বিএনপির টিকেট পেলো না সাংবাদিক-শিল্পীরা
- আপডেট সময় : ৩১ বার পড়া হয়েছে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নের দৌড়ে ছিটকে পড়েছেন প্রায় অর্ধশত সাংবাদিক এবং শিল্পী। তারা দীর্ঘদিন ধরে সাংসদ হওয়ার অভিপ্রায়ে বিএনপির হয়ে প্রকাশ্যে বা গোপনে কাজ করে আসছিলেন। সবশেষে সেই আশার ঘুড়ে বালি পড়েছে। দলের মনোনয়ন নামের টিকেট থেকে বঞ্চিত হয়েছেন সকলেই। গতকাল বিকেলে সারাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীতার খসড়া তালিকা প্রকাশ করে বিএনপি। এরপরই সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক ও শিল্পীরা হতাশায় ভেঙ্গে পড়েন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ হবে, এমনটাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তাই রাজনৈতিক দলগুলোও হয়েছে নির্বাচনমুখী। অন্তর্বর্তী সরকার বারবার জানিয়েছে, যে করেই হোক ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে সংসদ নির্বাচনের আয়োজন তারা সম্পন্ন করবে।
এদিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন। নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় পরিচিত ও গ্রহণযোগ্যতার পাশাপাশি দলীয় জরিপে যারা এগিয়ে আছেন, তারাই আলোচনায় আছেন।
বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছেন সাংবাদিক এবং বিনোদন অঙ্গনের তারকারাও। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে তাদের নামও শোনা গিয়েছিল এতোদিন ধরে। গণসংযোগও করেছেন তারা। তবে গতকাল সোমবার আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৩৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করছে বিএনপি। এতে কোথায় নেই কোনো সাংবাদিক ও তারকার নাম।
সূত্র আরো জানায়, এর আগে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তালিকায় অভিনয় অঙ্গনের মানুষের চেয়ে সংগীতাঙ্গনের মানুষের নামই বেশি উচ্চারিত হয়েছে। যাদের নিয়ে বেশ আলোচনা ছিল তাদের মধ্যে অন্যতম আমিরুল ইসলাম কাগজী, আনোয়ার আলদ্বীন, কাদের গণি চৌধুরী, এম এ আজিজ ও সাঈদ খানের নাম। অন্যদিকে কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন, মনির খান, আসিফ আকবর, রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা ও অভিনেতা আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বলের নামও ছিল আলোচনায়।
এছাড়া বিভিন্ন সময়ে আলোচনায় উঠে এসেছে সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর, নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি, চলচ্চিত্র অভিনয়শিল্পী হেলাল খান ও শিবা সানু বিএনপির হয়ে নির্বাচনে লড়তে পারেন। কিন্তু মনোনয়ন তালিকায় কোথাও তাদের কারো নাম পাওয়া যায়নি। এর আগে ২০১৮ সালে নীলফামারী-৪ আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন বেবী নাজনীন। এবার এ সংগীতশিল্পীর এলাকা থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন মোঃ আব্দুল গফুর সরকার।
২০১৮ সালে সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন কনকচাঁপা কিন্তু এবার ওই আসন থেকে এখনো কাউকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি। মনির খানের ঝিনাইদহ ৩ আসন থেকে মোহাম্মদ মেহেদী হাসান মনোনয়ন পান।
অন্যদিকে সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী প্রথমবারের মতো মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন খুলনা-৬ (কয়রা -পাইকগাছা) আসনে, একই আসনে আলোচনা ছিল আনোয়ার আলদ্বীনের নাম, চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসেন মনোনয়ন আশা করছিলেন সাংবাদিক কাদের গণি চৌধুরী, এম, এ আজিজ আশা করছিলেন পাবনা-১ (সাঁথিয়া-ভেড়ামারা) আসনে, আর সাঈদ খান গণসংযোগ করেছিলেন পিরোজপুর–১ আসনে।
প্রসঙ্গত, তবে কেউ কেউ মনে করছেন, নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এলে নির্বাচনী হিসাব নিকাশ এদিক-সেদিক হতেও পারে। তাই এখনও সিদ্ধান্ত না নেয়া ৬৩ আসনে বিএনপির কোনো প্রার্থীর নাম দেয়া হয়নি। এখন সকল বিষয়গুলোর ব্যাপারে সময়ই বলে দিবে বলে মন্তব্য করেন রাজনীতিক বিশেষজ্ঞগন।





















