বানের জলে ভেসে গেলো সিলেটে ঈদ আনন্দ

- আপডেট সময় : ৪৬৫ বার পড়া হয়েছে
সিলেটে ঈদ আনন্দ ভেসে গেলো বানের জলে। ঈদের দিন সোমবার (১৭ জুন) ভারতে অতি বৃষ্টির কারণে সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারাসহ সড়ক নদ নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। সুরমা নদী উৎরে নগরের ছড়া খাল দিয়ে ঢুকে অনেক এলাকা প্লাবিত করেছে।
ভোর থেকে ভারী বর্ষণে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। রাস্তায় কোমর সমান পানি। নগরীর বহু বাসিন্দা ঈদ জামাতে অংশ নিতে পারেননি। কোরবানি দিতেও সমস্যা হয়।
অবিরত ভারী বর্ষণে সিলেট নগরীর মেজরটিলা ইসলামপুরের বিভিন্ন এলাকা, উপশহরের বিভিন্ন এলাকা, তেররতন, যতরপুর, শাপলাবাগ, মাছিমপুর, ছড়ারপাড়. কালীঘাট, সুবহানীঘাট, শিবগঞ্জ, সোনারপাড়া, মিরাবাজার, আগপাড়া, ঝেরঝেরীপাড়া, লামাবাজার, মীরের ময়দান, বাগবাড়ি, মদীনা মার্কেট, কুয়ারপাড় লালা দিঘীর পাড়, কানিশাইল, শাহী ঈদগাহ, খাসদবির, চৌখিদেখি, এয়ারপোর্ট সড়ক ও বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
বিভিন্ন এলাকায় হাঁটু-কোমর সমান পানি। জলমগ্ন এলাকায় রাস্তাঘাটে স্রোত। প্রতিটি রাস্তাই ছোটখাটো খালে পরিণত হয়েছে। ড্রেনের নোংরা পানি রাস্তা ছাড়িয়ে মানুষের ঘরে প্রবেশ করেছে।
সোমবার ভোর থেকে বজ্র বৃষ্টির কারণে অবর্ণনীয় পরিস্থিতির মুখোমুখি সিলেট নগরের বাসিন্দাদের ঈদ আনন্দ ফিকে হয়ে আসে। নোংরা পানি মাড়িয়ে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ঈদের জামাতে অংশ নিতে ঈদগাহ ও মসজিদে যান।
মুষলধারে বৃষ্টির কারণে কারণে কর্তৃপক্ষ ঈদের জামাতের স্থান ও সময় পরিবর্তন করেছে। ঈদগাহের পরিবর্তে এলাকার মসজিদগুলোয় মুসল্লিরা ঈদের জামাত আদায় করেন।
সিলেট নগরের যেসব সড়কে কখনো পানি ওঠেনি, সেসব সড়কেও জলমগ্ন। নগরের অন্তত ৭০ ভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ডুবেছে রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ ও মসজিদ-মাদরাসা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, সোমবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ১৭৩ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েব সাইট (আইএমডি) থেকে পাওয়া তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে। ১৫ জুন সকাল ৯টা থেকে ১৬ জুন সকাল ৯টা পর্যন্ত ৪৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে চেরাপুঞ্জিতে।
ভারতে অতি বৃষ্টির কারণে সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারাসহ সড়ক নদ নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে সিলেট নগরীর সংলগ্ন সুরমা নদী উৎরে নগরীর অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে।