ঢাকা ১১:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪

বায়ু দূষণে প্রথম বাংলাদেশ, দ্বিতীয় পাকিস্তান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:০৬:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪ ১৯৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

২০২৩ সালে বাংলাদেশের বাতাসে ফাইন পার্টিকুলেট ম্যাটার বা পিএম-২.৫ এর পরিমাণ ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৭৯ দশমিক ৯ মাইক্রোগ্রাম। অপর দিকে পাকিস্তানের বাতাসে ছিল ৭৩ দশমিক ৭ মাইক্রোগ্রাম।

অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বাতাসে এটি থাকা উচিত ৫ মাইক্রোগ্রাম। বাতাসে পিএম ২.৫ বেশি হলে ফুসফুসের ব্যাপক ক্ষতি হয়।

২০২৩ সালে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারত-দক্ষিণ এশিয়ার এই তিন দেশে বায়ুদূষণের হার সবচেয়ে বেশি।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য ওঠে এসেছে। এই তিন দেশের বাতাসে যে পরিমাণ দূষিত কণা রয়েছে তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদন্ডের চেয়ে প্রায় ১৫ গুণ বেশি।

বায়ুদূষণের ওপর ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি ২০২৩ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আইকিউএয়ার। প্রতিবেদনে বলা হয়, বায়ুদূষণে বিশ্বের শীর্ষ তিন দেশের মধ্যে পাকিস্তান দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে। আফ্রিকার দেশ চাদ আর ইরানকে পেছনে ফেলে যথাক্রমে প্রথম ও তৃতীয় অবস্থানে ওঠে এসেছে বাংলাদেশ ও ভারত।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইকিউএয়ারের এয়ার কোয়ালিটি সায়েন্স ম্যানেজার ক্রিস্টি চেস্টার শ্রোয়েডার এই তিন দেশের ভয়াবহ বায়ুদূষণের কারণ সম্পর্কে বলেছেন, জলবায়ু পরিস্থিতি ও ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে তিন দেশে পিএম-২.৫ এর ঘনত্ব আকাশ ছুঁয়েছে। আরেকটি বড় কারণ হলো দূষিত পদার্থের আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।

শ্রোয়েডার আরও বলেন, বায়ুদূষণের অন্যান্য কারণ হলো, দেশগুলোর কৃষি ব্যবস্থা, শিল্পায়ন ও জনসংখ্যার ঘনত্ব। ২০২২ সালে বিশ্বে বায়ুদূষণের দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল শেষ থেকে পঞ্চম আর ভারতের অবস্থান ছিল অষ্টম।

ভারতের বায়ুদূষণও গত বছরের তুলনায় বেড়েছে যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদন্ডের চেয়ে ১১ গুণ বেশি। দিল্লি সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম। এখানে দূষণের হার ৯২.৭ মাইক্রোগ্রাম।

১৩৪ টি দেশ ও অঞ্চলের ৩০ হাজারের বেশি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে আইকিউএয়ার। ২০২৩ সালে ডব্লিউএইচও’র মানদন্ড পূরণ করেছে অস্ট্রেলিয়া, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, গ্রেনাডা, আইসল্যান্ড, মরিশাস এবং নিউজিল্যান্ড।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বায়ু দূষণে প্রথম বাংলাদেশ, দ্বিতীয় পাকিস্তান

আপডেট সময় : ০৪:০৬:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

 

২০২৩ সালে বাংলাদেশের বাতাসে ফাইন পার্টিকুলেট ম্যাটার বা পিএম-২.৫ এর পরিমাণ ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৭৯ দশমিক ৯ মাইক্রোগ্রাম। অপর দিকে পাকিস্তানের বাতাসে ছিল ৭৩ দশমিক ৭ মাইক্রোগ্রাম।

অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বাতাসে এটি থাকা উচিত ৫ মাইক্রোগ্রাম। বাতাসে পিএম ২.৫ বেশি হলে ফুসফুসের ব্যাপক ক্ষতি হয়।

২০২৩ সালে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারত-দক্ষিণ এশিয়ার এই তিন দেশে বায়ুদূষণের হার সবচেয়ে বেশি।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য ওঠে এসেছে। এই তিন দেশের বাতাসে যে পরিমাণ দূষিত কণা রয়েছে তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদন্ডের চেয়ে প্রায় ১৫ গুণ বেশি।

বায়ুদূষণের ওপর ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি ২০২৩ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আইকিউএয়ার। প্রতিবেদনে বলা হয়, বায়ুদূষণে বিশ্বের শীর্ষ তিন দেশের মধ্যে পাকিস্তান দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে। আফ্রিকার দেশ চাদ আর ইরানকে পেছনে ফেলে যথাক্রমে প্রথম ও তৃতীয় অবস্থানে ওঠে এসেছে বাংলাদেশ ও ভারত।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইকিউএয়ারের এয়ার কোয়ালিটি সায়েন্স ম্যানেজার ক্রিস্টি চেস্টার শ্রোয়েডার এই তিন দেশের ভয়াবহ বায়ুদূষণের কারণ সম্পর্কে বলেছেন, জলবায়ু পরিস্থিতি ও ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে তিন দেশে পিএম-২.৫ এর ঘনত্ব আকাশ ছুঁয়েছে। আরেকটি বড় কারণ হলো দূষিত পদার্থের আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই।

শ্রোয়েডার আরও বলেন, বায়ুদূষণের অন্যান্য কারণ হলো, দেশগুলোর কৃষি ব্যবস্থা, শিল্পায়ন ও জনসংখ্যার ঘনত্ব। ২০২২ সালে বিশ্বে বায়ুদূষণের দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল শেষ থেকে পঞ্চম আর ভারতের অবস্থান ছিল অষ্টম।

ভারতের বায়ুদূষণও গত বছরের তুলনায় বেড়েছে যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদন্ডের চেয়ে ১১ গুণ বেশি। দিল্লি সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম। এখানে দূষণের হার ৯২.৭ মাইক্রোগ্রাম।

১৩৪ টি দেশ ও অঞ্চলের ৩০ হাজারের বেশি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে আইকিউএয়ার। ২০২৩ সালে ডব্লিউএইচও’র মানদন্ড পূরণ করেছে অস্ট্রেলিয়া, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, গ্রেনাডা, আইসল্যান্ড, মরিশাস এবং নিউজিল্যান্ড।