বান্দরবানে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বড়দিন পালন
- আপডেট সময় : ০৫:২১:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ৫৪ বার পড়া হয়েছে
বান্দরবানে যীশু খ্রিষ্টের জন্মদিনের স্মরণে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়েরা বড়দিন পালন করেছে। যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষ্যে সকাল থেকে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের নারী-শিশু ও পুরুষেরা সমবেত প্রার্থনায় মিলিত হয়ে আগামী দিনের সুখের জন্য বিশেষ প্রার্থনা করেন ভক্তরা। প্রার্থনায় আত্মশুদ্ধির মধ্য দিয়ে নতুন বছরের সুখ শান্তির প্রত্যাশা করে সকলে। বড়দিন পালনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে পুর্নজন্ম, নব সূচনা, ক্ষমা ও বিশ্ব শান্তির চেতনা।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রার্থনার মধ্য দিয়ে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় এবং বড়দিন উপলক্ষে ভোর থেকে বান্দরবান জেলা সদরে ব্যাপটিস্ট গির্জা ও ফাতেমা রাণী ক্যাথলিক গির্জায় সমবেত প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।
খ্রিষ্ঠান সম্প্রদায়েরা জানান,বান্দরবান জেলায় বম, ত্রিপুরা, খিয়াং, খুমি, লুসাই, ম্রোসহ খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অন্যতম উৎসব বড়দিন বা ক্রিসমাস উদযাপন করছেন। ওই সময় গির্জায় বড়দিনে ধর্মীয় গান পরিবেশনা করা হয়। গানের সুরে সুরে মেতে উঠেন খ্রিষ্টান ধর্মালম্বীরা। এদিনে জেরুজালেম বেথলেহেম শহরে এক গরিব পরিবারে কুমারী মাতা মেরির গর্ভে জন্ম হয় খ্রিষ্টান ধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিষ্ট।
এরপর থেকে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা প্রতিবছরের ২৫ ডিসেম্বরকে বড়দিন হিসেবে পালন করে আসছে।সকাল থেকে বান্দরবান শহরে ফাতেমা রাণী গীর্জায় সমবেত প্রার্থনা শেষে সকলে মিলে পরিবেশন করেন যীশুর আরাধনায় সমবেত সংগীতানুষ্ঠান। এসময় খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা সমবেত সংগীতের মধ্য দিয়ে যীশুর বিভিন্ন দিক নির্দেশনা তুলে ধরেন। ওই সময় প্রার্থনা প্রদান করেন বান্দরবান ফাতেমা রাণী গীর্জায় ফাদার সুধীর দাস (সি.এস.সি) পাল পুরোহিত।
এদিকে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিন উপলক্ষে জেলার ৭টি উপজেলার প্রতিটি গীর্জায় নেওয়া হয়েছে পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা ব্যাবস্থা।