ঢাকা ১০:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশি আরেক প্রতারক প্রাণনাথ দাশ কলকাতায় গ্রেপ্তার

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:০৭:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪ ২২৬ বার পড়া হয়েছে

প্রাণনাথ দাশ : ছবি সংগ্রহ

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

শত কোটি টাকা প্রতারণায় অভিযুক্ত সাতক্ষীরার এই প্রাণনাথ

সাতক্ষীরা শহরেই প্রগতি সঞ্চয় ও ঋণদান কো-অপারেটিভ সোসাইটি খুলে বসেছিলো প্রাণনাথ দাশ। এর পর বহু মানুষের শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে সাতক্ষীরা ছেড়ে পশ্চিমবগের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গোবরডাঙ্গা থানার জামদানি এলাকায় আত্মগোপন করে।

রোববার রাতে সেখানে অভিযান চালিয়ে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল ট্রাস্ট ফোর্স প্রাণনাথকে গ্রেপ্তার করে। সোমবার (১৮ মার্চ) তাকে আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় জেল হেফাজতে পাঠায় বারাসাত আদালত। বর্তমানে দমদম সেন্ট্রাল জেলে রয়েছে প্রাণনাথ দাশ।

সাতক্ষীরা শহরের অনেকে জানিয়েছে, মানুষের প্রচুর টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই প্রাণনাথ। তাকে বাংলাদেশে ফেরাতে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানায় ভোক্তভোগীরা।

সাতক্ষীরা প্রগতি সঞ্চয় ও ঋণদান কো-অপারেটিভ সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক প্রাণনাথ দাশ ভারতে গ্রেপ্তার। ছবি ভিডিও থেকে নেয়া।

সাতক্ষীরায় হাজারো মানুষ টাকা ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় : ছবি সংগ্রহ

এলাকাবাসীর সূত্রের খবর, সময়টা ২০১২ সাল। প্রগতি সঞ্চয় ও ঋণদান কো-অপারেটিভ সোসাইটি খুলে বসেন প্রাণনাথ। সোসাইটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিজের স্ত্রী ইতি রানী বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বড় ভাই বিশ্বনাথ দাশকে নিয়োগ দেয়া হয়।

প্রতি লাখে মাসিক দেড় হাজার টাকা মুনাফা এবং ডিপিএসে সঞ্চয়কৃত টাকা পাঁচ বছরে দ্বিগুণ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কমপক্ষে ২০ হাজার মানুষের কাছ থেকে কমপক্ষে শতকোটি টাকা হাতিয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে সপরিবারে ভারতে পালিয়ে যায় প্রাণনাথ। এরপর থেকেই সাতক্ষীরায় বিক্ষোভে নামে ভুক্তভোগীরা।

ভারতে আগে থেকেই পরিবারের ভুয়া ভারতীয় কাগজপত্র তৈরি করে রেখেছিলো প্রাণনাথ। এমন তথ্য এসটিএফ সূত্রের। গ্রাহকদের আত্মসাৎ করা অর্থে কলকাতার নিউ টাউনে কিনেছিলেন কয়েক কোটি টাকার বাড়ি। বাংলাদেশ থেকে শ্যামনগরের রমজান নগরের সীমান্ত হয়ে অবৈধভাবে সপরিবারে ভারতে অনুপ্রবেশ করে প্রাণনাথ।

এসটিএফ দাবি করছে, রোববার বাংলাদেশে ফেরার চেষ্টা করছিলো প্রাণনাথ। এ সময় গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। যদিও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের অবস্থান সম্পর্কে কোনো তথ্য জানায়নি তারা। গ্রেপ্তার প্রাণনাথ দাসের বিরুদ্ধে অবৈধ প্রবেশ এবং পাসপোর্ট অ্যাক্টে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশি আরেক প্রতারক প্রাণনাথ দাশ কলকাতায় গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ১০:০৭:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

 

শত কোটি টাকা প্রতারণায় অভিযুক্ত সাতক্ষীরার এই প্রাণনাথ

সাতক্ষীরা শহরেই প্রগতি সঞ্চয় ও ঋণদান কো-অপারেটিভ সোসাইটি খুলে বসেছিলো প্রাণনাথ দাশ। এর পর বহু মানুষের শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে সাতক্ষীরা ছেড়ে পশ্চিমবগের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গোবরডাঙ্গা থানার জামদানি এলাকায় আত্মগোপন করে।

রোববার রাতে সেখানে অভিযান চালিয়ে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল ট্রাস্ট ফোর্স প্রাণনাথকে গ্রেপ্তার করে। সোমবার (১৮ মার্চ) তাকে আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় জেল হেফাজতে পাঠায় বারাসাত আদালত। বর্তমানে দমদম সেন্ট্রাল জেলে রয়েছে প্রাণনাথ দাশ।

সাতক্ষীরা শহরের অনেকে জানিয়েছে, মানুষের প্রচুর টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই প্রাণনাথ। তাকে বাংলাদেশে ফেরাতে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানায় ভোক্তভোগীরা।

সাতক্ষীরা প্রগতি সঞ্চয় ও ঋণদান কো-অপারেটিভ সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক প্রাণনাথ দাশ ভারতে গ্রেপ্তার। ছবি ভিডিও থেকে নেয়া।

সাতক্ষীরায় হাজারো মানুষ টাকা ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় : ছবি সংগ্রহ

এলাকাবাসীর সূত্রের খবর, সময়টা ২০১২ সাল। প্রগতি সঞ্চয় ও ঋণদান কো-অপারেটিভ সোসাইটি খুলে বসেন প্রাণনাথ। সোসাইটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিজের স্ত্রী ইতি রানী বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বড় ভাই বিশ্বনাথ দাশকে নিয়োগ দেয়া হয়।

প্রতি লাখে মাসিক দেড় হাজার টাকা মুনাফা এবং ডিপিএসে সঞ্চয়কৃত টাকা পাঁচ বছরে দ্বিগুণ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কমপক্ষে ২০ হাজার মানুষের কাছ থেকে কমপক্ষে শতকোটি টাকা হাতিয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে সপরিবারে ভারতে পালিয়ে যায় প্রাণনাথ। এরপর থেকেই সাতক্ষীরায় বিক্ষোভে নামে ভুক্তভোগীরা।

ভারতে আগে থেকেই পরিবারের ভুয়া ভারতীয় কাগজপত্র তৈরি করে রেখেছিলো প্রাণনাথ। এমন তথ্য এসটিএফ সূত্রের। গ্রাহকদের আত্মসাৎ করা অর্থে কলকাতার নিউ টাউনে কিনেছিলেন কয়েক কোটি টাকার বাড়ি। বাংলাদেশ থেকে শ্যামনগরের রমজান নগরের সীমান্ত হয়ে অবৈধভাবে সপরিবারে ভারতে অনুপ্রবেশ করে প্রাণনাথ।

এসটিএফ দাবি করছে, রোববার বাংলাদেশে ফেরার চেষ্টা করছিলো প্রাণনাথ। এ সময় গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। যদিও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের অবস্থান সম্পর্কে কোনো তথ্য জানায়নি তারা। গ্রেপ্তার প্রাণনাথ দাসের বিরুদ্ধে অবৈধ প্রবেশ এবং পাসপোর্ট অ্যাক্টে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।