ঢাকা ০৯:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৮:০৩:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪ ২২০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন বাংলাদেশের বিশাল উন্নয়ন সহযোগী। চীন চাইলে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের পায়রায় যে গভীর সমুদ্র বন্দর হবে চীন সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারে। শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বস্ত বন্ধু ও উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে চীন বাংলাদেশকে সাহায্য করবে বলে আশা প্রকাশ করেন। শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ দুই দেশের মধ্যে যে সহযোগিতা চলছে তা আগামীতে আরও জোরদার হবে।

বুধবার (৩ এপ্রিল) শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে চীনা রাষ্ট্রদূত সাক্ষাতে এই সহযোগিতা চান। এসময় এ সময় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন শেখ হাসিনাকে আগামী জুলাই মাসে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানালে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীনের কাছে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান ইয়াও ওয়েন। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলকে দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা।

এই এলাকায় কয়েকটি বড় নদী রয়েছে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবও বেশি। দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন অগ্রাধিকার দিচ্ছে হাসিনা সরকার। সাক্ষাতকালে ইয়াও ওয়েনের কাছে দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতুর নির্মাণের পর দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী চান বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীন সহায়তা করুক।

গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন প্রসঙ্গে সরকারপ্রধান বলেন, বিভিন্ন দিক থেকে এটি একটি চ্যালেঞ্জিং নির্বাচন ছিল। তিনি বলেন, আমরা তা কাটিয়ে উঠে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করেছি। আমরা একটি টেকসই সরকার গঠন করেছি এবং দেশে একটি স্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

তিনি বলেন, ২০৪১ সাল নাগাদ শেখ হাসিনার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার রূপকল্প বাস্তবায়নে চীন বাংলাদেশের পাশে থাকবে। জুলাই মাসে আসন্ন সফর সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে ইয়াও ওয়েন বলেন, আশা করা যায় বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে। বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে উন্নয়ন অংশীদারিত্ব আরও জোরদার হবে।

রাষ্ট্রদূত রুটটি উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে তার আসন্ন চীন সফরে বাংলাদেশ বিমানের ঢাকা-বেইজিং ফ্লাইটের প্রথম ফ্লাইটটি ব্যবহার করারও অনুরোধ জানান। ওয়েন আরও বলেন, চীন বাংলাদেশকে কৃষি, গ্রিন এনার্জি, আইসিটি ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে বিনিয়োগ ও সাহায্য করতে চায়। বাংলাদেশে মেট্রোরেলে অংশীদারিত্বের বিষয়ে তার দেশের আগ্রহ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে চায় এবং বিশ্বস্ত বন্ধু ও উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে চীন বাংলাদেশকে সাহায্য করবে বলে আশা প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজগুলো বাস্তবায়নে চীন বাংলাদেশকে সহায়তা করবে। যে গুলো এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পন্ন করছেন।

তিনি বলেন, চীন আরও আম, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং চামড়াজাত পণ্য আমদানি করতে আগ্রহী। এছাড়া যুবক, তরুণ নেতা, নারী নেত্রী ও সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণে আগ্রহের কথা জানান তিনি। আওয়ামী লীগ ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করার আশাও প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নেতা নন, তিনি একজন বিশ্বনেতাও বটে। রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের প্রত্যাবাসনের জন্য চীন কাজ করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৮:০৩:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪

 

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন বাংলাদেশের বিশাল উন্নয়ন সহযোগী। চীন চাইলে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের পায়রায় যে গভীর সমুদ্র বন্দর হবে চীন সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে পারে। শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বস্ত বন্ধু ও উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে চীন বাংলাদেশকে সাহায্য করবে বলে আশা প্রকাশ করেন। শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ দুই দেশের মধ্যে যে সহযোগিতা চলছে তা আগামীতে আরও জোরদার হবে।

বুধবার (৩ এপ্রিল) শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে চীনা রাষ্ট্রদূত সাক্ষাতে এই সহযোগিতা চান। এসময় এ সময় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন শেখ হাসিনাকে আগামী জুলাই মাসে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানালে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীনের কাছে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান ইয়াও ওয়েন। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলকে দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা।

এই এলাকায় কয়েকটি বড় নদী রয়েছে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবও বেশি। দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন অগ্রাধিকার দিচ্ছে হাসিনা সরকার। সাক্ষাতকালে ইয়াও ওয়েনের কাছে দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতুর নির্মাণের পর দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী চান বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীন সহায়তা করুক।

গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচন প্রসঙ্গে সরকারপ্রধান বলেন, বিভিন্ন দিক থেকে এটি একটি চ্যালেঞ্জিং নির্বাচন ছিল। তিনি বলেন, আমরা তা কাটিয়ে উঠে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করেছি। আমরা একটি টেকসই সরকার গঠন করেছি এবং দেশে একটি স্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

তিনি বলেন, ২০৪১ সাল নাগাদ শেখ হাসিনার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার রূপকল্প বাস্তবায়নে চীন বাংলাদেশের পাশে থাকবে। জুলাই মাসে আসন্ন সফর সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে ইয়াও ওয়েন বলেন, আশা করা যায় বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে। বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে উন্নয়ন অংশীদারিত্ব আরও জোরদার হবে।

রাষ্ট্রদূত রুটটি উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে তার আসন্ন চীন সফরে বাংলাদেশ বিমানের ঢাকা-বেইজিং ফ্লাইটের প্রথম ফ্লাইটটি ব্যবহার করারও অনুরোধ জানান। ওয়েন আরও বলেন, চীন বাংলাদেশকে কৃষি, গ্রিন এনার্জি, আইসিটি ও ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে বিনিয়োগ ও সাহায্য করতে চায়। বাংলাদেশে মেট্রোরেলে অংশীদারিত্বের বিষয়ে তার দেশের আগ্রহ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে চায় এবং বিশ্বস্ত বন্ধু ও উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে চীন বাংলাদেশকে সাহায্য করবে বলে আশা প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজগুলো বাস্তবায়নে চীন বাংলাদেশকে সহায়তা করবে। যে গুলো এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পন্ন করছেন।

তিনি বলেন, চীন আরও আম, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং চামড়াজাত পণ্য আমদানি করতে আগ্রহী। এছাড়া যুবক, তরুণ নেতা, নারী নেত্রী ও সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণে আগ্রহের কথা জানান তিনি। আওয়ামী লীগ ও চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করার আশাও প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নেতা নন, তিনি একজন বিশ্বনেতাও বটে। রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাদের প্রত্যাবাসনের জন্য চীন কাজ করছে।