বাগেরহাটে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ও সঠিক সেবার দাবীতে সভা অনুষ্ঠিত

- আপডেট সময় : ০১:৩৩:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫ ২৮ বার পড়া হয়েছে
বাগেরহাটে জরুরি পরিস্থিতিতে বিশেষ করে দুর্যোগকালীন সময়ে লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও সঠিক সেবার দাবিতে এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বুধবার (২ জুলাই) সকালে বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থা, গ্লোবাল প্ল্যাটফর্ম অফ বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় এবং এ্যাক্টিভিস্টা বাগেরহাট ও রামপালের যৌথ আয়োজনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। শহরের অভিযাত হোটেল ধানসিড়িতে বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এএসএম মঞ্জুরুল হাসান মিলন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা মোঃ তানভির ইসলাম।
এসময় অন্যন্যদের মধ্যে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান, সাধারন সম্পাদক তরফদার রবিউল ইসলাম, রামপালের প্রকল্প কর্মকর্তা জিএম সাইফুল ইসলাম, বাগেরহাটের প্রকল্প কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা, এ্যাকশন এইড বাংলাদেশ-এর ইন্সপিরেটর সুপ্তি দাস চৈতি, এছাড়া রামপাল ও বাগেরহাট এর সচিববৃন্দ, স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধি, শিক্ষকবৃন্দ, জলবায়ুতে ক্ষতিগ্রস্ত ভুক্তভোগীসহ বাঁধন মানব উন্নয়ন সংস্থার অর্ধশতাধিক যুব সদস্য কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করেন।সভায় বক্তারা বলেন, উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়, বন্যা বা অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্যোগের সময় নারীরা বিশেষ ঝুঁকিতে পড়েন। সাইক্লোন শেল্টার গুলোতে পর্যাপ্ত আলো, নিরাপদ স্যানিটেশন, গোপনীয়তা ও নারীবান্ধব স্বাস্থ্যসেবার অভাবে তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে হয়রানির শিকার হন। অনেক ক্ষেত্রে কিশোরী ও প্রতিবন্ধী নারীরা আরো বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। তারা আরও বলেন, নারী ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্থানীয় যুবদের নেতৃত্বে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম যেমন পথনাটক, মাইকিং, পোস্টারিং, স্কুল পর্যায়ে ক্যাম্পেইন চালু করা জরুরি। এ ধরনের উদ্যোগ নারী ও কিশোরীদের অধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখব।
অর্ধশতাধিক যুব প্রতিনিধি সভায় অংশগ্রহণ করেন এবং তারা জরুরি পরিস্থিতিতে নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৫ দফা সুপারিশ উত্থাপন করেন।
সুপারিশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—আশ্রয়কেন্দ্রে নারীদের জন্য আলাদা ও নিরাপদ স্থান নির্ধারণ, ২৪ ঘণ্টার হেল্পলাইন চালু, জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতার (GBV) মনিটরিং টিম গঠন, যুব স্বেচ্ছা সেবক দল তৈরি এবং নারীবান্ধব অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করা। তাদের দাবি, যুবদের অংশ গ্রহণের মাধ্যমে একটি সহিংসতা মুক্ত, নিরাপদ ও মানবিক আশ্রয় কেন্দ্র গড়ে তোলা সম্ভব।