ঢাকা ০৩:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জনতার বিক্ষোভে পুলিশ অবরুদ্ধ Logo পাথরঘাটায় প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক আন্দোলন Logo সাভারে বাবাকে হত্যার পর মেয়ের আত্মসমর্পণ Logo বদলগাছীতে ব্রিজের নিচ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৮৪ প্যাকেট মাংস উদ্ধার Logo সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে অ্যালকোহল পানে দু’জনের মৃত্যু Logo ঔষধ কোম্পানির দৌরাত্ম্য নওগাঁর রোগীদের কাছে দিনদিন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে Logo ভারতীয় হামলার কঠোর জবাব দিলো পাকিস্তান Logo খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা, রাজনীতিতে নয়া মেরুকরণ Logo কবিগুরুর ১৬৪তম জন্মজয়ন্তীতে বর্ণিল সাজে সেজেছে রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি শাহজাদপুরে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন Logo মানবিক করিডোরের চেয়ে রাখাইনে সেফ জোন করলে  রোহিঙ্গা সংকট কাটবে

বাংলাদেশে ভাঙার জন্য আনা জাহাজে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১২:৩৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫ ৯০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ’ নীতির অংশ হিসেবে দেশটির তেলমন্ত্রী ও ১০টি ট্যাংকার জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ জাহাজগুলো অবৈধভাবে ইরানের তেল বিশ্বব্যাপী রপ্তানিতে সহায়তা করতো বলে অভিযোগ রয়েছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্র যে ১০টি জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তার মধ্যে একটি জাহাজ বাংলাদেশে ভাঙার জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল। জাহাজটি ১৯৯৭ সালে তৈরি করা হয়। এটি কমরোসের পতাকা ও ‘ইতায়ুগুয়া’ নামে চলত। এটি ভেরি লার্জ (অনেক বড়) তেলবাহী জাহাজ। বর্তমানে জাহাজটি বাংলাদেশেই নোঙর করা আছে। তবে স্পেল্স নামের একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে জাহাজটি এখন হয়ত আর ভাঙা হবে না।
এদিকে যেসব জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এগুলো ইরানের ‘ছায়া জাহাজ বহর’-এর অংশ। এ জাহাজগুলো দিয়ে বিশ্বব্যাপী ইরান তেল রপ্তানি করছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়।

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ফেব্রুয়ারি থেকে ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ নীতি অবলম্বন করেন। যার মধ্যে রয়েছে ইরানের তেল রপ্তানিকে শূন্যের কোটায় নিয়ে আসা। যেন তেল বিক্রির অর্থ দিয়ে দেশটি নিজেদের পারমাণবিক শক্তিকে সমৃদ্ধ করতে না পারে।

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় ইরানের তেলমন্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে বলেছে, তিনি বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার মূল্যের তেল রপ্তানির বিষয়টি তত্ত্বাবধান করেছেন। এ ছাড়া ইরানি সশস্ত্র বাহিনীকে কয়েক বিলিয়ন ডলারের তেল রপ্তানির জন্য দিয়েছেন।

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় আও বলেছে, ইরান তেল বিক্রির এসব অর্থ দিয়ে সাধারণ মানুষের স্বার্থ বাদ দিয়ে সরকারি স্বার্থ রক্ষা করছে। কিন্তু তারা যেন এগুলো করতে না পারে সেজন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ছাড়া যেসব জাহাজ ইরানি তেল রপ্তানির কাজে নিয়োজিত ছিল তাদের মালিক ও পরিচালনা প্রতিষ্ঠানকেও চিহ্নিত করা হয়েছে। মার্কিনিদের দাবি, এই জাহাজগুলো চীনে তেল পাঠানোর কাজে জড়িত ছিল। যেগুলো ভারত ও চীনের একাধিক জায়গায় গেছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইরানের সামরিক বাহিনী চীনে তেল পাঠাতে এসব ছায়া জাহাজের ওপর নির্ভরশীল।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বাংলাদেশে ভাঙার জন্য আনা জাহাজে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

আপডেট সময় : ১২:৩৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ’ নীতির অংশ হিসেবে দেশটির তেলমন্ত্রী ও ১০টি ট্যাংকার জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ জাহাজগুলো অবৈধভাবে ইরানের তেল বিশ্বব্যাপী রপ্তানিতে সহায়তা করতো বলে অভিযোগ রয়েছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্র যে ১০টি জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তার মধ্যে একটি জাহাজ বাংলাদেশে ভাঙার জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল। জাহাজটি ১৯৯৭ সালে তৈরি করা হয়। এটি কমরোসের পতাকা ও ‘ইতায়ুগুয়া’ নামে চলত। এটি ভেরি লার্জ (অনেক বড়) তেলবাহী জাহাজ। বর্তমানে জাহাজটি বাংলাদেশেই নোঙর করা আছে। তবে স্পেল্স নামের একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে জাহাজটি এখন হয়ত আর ভাঙা হবে না।
এদিকে যেসব জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এগুলো ইরানের ‘ছায়া জাহাজ বহর’-এর অংশ। এ জাহাজগুলো দিয়ে বিশ্বব্যাপী ইরান তেল রপ্তানি করছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়।

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ফেব্রুয়ারি থেকে ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ নীতি অবলম্বন করেন। যার মধ্যে রয়েছে ইরানের তেল রপ্তানিকে শূন্যের কোটায় নিয়ে আসা। যেন তেল বিক্রির অর্থ দিয়ে দেশটি নিজেদের পারমাণবিক শক্তিকে সমৃদ্ধ করতে না পারে।

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় ইরানের তেলমন্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে বলেছে, তিনি বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার মূল্যের তেল রপ্তানির বিষয়টি তত্ত্বাবধান করেছেন। এ ছাড়া ইরানি সশস্ত্র বাহিনীকে কয়েক বিলিয়ন ডলারের তেল রপ্তানির জন্য দিয়েছেন।

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় আও বলেছে, ইরান তেল বিক্রির এসব অর্থ দিয়ে সাধারণ মানুষের স্বার্থ বাদ দিয়ে সরকারি স্বার্থ রক্ষা করছে। কিন্তু তারা যেন এগুলো করতে না পারে সেজন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ছাড়া যেসব জাহাজ ইরানি তেল রপ্তানির কাজে নিয়োজিত ছিল তাদের মালিক ও পরিচালনা প্রতিষ্ঠানকেও চিহ্নিত করা হয়েছে। মার্কিনিদের দাবি, এই জাহাজগুলো চীনে তেল পাঠানোর কাজে জড়িত ছিল। যেগুলো ভারত ও চীনের একাধিক জায়গায় গেছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইরানের সামরিক বাহিনী চীনে তেল পাঠাতে এসব ছায়া জাহাজের ওপর নির্ভরশীল।