ঢাকা ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo তীব্র শীতে আক্রান্ত মৌলভীবাজার তাপমাত্রা ১১.৯ ডিগ্রি Logo একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার আর নেই Logo ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল কার্যক্রম শুরু Logo সীমান্তে আরাকান আর্মি, কী প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশে? Logo দেড় কোটি প্রবাসী ভোটাধিকার বঞ্চিত, উপায় খুঁজছে সংস্কার কমিশন Logo অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণের চেষ্টা করছে রাজনৈতিক দলগুলো Logo অর্থ উপদেষ্টার দৃষ্টিতে আলুর দাম বাড়লেও অন্যগুলো সাশ্রয়ী Logo প্রভাবমুক্ত থেকে ন্যায়নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার অঙ্গিকার Logo ভারতের আগ্রাসনের প্রতিবাদে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাদের বিক্ষোভ, ৬ দাবি Logo ভারতীয় মিডিয়ায় ইসকন সদস্যের ওপর হামলার সংবাদ মিথ্যা

বানের জলে ভাসছে ফেনী-নোয়াখালি শতাধিক গ্রাম প্লাবিত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪০:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪ ১৫৩ বার পড়া হয়েছে

বন্যাদুর্গতরা ছুটছেন নিরাপদ আশ্রয়ে : ছবি সংগ্রহ

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বানের জলে তলিয়ে গেছে ফেনীর ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়ার শতাধিক গ্রাম। তাতে পানিবন্দী লাখো মানুষ। তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট ও ঘর-বসতি।
অন্যদিকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ সদর ও চাটখিল এলাকা বন্যা কবলিত।

বেগমগঞ্জের আলাইয়াপুর ইউনিয়নের আমানউল্লাপুর গ্রামের হারুন অর রশিদ খোকা জানান, তার বাড়িতে পানি ওঠেছে। রান্না ঘরে পানি ওঠায় তারা রান্না করতে পারছেন না।

বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর পানি। ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়ন, আনন্দপুর, মুন্সীরহাট, আমজাদহাট ইউনিয়নের ৪০টির বেশি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী।

পরশুরামের মির্জানগর, চিথলিয়া, বক্সমাহমুদ এবং পৌরশহরসহ ৪৫টির বেশি গ্রাম পানিতে তলিয়ে রয়েছে। ছাগলনাইয়ার পাঠান নগর, রাধানগর, শুভপুর ইউনিয়নেরও বেশ কয়েকটি গ্রামে বন্যা হচ্ছে।

এসব এলাকায় তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট, পুকুর ও ফসলি জমি। কিছু কিছু এলাকায় মানুষের ঘরের ছাদ ও টিনের চালেও ছুঁয়েছে বন্যার পানি। এমন পরিস্থিতিতে আশ্রয় খুঁজছেন স্থানীয়রা। বন্যাদুর্গতদের জন্য ত্রাণ সহায়তা নিয়ে মাঠে নেমেছে স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

গত মাসের মাসের শুরুতে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর ১৫ স্থানে ভাঙন দেখা যায়। সেসব স্থানে মেরামতের পর চলতি মাসের শুরুতে বাঁধের আরও ১২ স্থানে ভাঙন দেখা দেয়।

বাঁধে ভাঙনে প্লাবিত হয় শতাধিক গ্রাম। অবকাঠামো, ধান, ফসল ও মৎস্যে ক্ষতি ৩০ কোটি ছাড়িয়ে যায়। ১৫ দিনের মাথায় আবার দেখা দিল বন্যা।

ফেনী জেলা প্রশাসক মুসাম্মত শাহীনা আক্তার বলেন, ত্রাণ সহায়তা ও উদ্ধার অভিযানে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম বলেন, মুহুরী নদীর পানি বিপদ সীমার ৮৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ফেনী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মুনীর হোসেন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বানের জলে ভাসছে ফেনী-নোয়াখালি শতাধিক গ্রাম প্লাবিত

আপডেট সময় : ১১:৪০:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

 

বানের জলে তলিয়ে গেছে ফেনীর ফুলগাজী, পরশুরাম ও ছাগলনাইয়ার শতাধিক গ্রাম। তাতে পানিবন্দী লাখো মানুষ। তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট ও ঘর-বসতি।
অন্যদিকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ সদর ও চাটখিল এলাকা বন্যা কবলিত।

বেগমগঞ্জের আলাইয়াপুর ইউনিয়নের আমানউল্লাপুর গ্রামের হারুন অর রশিদ খোকা জানান, তার বাড়িতে পানি ওঠেছে। রান্না ঘরে পানি ওঠায় তারা রান্না করতে পারছেন না।

বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর পানি। ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়ন, আনন্দপুর, মুন্সীরহাট, আমজাদহাট ইউনিয়নের ৪০টির বেশি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী।

পরশুরামের মির্জানগর, চিথলিয়া, বক্সমাহমুদ এবং পৌরশহরসহ ৪৫টির বেশি গ্রাম পানিতে তলিয়ে রয়েছে। ছাগলনাইয়ার পাঠান নগর, রাধানগর, শুভপুর ইউনিয়নেরও বেশ কয়েকটি গ্রামে বন্যা হচ্ছে।

এসব এলাকায় তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট, পুকুর ও ফসলি জমি। কিছু কিছু এলাকায় মানুষের ঘরের ছাদ ও টিনের চালেও ছুঁয়েছে বন্যার পানি। এমন পরিস্থিতিতে আশ্রয় খুঁজছেন স্থানীয়রা। বন্যাদুর্গতদের জন্য ত্রাণ সহায়তা নিয়ে মাঠে নেমেছে স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

গত মাসের মাসের শুরুতে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর ১৫ স্থানে ভাঙন দেখা যায়। সেসব স্থানে মেরামতের পর চলতি মাসের শুরুতে বাঁধের আরও ১২ স্থানে ভাঙন দেখা দেয়।

বাঁধে ভাঙনে প্লাবিত হয় শতাধিক গ্রাম। অবকাঠামো, ধান, ফসল ও মৎস্যে ক্ষতি ৩০ কোটি ছাড়িয়ে যায়। ১৫ দিনের মাথায় আবার দেখা দিল বন্যা।

ফেনী জেলা প্রশাসক মুসাম্মত শাহীনা আক্তার বলেন, ত্রাণ সহায়তা ও উদ্ধার অভিযানে প্রশাসন তৎপর রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম বলেন, মুহুরী নদীর পানি বিপদ সীমার ৮৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ফেনী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মুনীর হোসেন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়েছে।