সংবাদ শিরোনাম ::
বিজয়নগর সীমান্তে বিএসএফের পুশইনের চেষ্টা, বিজিবি-জনতার প্রতিরোধে ব্যর্থ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা
- আপডেট সময় : ০১:৩৮:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫ ৭ বার পড়া হয়েছে
গভীর রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নাগরিকদেরকে পুশইনের চেষ্টা করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। তাত্ক্ষণিকভাবে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও স্থানীয় জনতার কঠোর প্রতিরোধের মুখে তারা সেটা করতে ব্যর্থ হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতভর সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করে। তবে পরিস্থিতি টের পেয়ে বিএসএফ সরে যাওয়ায় কোনো সমস্যা দেখা দেয়নি। এ ঘটনায় বিজয়নগর উপজেলার সিংগারবিল ইউনিয়নের নলগড়িয়া ও নোয়াবাদী ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে টহল জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি)।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা বিমানবন্দরের পাশের গেটের কাছে প্রায় ১৫০ জন ভারতীয় নাগরিককে জড়ো করা হয়েছে বলে জানা যায়। গোপন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়টি জানার পর বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি) উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে তিনগুণ বেশি সতর্কতা অবলম্বন করে সারা রাতভর সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়।
অন্য একটি সুত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের সীমান্ত দিয়ে ওই ৭৫০ জনকে পুশইন করতে জড়ো হয় বিএসএফ। খবর পেয়ে সতর্ক অবস্থান নেয় বিজিবি। এদিকে পুশইনের খবরে স্থানীয় মসজিদগুলোতে রাতে মাইকিং করা হয়। এতে এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। মসজিদের মাইকে ঘোষণা শুনে সিঙ্গারবিল, বিষ্ণুপুর, নলঘরিয়া, মেরাসানী, নোয়াবাদী সীমান্তে শত শত লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়। অনেকে ফেসবুকে লাইভে এসে লোকজনকে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানান। এতে শত শত লোক জড়ো হয়ে পড়লে পিছু হটে বিএসএফ।
সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা জানান, বিজিবির টহল তৎপরতা বেড়ে গেলে সীমান্ত এলাকার গ্রামবাসীদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় কয়েকটি মসজিদ থেকে মাইকিং করে এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ তিনি রাত ৩.৩৩ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক বার্তায় জানান বিজয়নগর উপজেলার সিংগারবিল ইউনিয়ন বাসীকে যাদের যা কিছু আছে তা নিয়ে ভারতীয় সীমান্তে চলে আসার আহবান জানান। পাশাপাশি বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি)কে সহায়তা করার অনুরোধ করেন। ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে। ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ঘটনাস্থলের ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ে, যা আরও আতঙ্ক বাড়িয়ে দেয়।
বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাধনা ত্রিপুরা বলেন, সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। পুশইনের চেষ্টার খবরে জনগণ বিজিবির সঙ্গে থেকে প্রতিহত করেছে। এখনও সতর্ক অবস্থানে আছেন সবাই।
২৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাব্বার আহমেদ বলেন, বর্তমানে দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে আমরা সীমান্ত এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছি। বিএসএফ পুশইন করবে বলে খবর আসে। এ অবস্থায় বিজিবি সতর্ক অবস্থান নেয়। পাশাপাশি স্থানীয় জনতা সীমান্তে জড়ো হয়। এখন পর্যন্ত এ সীমান্ত দিয়ে কোন অনুপ্রবেশ ঘটেনি। তবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে।