ঢাকা ০৩:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ফুলপুরে ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo দাগনভূঞা জিয়া পরিষদের উদ্যেগে অসুস্থ ব্যক্তিকে অনুদান হস্তান্তর Logo গোলাপগঞ্জে সেনা অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী একই পরিবারের ৪ জনসহ আটক ৬ Logo বকশীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান সহ আওয়ামীলীগের ৪ নেতা গ্রেফতার Logo জয়পুরহাটে জুলাই-আগষ্টের স্পিড স্মরণে সাইক্লিং প্রতিযোগিতা Logo জলবায়ু পরিবর্তন ও সচেতনতা বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতা ফেনীতে স্কুল পর্যায়ে অনুষ্ঠিত Logo নালিতাবাড়ীতে মাদকাসক্ত স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে স্ত্রীর বিষপানে আত্মহত্যা Logo শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে প্রশাখার ২০ বছর পূর্তি উদযাপন Logo সুন্দরবনের কৈখালী থেকে অস্ত্র ও গুলি জব্দ করেছে কোস্টগার্ড Logo টেকনাফে কোস্টগার্ডের অভিযানে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ

বিয়ের ১০ বছর পর একইসঙ্গে ৩ সন্তানের জন্ম দিলেন পলিরানী

মো: তাারিফুল প্রধান
  • আপডেট সময় : ৩২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রতিটি শিশুর জন্মের মুহূর্তটি আনন্দঘন। তবে সেখানেও মিশে থাকে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। কারণ শিশু পৃথিবীতে না আসা পর্যন্ত মা ও শিশু উভয়ে থাকেন ঝুঁকিতে। আর সন্তান ধারণের পর থেকে চ্যালেঞ্জিং সময় পার করেন একজন মা। সেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে এবার একইসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিলেন পলিরানী সরকার নামের এক গৃহবধূ। এখন এই শিশুদের স্বাস্থ্যসেবায় দুশ্চিন্তায় এ পরিবারটি।

সম্প্রতি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর জামুডাঙ্গা (সরকারপাড়া) গ্রামের তপন চন্দ্র সরকারের স্ত্রী পলিরানী সরকার একই সঙ্গে জন্ম দিয়েছেন ৩ সন্তান।

স্থানীয়রা বলছেন, প্রায় ১০ বছর আগে জামুডাঙ্গা (সরকারপাড়া) গ্রামের অনুকুল সরকারের মেয়ে পলিরানী সরকারকে বিয়ে করেন একই গ্রামের তপন চন্দ্র সরকার। সেই থেকে সন্তান সম্ভাব্য না হওয়ায় বিভিন্ন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয় এই দম্পতি। এরই একপর্যায়ে পলিরানী গর্ভধারণ করেন। গত ২৮ জুন প্রসবের জন্য রংপুর নবজাতক, শিশু ও প্রসূতিসেবা হাসপাতালে পলিরানীকে ভর্তি করায় স্বজনরা। সেখানে অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে একে-একে তিন শিশুর জন্ম হয়। এর মধ্যে দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। এ হাসপাতালে ১৮ দিন চিকিৎসাসেবার পর এখন নিজ বাড়িতে রয়েছে মা ও শিশুরা।

এদিকে, বিয়ের ১০ বছর পর একই সঙ্গে তিন শিশু জন্মের খবর পেয়ে একনজর দেখতে উৎসুক নারী-পুরুষের ঢল নামছে ওই বাড়িতে। আর প্রতিদিন তাদের খাওয়ানো হচ্ছে মিষ্টি।

শিশুদের দেখতে আসা পূর্ণিমা রানী সরকার বলেন, একইসঙ্গে তিন শিশু জন্মের খবর পেয়ে একনজর দেখতে এসেছি। দেখে অনেকটা ভালো লাগলো। আশির্বাদ করি মা ও শিশুরা যেনো সুস্থ থাকেন।

এ বিষয়ে তপন চন্দ্র সরকার বলেন, সৃষ্টিকর্তার কাছে অনেক প্রার্থনা করে একইসঙ্গে তিন সন্তান পেয়ে অনেকটা খুশি আমরা। তবে ইতোমধ্যে চিকিৎসাসেবায় প্রায় ৭ লাখের বেশি টাকা খরচ হয়েছে। এখন প্রায় নিঃশ্ব। শুধুমাত্র বুকে দুধপানে শিশুরা বেঁচে আছে। সরকারি-বেসরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে উপকৃত হতাম।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র রায় বলেন, একইসঙ্গে তিন সন্তানের জন্মের খবর শুনে অনেকাটা ভালো লাগলো। খোঁজ নিয়ে মা ও শিশুর সহযোগীতার চেষ্টা করা হবে।

এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাহিনুল ইসলাম মন্ডলের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় কিন্তু রিসিভ না করে একাধিকবার কল কেটে দিয়েছেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিয়ের ১০ বছর পর একইসঙ্গে ৩ সন্তানের জন্ম দিলেন পলিরানী

আপডেট সময় :

প্রতিটি শিশুর জন্মের মুহূর্তটি আনন্দঘন। তবে সেখানেও মিশে থাকে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। কারণ শিশু পৃথিবীতে না আসা পর্যন্ত মা ও শিশু উভয়ে থাকেন ঝুঁকিতে। আর সন্তান ধারণের পর থেকে চ্যালেঞ্জিং সময় পার করেন একজন মা। সেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে এবার একইসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিলেন পলিরানী সরকার নামের এক গৃহবধূ। এখন এই শিশুদের স্বাস্থ্যসেবায় দুশ্চিন্তায় এ পরিবারটি।

সম্প্রতি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার দামোদরপুর জামুডাঙ্গা (সরকারপাড়া) গ্রামের তপন চন্দ্র সরকারের স্ত্রী পলিরানী সরকার একই সঙ্গে জন্ম দিয়েছেন ৩ সন্তান।

স্থানীয়রা বলছেন, প্রায় ১০ বছর আগে জামুডাঙ্গা (সরকারপাড়া) গ্রামের অনুকুল সরকারের মেয়ে পলিরানী সরকারকে বিয়ে করেন একই গ্রামের তপন চন্দ্র সরকার। সেই থেকে সন্তান সম্ভাব্য না হওয়ায় বিভিন্ন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয় এই দম্পতি। এরই একপর্যায়ে পলিরানী গর্ভধারণ করেন। গত ২৮ জুন প্রসবের জন্য রংপুর নবজাতক, শিশু ও প্রসূতিসেবা হাসপাতালে পলিরানীকে ভর্তি করায় স্বজনরা। সেখানে অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে একে-একে তিন শিশুর জন্ম হয়। এর মধ্যে দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। এ হাসপাতালে ১৮ দিন চিকিৎসাসেবার পর এখন নিজ বাড়িতে রয়েছে মা ও শিশুরা।

এদিকে, বিয়ের ১০ বছর পর একই সঙ্গে তিন শিশু জন্মের খবর পেয়ে একনজর দেখতে উৎসুক নারী-পুরুষের ঢল নামছে ওই বাড়িতে। আর প্রতিদিন তাদের খাওয়ানো হচ্ছে মিষ্টি।

শিশুদের দেখতে আসা পূর্ণিমা রানী সরকার বলেন, একইসঙ্গে তিন শিশু জন্মের খবর পেয়ে একনজর দেখতে এসেছি। দেখে অনেকটা ভালো লাগলো। আশির্বাদ করি মা ও শিশুরা যেনো সুস্থ থাকেন।

এ বিষয়ে তপন চন্দ্র সরকার বলেন, সৃষ্টিকর্তার কাছে অনেক প্রার্থনা করে একইসঙ্গে তিন সন্তান পেয়ে অনেকটা খুশি আমরা। তবে ইতোমধ্যে চিকিৎসাসেবায় প্রায় ৭ লাখের বেশি টাকা খরচ হয়েছে। এখন প্রায় নিঃশ্ব। শুধুমাত্র বুকে দুধপানে শিশুরা বেঁচে আছে। সরকারি-বেসরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে উপকৃত হতাম।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র রায় বলেন, একইসঙ্গে তিন সন্তানের জন্মের খবর শুনে অনেকাটা ভালো লাগলো। খোঁজ নিয়ে মা ও শিশুর সহযোগীতার চেষ্টা করা হবে।

এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শাহিনুল ইসলাম মন্ডলের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় কিন্তু রিসিভ না করে একাধিকবার কল কেটে দিয়েছেন তিনি।