলেই টনক নড়েচড়ে বসেন পাহাড় প্রশাসন

আপডেট সময় :

 

বছরজুড়ে পাবর্ত্য অঞ্চলে প্রশাসনিক পর্যায়ে তেমন তৎপরতা লক্ষ্য করা না গেলেও বর্ষা এলেই টনক নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। রাঙামাটি জেলায় পাহাড়ধসে ২০১৭ সালে ১২০ ও ২০১৮ সালে ১১ জনের মৃত্যু হয়। তারপরও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসতি বেড়েছে কয়েক গুণ।

নাগরিক সমাজের দাবি, প্রশাসনের নজরদারির অভাবে পাহাড়ের পাদদেশে বসতি বেড়েছে এবং এসব বসতি বন্ধে তেমন কোনও উদ্যোগও চোখে পড়েনি।

রাঙামাটি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের তথ্যমতে, রোববার (৩০ জুন) সকাল থেকে সোমবার (১ জুলাই) সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। রাঙামাটি শহরে ২৩টিসহ জেলায় মোট ২৬৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বাসবাস : ছবি সংগ্রহ

মৌসুমি বায়ুর সচল থাকায় দেশজুড়ে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় রাঙামাটিতেও কয়েকদিন ধরে মাঝারি ও ভারী বর্ষণ হচ্ছে। তাতে পাহাড়ধসের শঙ্কা করা হচ্ছে। ভারী বর্ষণে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসেরও আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং ও সচেতনতার প্রচার করেই দায় সারছে প্রশাসন।

রোববার রাতে শহরের রূপনগর, শিমুলতলী, লোকনাথ মন্দিরসংলগ্ন পাহাড়ের ঢালসহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সচেতনতা তৈরিতে প্রচার-প্রচারণা করা হয়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবাইয়া বিনতে কাশেম এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিবশঙ্কর বসাকের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসনের একটি বিশেষ টিম শহরের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় সচেতনতামূলক এ প্রচারণা চালায়।

এ সময় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভারী বর্ষণ শুরু হলে নিরাপদ আশ্রয় অথবা নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে। মাইকিং করা হলেও স্থানীয়রা এখন পর্যন্ত কোনও আশ্রয়কেন্দ্রে যাননি।

রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রিফাত আসমা জানান, পৌর এলাকায় ২৩টি ও ৬টি ইউনিয়নে ৫৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পৌর এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারী তালিকা অনুযায়ী ১ হাজার ৩৬৪ জন রয়েছেন।