ঢাকা ০৩:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

বিগত ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলে বিভিন্ন সময়ে মামলা-হামলার শিকার হয়েছেন বিএনপি নেতা আমজাদ হোসেন

নরসিংদী প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ৩১৭ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিগত ফ্যসিবাদ সরকারের শাসনামলের ১৭ বছর বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা অজুহাতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত হয়রানি, হামলা, মামলা, গুম, খুন আর নির্যাতনের শিকার হয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির লক্ষ লক্ষ নেতা-কর্মী। তারই ধারাবাহিকতায় নরসিংদী জেলা যুবদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বলেন, আমিও এর বাইরে ছিলাম না। বিগত ১৬ বছর জননেতা খায়রুল কবির খোকন ভাইয়ের নির্দেশে নরসিংদী জেলা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে দলীয় প্রোগ্রামে আমি সশস্ত্র নেতাকর্মী নিয়ে প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলাম এবং তা সফল করে আসছি। বিগত শাসন আমলের ১৭ বছরে ১৪টি মামলা, মিথ্যা ও গায়েবী মামলার কারণে এখন অবদি ৩ বার কারাবরণ করেছি। দেশব্যাপী বিরোধী মতাদর্শকে দমনের জন্য ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা ছিল বিগত সরকারের অন্যতম নিকৃষ্ট চরিত্রের এক বহিঃপ্রকাশ। বিগত সরকারের নির্দেশে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে রাষ্ট্রের আইনশৃংখলা বাহিনীকে ন্যাক্কারজনকভাবে লেলিয়ে দিয়েছিল ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার। সরকারের মদদে এবং লোকাল পুলিশ প্রশাসনের প্রত্যক্ষ ভূমিকাতে বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক প্রোগ্রামে বাধাগ্রস্থ করতে পরিকল্পিত ভাবে হয়রানিমুলক মামলার শিকার হয়েছিলাম। এছাড়া আমাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিভিন্নরকম হয়রানি করাসহ আমাদেরকে বাড়ি ছাড়া করানো হয় এবং ফেসিস্ট সরকারের উশৃংখল নেতাকর্মীরা আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে ২০২৪ইং সালের ৯ এপ্রিল মঙ্গলবার আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকে দেড় লাখ টাকা ঈদসালামি চায় স্থানীয় একদল আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসী। টাকা না দেওয়ায় তারা আমাকে অটোরিকশায় তুলে অপহরণ করে। আমার মুঠোফোন থেকে বিকাশে ২০ হাজার টাকা তুলে নেয়। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে ৩ ঘণ্টার মধ্যেই অপহৃত আমজাদ হোসেনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আল্লাহর অশেষ কৃপায় সে যাত্রায় আমি বেঁচে গিয়েছিলাম বলে অভিমত প্রকাশ করেন বিএনপি নেতা আমজাদ হোসেন। আমার বৃদ্ধ পিতা মোহাম্মদ আলীকে এই ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার ধারা কর্তৃক ৫টি গায়েবী মামলা দিয়েছেন। অন্য একটা অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ১৭ বছরে একাধিক বার জেলে যেতে হয়েছে এবং ১৪টি মামলার আসামি ছিলেন বলে অনুভূতি প্রকাশ করেন এই বিএনপি দলীয় নেতা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে অন্তবর্তীকালীন সরকারের বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার কথা জানান এবং বলেন বর্তমানে আমরা কিছুটা হলেও মুক্তমনে চলাফেরা করা এবং পরিবার নিয়ে নিজ বাড়িতে জীবন যাপন করতে পারছি এবং গণতান্ত্রিক মানসিকতা নিয়ে কথা বলতে পারছি।
বিএনপির এই নেতা এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, গত জুলাই আগস্ট আন্দোলনে সব থেকে বেশি আন্দোলন হয়েছে নরসিংদীর মাটিতে। আর এই আন্দোলনে ছাত্র শ্রমিক জনতাসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যে ২২ জন নিহত হয় এই নরসিংদীতে। বিভীষিকাময় এই দিনের কথা মানুষ কখনোই ভুলবে না।
বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মামলার আসামি হলেও রাজপথে লড়াকু সৈনিকের ভূমিকায় ছিলেন নরসিংদীর এই ত্যাগী নেতা। বিগত সরকারের দীর্ঘ শাসনামলে শত প্রতিকূলতার মাঝেও দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়মিত খোঁজ রাখতেন নরসিংদী জেলা যুবদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন।
বিএনপির দলীয় মনোভাবের প্রশ্নে তিনি জানান, ছোটবেলা থেকেই তিনি বড়দের দেখে এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা বাস্তবায়নের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে দলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করার অনুপ্রেরণা পান। শহীদ জিয়ার আদর্শ বাস্তবায়নের আন্দোলনে একের পর এক হামলা, মামলায় পারিবারিক এবং আর্থিকভাবে অবর্ননীয় ক্ষতির শিকার হয়েও জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রেরণায় পাড়ি দিয়েছেন দীর্ঘ পথ। স্ত্রী, সন্তান কিংবা স্বজন কেউই বাদ যায়নি ফ্যাসিস্ট হাসিনার নির্মম অত্যাচার থেকে।
স্বৈরাচারী সরকারের রোষানলে পড়ায় দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর স্বাভাবিক জীবন যাপনের স্বপ্নটা ছিল অনেকটা দুঃস্বপ্নের মতো-এমনটাই বলছিলেন নরসিংদীর ত্যাগী এই রাজনেতিক নেতা। দলীয় নেতা-কর্মীদের ভূমিকা প্রসঙ্গে নরসিংদী জেলা যুবদল নেতা আমজাদ হোসেন বলেন, জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী বিএনপির লক্ষ লক্ষ নেতা-কর্মী ২০০৯ সাল থেকে হাসিনার পতন অবধি যেমন সোচ্চার ছিলেন তেমনি হাজার হাজার নেতা-কর্মী উৎসর্গ করেছিলেন স্বৈরাচারমুক্ত দেশ গঠনের চেতনায়। সমৃদ্ধ একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশায় সাধারণ মানুষের পাশে থেকে জীবনের বাকীটা সময় কাটিয়ে দিতে চান শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক আমজাদ হোসেন এবং দল তার ত্যাগের মূল্যায়ন করলে ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ইমানী দায়িত্ব মনে করে কাজ করে যেতে চান আমজাদ হোসেন। বর্তমান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারুণ্যের অহংকার জননেতা তারেক রহমানের নির্দেশে ৩১ দফা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে আশা রাখি এর ব্যত্যয় ঘটাবে না। দলীয় নীতির বাইরে কোন অপরাধ করলে দল থেকেই তার ব্যবস্থা করবে। এছাড়া দুর্নীতি পরায়ন ও চাঁদাবাজদের কোন স্থান নেই বলে দূঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে মতামতে তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সব সময় নির্বাচনমুখী গণতান্ত্রিক মানসিকতার ছিলেন বলেই কখনো অন্যায় ভাবে ক্ষমতা যাওয়ার প্রচেষ্টা করেননি। তাঁর শাসন আমলে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরপরই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার ক্ষেত্রে তিনি সবসময় সোচ্চার ছিলেন। এই আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং মানুষের মনের মনিকোঠায় স্থান করে নেয়া এবং জনগণের পাশে থেকে কাজ করার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
বিএনপির ত্যাগী নেতা আমজাদ হোসেন আরো বলেন, আমার রাজনীতির সাধারণ মানুষের জন্য, আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কর্মী ছিলাম আছি এবং থাকবো, ঠিক একই ভাবে বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব, নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি আমার নেতা, আমার অহংকার জননেতা খায়রুল কবির খোকন ভাইয়ের নির্দেশে পূর্বেও আপোষহীন ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকবো ইনশাল্লাহ।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিগত ফ্যাসিবাদ সরকারের আমলে বিভিন্ন সময়ে মামলা-হামলার শিকার হয়েছেন বিএনপি নেতা আমজাদ হোসেন

আপডেট সময় :

বিগত ফ্যসিবাদ সরকারের শাসনামলের ১৭ বছর বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা অজুহাতে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত হয়রানি, হামলা, মামলা, গুম, খুন আর নির্যাতনের শিকার হয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির লক্ষ লক্ষ নেতা-কর্মী। তারই ধারাবাহিকতায় নরসিংদী জেলা যুবদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বলেন, আমিও এর বাইরে ছিলাম না। বিগত ১৬ বছর জননেতা খায়রুল কবির খোকন ভাইয়ের নির্দেশে নরসিংদী জেলা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে দলীয় প্রোগ্রামে আমি সশস্ত্র নেতাকর্মী নিয়ে প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলাম এবং তা সফল করে আসছি। বিগত শাসন আমলের ১৭ বছরে ১৪টি মামলা, মিথ্যা ও গায়েবী মামলার কারণে এখন অবদি ৩ বার কারাবরণ করেছি। দেশব্যাপী বিরোধী মতাদর্শকে দমনের জন্য ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা ছিল বিগত সরকারের অন্যতম নিকৃষ্ট চরিত্রের এক বহিঃপ্রকাশ। বিগত সরকারের নির্দেশে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে রাষ্ট্রের আইনশৃংখলা বাহিনীকে ন্যাক্কারজনকভাবে লেলিয়ে দিয়েছিল ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার। সরকারের মদদে এবং লোকাল পুলিশ প্রশাসনের প্রত্যক্ষ ভূমিকাতে বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক প্রোগ্রামে বাধাগ্রস্থ করতে পরিকল্পিত ভাবে হয়রানিমুলক মামলার শিকার হয়েছিলাম। এছাড়া আমাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিভিন্নরকম হয়রানি করাসহ আমাদেরকে বাড়ি ছাড়া করানো হয় এবং ফেসিস্ট সরকারের উশৃংখল নেতাকর্মীরা আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে ২০২৪ইং সালের ৯ এপ্রিল মঙ্গলবার আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকে দেড় লাখ টাকা ঈদসালামি চায় স্থানীয় একদল আওয়ামীলীগ সন্ত্রাসী। টাকা না দেওয়ায় তারা আমাকে অটোরিকশায় তুলে অপহরণ করে। আমার মুঠোফোন থেকে বিকাশে ২০ হাজার টাকা তুলে নেয়। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে ৩ ঘণ্টার মধ্যেই অপহৃত আমজাদ হোসেনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আল্লাহর অশেষ কৃপায় সে যাত্রায় আমি বেঁচে গিয়েছিলাম বলে অভিমত প্রকাশ করেন বিএনপি নেতা আমজাদ হোসেন। আমার বৃদ্ধ পিতা মোহাম্মদ আলীকে এই ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার ধারা কর্তৃক ৫টি গায়েবী মামলা দিয়েছেন। অন্য একটা অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ১৭ বছরে একাধিক বার জেলে যেতে হয়েছে এবং ১৪টি মামলার আসামি ছিলেন বলে অনুভূতি প্রকাশ করেন এই বিএনপি দলীয় নেতা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে অন্তবর্তীকালীন সরকারের বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার কথা জানান এবং বলেন বর্তমানে আমরা কিছুটা হলেও মুক্তমনে চলাফেরা করা এবং পরিবার নিয়ে নিজ বাড়িতে জীবন যাপন করতে পারছি এবং গণতান্ত্রিক মানসিকতা নিয়ে কথা বলতে পারছি।
বিএনপির এই নেতা এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, গত জুলাই আগস্ট আন্দোলনে সব থেকে বেশি আন্দোলন হয়েছে নরসিংদীর মাটিতে। আর এই আন্দোলনে ছাত্র শ্রমিক জনতাসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যে ২২ জন নিহত হয় এই নরসিংদীতে। বিভীষিকাময় এই দিনের কথা মানুষ কখনোই ভুলবে না।
বিগত সরকারের আমলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মামলার আসামি হলেও রাজপথে লড়াকু সৈনিকের ভূমিকায় ছিলেন নরসিংদীর এই ত্যাগী নেতা। বিগত সরকারের দীর্ঘ শাসনামলে শত প্রতিকূলতার মাঝেও দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়মিত খোঁজ রাখতেন নরসিংদী জেলা যুবদলের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন।
বিএনপির দলীয় মনোভাবের প্রশ্নে তিনি জানান, ছোটবেলা থেকেই তিনি বড়দের দেখে এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা বাস্তবায়নের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে দলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করার অনুপ্রেরণা পান। শহীদ জিয়ার আদর্শ বাস্তবায়নের আন্দোলনে একের পর এক হামলা, মামলায় পারিবারিক এবং আর্থিকভাবে অবর্ননীয় ক্ষতির শিকার হয়েও জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রেরণায় পাড়ি দিয়েছেন দীর্ঘ পথ। স্ত্রী, সন্তান কিংবা স্বজন কেউই বাদ যায়নি ফ্যাসিস্ট হাসিনার নির্মম অত্যাচার থেকে।
স্বৈরাচারী সরকারের রোষানলে পড়ায় দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর স্বাভাবিক জীবন যাপনের স্বপ্নটা ছিল অনেকটা দুঃস্বপ্নের মতো-এমনটাই বলছিলেন নরসিংদীর ত্যাগী এই রাজনেতিক নেতা। দলীয় নেতা-কর্মীদের ভূমিকা প্রসঙ্গে নরসিংদী জেলা যুবদল নেতা আমজাদ হোসেন বলেন, জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী বিএনপির লক্ষ লক্ষ নেতা-কর্মী ২০০৯ সাল থেকে হাসিনার পতন অবধি যেমন সোচ্চার ছিলেন তেমনি হাজার হাজার নেতা-কর্মী উৎসর্গ করেছিলেন স্বৈরাচারমুক্ত দেশ গঠনের চেতনায়। সমৃদ্ধ একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যাশায় সাধারণ মানুষের পাশে থেকে জীবনের বাকীটা সময় কাটিয়ে দিতে চান শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক আমজাদ হোসেন এবং দল তার ত্যাগের মূল্যায়ন করলে ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ইমানী দায়িত্ব মনে করে কাজ করে যেতে চান আমজাদ হোসেন। বর্তমান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারুণ্যের অহংকার জননেতা তারেক রহমানের নির্দেশে ৩১ দফা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে আশা রাখি এর ব্যত্যয় ঘটাবে না। দলীয় নীতির বাইরে কোন অপরাধ করলে দল থেকেই তার ব্যবস্থা করবে। এছাড়া দুর্নীতি পরায়ন ও চাঁদাবাজদের কোন স্থান নেই বলে দূঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে মতামতে তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সব সময় নির্বাচনমুখী গণতান্ত্রিক মানসিকতার ছিলেন বলেই কখনো অন্যায় ভাবে ক্ষমতা যাওয়ার প্রচেষ্টা করেননি। তাঁর শাসন আমলে মেয়াদ শেষ হওয়ার পরপরই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার ক্ষেত্রে তিনি সবসময় সোচ্চার ছিলেন। এই আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এবং মানুষের মনের মনিকোঠায় স্থান করে নেয়া এবং জনগণের পাশে থেকে কাজ করার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
বিএনপির ত্যাগী নেতা আমজাদ হোসেন আরো বলেন, আমার রাজনীতির সাধারণ মানুষের জন্য, আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের কর্মী ছিলাম আছি এবং থাকবো, ঠিক একই ভাবে বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব, নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি আমার নেতা, আমার অহংকার জননেতা খায়রুল কবির খোকন ভাইয়ের নির্দেশে পূর্বেও আপোষহীন ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকবো ইনশাল্লাহ।