বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথের বক্তব্য উসকানিমূলক: রিজভী
- আপডেট সময় : ০৮:০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৮৮ বার পড়া হয়েছে
রাজনাথ সিংয়ের বক্তব্য রাশিয়া, ইউক্রেন, হামাস ও বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, এ বিষয়টি আমাদের উদ্বেগের ও আশঙ্কা তৈরি করেছে
বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বক্তব্য ইঙ্গিতপূর্ণ ও উসকানিমূলক এমন মন্তব্য করলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকার রামপুরায় আমরা বিএনপি পরিবার আয়োজিত আওয়ামী ফ্যাসিবাদ বিরোধী গণঅভ্যুত্থানে নিহত রিকশাচালক সাগরের পরিবারকে আর্থিক অনুদান দিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন রিজভী।
এ সময় রিজভী বলেন, ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং তাদের সেনাবাহিনীর কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠকে বলেছেন, যুদ্ধের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে। অবশ্য এটা তাদের দেশের ব্যাপার, নিরাপত্তার ব্যাপার। তবে তিনি বলেছেন, রাশিয়া, ইউক্রেন, হামাস ও বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, এ বিষয়টি আমাদের উদ্বেগের ও আশঙ্কা তৈরি করেছে।
রিজভী বলেন, বাংলাদেশে তো কোনো যুদ্ধ হচ্ছে না, এখানে শতাব্দীর সেরা গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটানো হয়েছে। এটা আমাদের নিজেদের বিষয়। আমাদের ওপর দানব চেপে বসে আমাদের রক্ত চুষে খাচ্ছিল, জনগণের পকেট কেটে তারা হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে, সেই দানব সরকারকে ছাত্র-জনতা আন্দোলন করে, রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে হটিয়েছে।
আর সেই আন্দোলনের মুখে দানব সরকারের প্রধান পালিয়ে গেছে। এখন বাংলাদেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিদ্যমান। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। কিন্তু রাজনাথ সিংয়ের রাশিয়া, ইউক্রেন, ইসরাইল, হামাসের সঙ্গে বাংলাদেশের নাম বলাটা ইঙ্গিতপূর্ণ ও উসকানিমূলক। এ বিষয়ে বাংলাদেশের সকল ছাত্র-জনতাকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
বিএনপির এই মুখপাত্র আরও বলেন, নানা ধরনের দুরভিসন্ধি এখনও চলছে। যারা পরাজিত হয়েছেন, তাদের আছে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা। বিগত ১৬ বছরে এই কালো টাকা তারা কামিয়েছে। এখন তারা এই কালো টাকা ব্যবহার করে নানা ষড়যন্ত্র করছে।
পোশাক শ্রমিকদের তারা নানাভাবে ব্যবহারের চেষ্টা করা হচ্ছে। গোটা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য তারা গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। দেশবাসীকে এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
রিজভী বলেন, বিগত ১৬ বছরে প্রায় ১০০টির মতো বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন হয়েছে এবং ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে খসড়া চুক্তি বা শর্ত স্বাক্ষর করে তাদের সঙ্গে হাজার হাজার কোটি টাকা লেনদেন করেছে। কোনো ধরনের শর্ত না দেখেই তারা চুক্তি করেছে।
আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা জাহিদুল কবির, যুবদল নেতা মেহবুব মাসুম শান্ত, ডা. আব্দুল আউয়াল, আরিফুর রহমান তুষার প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।