ঢাকা ১১:৫৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

ধামরাইয়ে মসজিদে বাকবিতন্ডা

বাড়ীতে এসে সন্ত্রাসী হামলা, ঘরে লুটপাট

ধামরাই প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঢাকার ধামরাইয়ে মসজিদের ভিতরে অভ্যন্তরিন বাগবিতণ্ডায ধাক্কাধাক্কি অতঃপর বসতবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে নগত টাকা সহ স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আহত হয়েছেন চার জন, হামলার শিকার সাবেক মেম্বার আজগর আলী,তার দুই ছেলে ও স্ত্রী।
বর্তমানে তারা সকলেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গত ১৮ই অক্টোবর শনিবার উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের দক্ষিণ খড়ারচর গ্রামে আজগর আলী মেম্বারের নিজ বাড়ীতে ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় গত ২১ অক্টোবর ঢাকা বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ধামরাই আমলী আদালতে ১০জনের নামে উল্লেখ করে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী আজগর আলী (৭৪)।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আজগর আলী সাংবাদিকদের জানান গত ১৭ তারিখ শুক্রবার আমি মসজিদে নামাজের জন্য গেলে সেখানে ইমাম সাহেবের সাথে আমি কথা বলছিলাম তখন মসজিদের সেক্রেটারি ও সভাপতি দুইজনে আমার সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করে পরে নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে তারা আমার পথ গতিরোধ করে সেখানে তাদের সাথে ধাক্কাধাক্কি হয় এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে আসামীরা পর দিন দুপুর ১২ টা সময় আমার বাড়ীতে এসে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে আমি সহ আমার পরিবারের ৪ জন কে লাঠি ছ্যান দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে,পরে আমরা ইসলামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য গেলে সেখানেও আমাদের উপর হামলা চালায়,পরে হাসপাতালের ডাক্তার আমাদের সেখানে চিকিৎসা না দিয়ে ঢাকায় রেফার করে, আমরা এখনো এই হাসপাতালে আছি বাড়িতে যাইতে পরছিনা ওরা এখনো আমাদের হুমকি ধমকি দিয়ে অভিযোগ তুলে নিতে বলছে। তাই আমি আপনাদের স্বরনাপর্ন হলাম আমরা আপনাদের মাধ্যমে এর সঠিক তদন্ত সহ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
আসামীরা হলেন,মৃত তারা মিয়ার ছেলে মসজিদের সেক্রেটারি মোঃ হান্নান (৪৭) ও হাসেম মিয়া( ৪৪)মোঃ এছাক মিয়ার ছেলে মোঃ হাফিজ উদ্দিন (২৮)ও মোশারফ মাসুদ (৩২), মসজিদের সভাপতি ইদ্রিস আলী ও তার ৪ ছেলে মোঃ বাবুল হোসেন (৪১) মোঃ জাহিদুর রহমান (৪২),মোঃ জয়নাল (৪৫)ও মোঃ জালাল মিয়া (৩৫),মৃত হাসান আলীর ছেলে এছাক মিয়া (৫২),আসামীরা সকলেই ঢাকা জেলা ধামরাই উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের দক্ষিণ খড়ারচর গ্রামের বাসিন্দা।
মামলা এজহারে জানাযায়,হান্নান,বাবুলসহ ১০-১২ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভুক্তভোগী বাড়িতে এসে পরিবারের সকলের উপর হামলা চালায়, মারধর করে, ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে স্বর্ণ ও টাকা লুট করে নিয়ে যায়। আমাদের ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে আসামীরা চলে যায়। প্রতিবেশীরা আমাদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।”
অন্যদিকে অভিযুক্ত পক্ষের হাফিজুর ইসলাম বলেন,“নামাজের পর মসজিদের কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনার কথা বলা হয়, পরে হুজুর যখন বয়ান শুরু করে দেয় সময় আজগর মেম্বার হুজুরকে ইসলামিক বিভিন্ন বিয়ষ প্রশ্ন করতে থাকে। তখন মসুল্লিরা উত্তেজিত হয় বাগবিতান্ড জরিয়ে পরে এবং মারামারি হয়। পরে মারামারির বিষয়টি সমাধানের জন্য তার বাড়িতে গেলে উনারাই আগে হামলা করে পরে আমরাও করি।”
এ বিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন,“ঘটনার পর এক পক্ষ থানায় ও অপর পক্ষ আদালতে মামলা করেছে। তদন্ত চলছে, আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ধামরাইয়ে মসজিদে বাকবিতন্ডা

বাড়ীতে এসে সন্ত্রাসী হামলা, ঘরে লুটপাট

আপডেট সময় :

ঢাকার ধামরাইয়ে মসজিদের ভিতরে অভ্যন্তরিন বাগবিতণ্ডায ধাক্কাধাক্কি অতঃপর বসতবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে নগত টাকা সহ স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আহত হয়েছেন চার জন, হামলার শিকার সাবেক মেম্বার আজগর আলী,তার দুই ছেলে ও স্ত্রী।
বর্তমানে তারা সকলেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গত ১৮ই অক্টোবর শনিবার উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের দক্ষিণ খড়ারচর গ্রামে আজগর আলী মেম্বারের নিজ বাড়ীতে ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় গত ২১ অক্টোবর ঢাকা বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ধামরাই আমলী আদালতে ১০জনের নামে উল্লেখ করে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী আজগর আলী (৭৪)।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আজগর আলী সাংবাদিকদের জানান গত ১৭ তারিখ শুক্রবার আমি মসজিদে নামাজের জন্য গেলে সেখানে ইমাম সাহেবের সাথে আমি কথা বলছিলাম তখন মসজিদের সেক্রেটারি ও সভাপতি দুইজনে আমার সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করে পরে নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে তারা আমার পথ গতিরোধ করে সেখানে তাদের সাথে ধাক্কাধাক্কি হয় এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে আসামীরা পর দিন দুপুর ১২ টা সময় আমার বাড়ীতে এসে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে আমি সহ আমার পরিবারের ৪ জন কে লাঠি ছ্যান দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে,পরে আমরা ইসলামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য গেলে সেখানেও আমাদের উপর হামলা চালায়,পরে হাসপাতালের ডাক্তার আমাদের সেখানে চিকিৎসা না দিয়ে ঢাকায় রেফার করে, আমরা এখনো এই হাসপাতালে আছি বাড়িতে যাইতে পরছিনা ওরা এখনো আমাদের হুমকি ধমকি দিয়ে অভিযোগ তুলে নিতে বলছে। তাই আমি আপনাদের স্বরনাপর্ন হলাম আমরা আপনাদের মাধ্যমে এর সঠিক তদন্ত সহ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
আসামীরা হলেন,মৃত তারা মিয়ার ছেলে মসজিদের সেক্রেটারি মোঃ হান্নান (৪৭) ও হাসেম মিয়া( ৪৪)মোঃ এছাক মিয়ার ছেলে মোঃ হাফিজ উদ্দিন (২৮)ও মোশারফ মাসুদ (৩২), মসজিদের সভাপতি ইদ্রিস আলী ও তার ৪ ছেলে মোঃ বাবুল হোসেন (৪১) মোঃ জাহিদুর রহমান (৪২),মোঃ জয়নাল (৪৫)ও মোঃ জালাল মিয়া (৩৫),মৃত হাসান আলীর ছেলে এছাক মিয়া (৫২),আসামীরা সকলেই ঢাকা জেলা ধামরাই উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের দক্ষিণ খড়ারচর গ্রামের বাসিন্দা।
মামলা এজহারে জানাযায়,হান্নান,বাবুলসহ ১০-১২ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভুক্তভোগী বাড়িতে এসে পরিবারের সকলের উপর হামলা চালায়, মারধর করে, ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে স্বর্ণ ও টাকা লুট করে নিয়ে যায়। আমাদের ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে আসামীরা চলে যায়। প্রতিবেশীরা আমাদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।”
অন্যদিকে অভিযুক্ত পক্ষের হাফিজুর ইসলাম বলেন,“নামাজের পর মসজিদের কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনার কথা বলা হয়, পরে হুজুর যখন বয়ান শুরু করে দেয় সময় আজগর মেম্বার হুজুরকে ইসলামিক বিভিন্ন বিয়ষ প্রশ্ন করতে থাকে। তখন মসুল্লিরা উত্তেজিত হয় বাগবিতান্ড জরিয়ে পরে এবং মারামারি হয়। পরে মারামারির বিষয়টি সমাধানের জন্য তার বাড়িতে গেলে উনারাই আগে হামলা করে পরে আমরাও করি।”
এ বিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন,“ঘটনার পর এক পক্ষ থানায় ও অপর পক্ষ আদালতে মামলা করেছে। তদন্ত চলছে, আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”