ঢাকা ০৮:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ, বিপাকে সাধারণ যাত্রী Logo ডামুড্যায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত Logo গোবিন্দগঞ্জে অপহরনকৃত মেয়েকে উদ্ধার ও জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo কেশবপুরে কুটির শিল্পের নতুন দিগন্ত খায়রুল আনাম Logo সোনাগাজীতে একের পর এক চুরি-ডাকাতি, অভিযোগে করেও মামলা হয় না Logo বিশ্বনাথে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান Logo নোয়াখালী জজ কোর্টের দোতলা থেকে লাফ দিয়ে আসামির পালানোর চেষ্টা Logo ‘বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণার্থীদের হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের সাথে মতবিনিময়’ Logo লাশ পোড়ানো অগ্নিসংযোগ ও জখম মামলায় আব্দুল লতিফ মোল্লাসহ ১৮জন গ্রেপ্তার Logo ঝিনাইগাতীর ৯ গ্রামের ভাগ্যচিত্র বদলে দিতে পারে এক ব্রীজে

বিরোধের জেরে কৃষকের বিরুদ্ধে ১০ মামলা, প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

গোদাগাড়ী প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ৪১৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পূর্ব বিরোধের জেরে এলাকার দরিদ্র কৃষক পরিবারের বিরুদ্ধে ১০ টি হয়রানিমূলক ও মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন বিসিএসে সুপারিশকৃত এক প্রশাসন ক্যাডার। গত ৫ বছরে তিনি ১০ টি মামলা করেছেন। গোদাগাড়ী উপজেলার পশুপতিপুর গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে মনিরুজ্জামানকে মামলাবাজ হিসেবে উল্লেখ করেন ভুক্তভোগী পরিবারসহ এলাকাবাসী। ২২ ফেব্রুয়ারী (শনিবার) সকাল ১০ টায় উপজেলা সদরের খাবারবাড়ি হোটেলে গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ঐ কৃষক পরিবারটি।ঐ সম্মেলনে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নাজমুল হোদার ছেলে আশিকুল ইসলাম।

লিখিত বক্তব্যে আশিকুল ইসলাম বলেন,আমি মোঃ আশিকুল ইসলাম (২৮), পিতাঃ মোঃ নাজমুল হোদা, সাং- পশুপতিপুর, থানাঃ গোদাগাড়ী, জেলাঃ রাজশাহী। আমি একজন পেশায় কাঠ মিস্ত্রি এবং আমার পরিবারের লোকজন অসহায় দরিদ্র কৃষক। আমরা এবং একই গ্রামের মনিরুজ্জামান প্রতিবেশী হই। পূর্ব বিরোধের জেরে মামলাবাজ মনিরুজ্জামান আমি এবং আমার পরিবারসহ গ্রামের অসহায় দরিদ্র কৃষকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে হয়রানি মূলক ও মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। মোঃ মনিরুজ্জামান, পিতাঃ মোঃ নুরুজ্জামান একজন বিসিএস সুপারিশকৃত প্রশাসন ক্যাডার। তিনি একজন মামলাবাজ প্রকৃতির লোক। তিনি একসময় রাজশাহীর আদালতে চাকুরীরত ছিলেন।

সে সুবাদে তিনি, আমি এবং আমার পরিবারসহ গ্রামের অসহায় দরিদ্র কৃষকের নামে প্রায় ১০টি মামলা দায়ের করেন। যা সম্পূর্ণ হয়রানি মূলক ও মিথ্যা মামলা। নুরুজ্জামান বিগত পতিত সরকারের আমলে একজন আওয়ামীলিগের দলীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন। তাদের মার্কেট সংলগ্ন এখনো আওয়ামীলিগের কার্যালয় আছে। সেই দলীয় প্রভাব কে কাজে লাগিয়ে আমার নামে ৫টি, আমার পিতা নাজমুল হোদার নামে ০৭টি, আমার ভাই মোঃ আব্দুর রহিমের নামে ৫টি ও আমার মাতা রমেশা বেগম এর নামে ১টি মামলা সহ গ্রামের ২০ জন মানুষের বিরুদ্ধে মোট ১০টি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেন এবং উক্ত মামালগুলো আওয়ামীলিগের ক্ষমতার অপব্যবহার করে তদন্ত ছাড়াই জোর পূর্বক আমাদের গ্রেপ্তার করে।
মামলাবজ মনিরুজ্জমানের রোষানলে পরে আমরা সর্বশ্য হারিয়েছি। আমাকে মনিরুজ্জামান ০১৭৮৭-৯২১৮৭৩ নম্বর থেকে র‍্যাব পরিচয়ে একাধিক বার তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি প্রদান করেছেন। মামলা গুলো রাজশাহীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ১, গোদাগাড়ী মডেল থানা ও রাজপাড়া, রাজশাহী থানায় দায়ের করেন। উক্ত মামলাগুলোর নম্বর গোদাগাড়ী মডেল থানায় ৭ অক্টোবর ২০২১ সালের মামলা নং- ২১, ৩ডিসেম্বর ২০২১ সালের মামলা নং- ৪২৩, ১৬নভেম্বর ২০২১ সালে মামলা নং- ৪২৬, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ সালে মামলা নং- ৪৩৩, ২০২২ সালের মামলা নং- ৪৩৭ পি, ৭ মার্চ ২০২১ সালের মামলা নং- ৪৪৯ পি, ২০২২ সালের মামলা নং- ৫১৬ পি, ১১ অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখে মামলা নং- ১৪৫৩৪ এবং রাজপাড়া থানায় ৮ নভেম্বর ২০২২ সালের মামলা নং- জিআর ৪৫৮/২২ সহ একাধিক হয়রানি মামলা তিনি গ্রাম আদালতেও করেছেন।

মামলাগুলোর বাদী হিসেবে কোন মামলায় মনিরুজ্জামান নিজে কোন মামলায় তার ভাই বদিউজ্জমান আবার কোন মামলায় তার দুলাভাই মতিনকে ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমার এবং পরিবার সহ গ্রামের অসহায় দরিদ্র লোকজনের দাবী পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের মিথ্যা বানোয়াট ও হয়রানি মূলক মামলাগুলো প্রত্যহার করতে হবে। এছাড়াও প্রশাসন সহ দেশের বর্তমান সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ আমাদের নামে করা মামলা গুলো সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত দোষীকে আইনের আওতায় আনা হোক।
ঐ এলাকার আমির হোসেন বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের মিথ্যা মামলায় পড়ে আমি আমার ৫ টি গরু খুইয়েছি। কেউ ধান বিক্রি করে মামলা চালিয়েছে আবার কেউ জমি বিক্রি করে। তার কেউ আবার চাকুরীও হারিয়েছেন। মনিরুজ্জামান বাড়ির মহিলাদেরকেও মামলায় ফাঁসিয়েছেন। তার মামলায় পড়ে আমরা সর্বশান্ত হয়েছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিরোধের জেরে কৃষকের বিরুদ্ধে ১০ মামলা, প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় :

পূর্ব বিরোধের জেরে এলাকার দরিদ্র কৃষক পরিবারের বিরুদ্ধে ১০ টি হয়রানিমূলক ও মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন বিসিএসে সুপারিশকৃত এক প্রশাসন ক্যাডার। গত ৫ বছরে তিনি ১০ টি মামলা করেছেন। গোদাগাড়ী উপজেলার পশুপতিপুর গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে মনিরুজ্জামানকে মামলাবাজ হিসেবে উল্লেখ করেন ভুক্তভোগী পরিবারসহ এলাকাবাসী। ২২ ফেব্রুয়ারী (শনিবার) সকাল ১০ টায় উপজেলা সদরের খাবারবাড়ি হোটেলে গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ঐ কৃষক পরিবারটি।ঐ সম্মেলনে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নাজমুল হোদার ছেলে আশিকুল ইসলাম।

লিখিত বক্তব্যে আশিকুল ইসলাম বলেন,আমি মোঃ আশিকুল ইসলাম (২৮), পিতাঃ মোঃ নাজমুল হোদা, সাং- পশুপতিপুর, থানাঃ গোদাগাড়ী, জেলাঃ রাজশাহী। আমি একজন পেশায় কাঠ মিস্ত্রি এবং আমার পরিবারের লোকজন অসহায় দরিদ্র কৃষক। আমরা এবং একই গ্রামের মনিরুজ্জামান প্রতিবেশী হই। পূর্ব বিরোধের জেরে মামলাবাজ মনিরুজ্জামান আমি এবং আমার পরিবারসহ গ্রামের অসহায় দরিদ্র কৃষকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে হয়রানি মূলক ও মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। মোঃ মনিরুজ্জামান, পিতাঃ মোঃ নুরুজ্জামান একজন বিসিএস সুপারিশকৃত প্রশাসন ক্যাডার। তিনি একজন মামলাবাজ প্রকৃতির লোক। তিনি একসময় রাজশাহীর আদালতে চাকুরীরত ছিলেন।

সে সুবাদে তিনি, আমি এবং আমার পরিবারসহ গ্রামের অসহায় দরিদ্র কৃষকের নামে প্রায় ১০টি মামলা দায়ের করেন। যা সম্পূর্ণ হয়রানি মূলক ও মিথ্যা মামলা। নুরুজ্জামান বিগত পতিত সরকারের আমলে একজন আওয়ামীলিগের দলীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন। তাদের মার্কেট সংলগ্ন এখনো আওয়ামীলিগের কার্যালয় আছে। সেই দলীয় প্রভাব কে কাজে লাগিয়ে আমার নামে ৫টি, আমার পিতা নাজমুল হোদার নামে ০৭টি, আমার ভাই মোঃ আব্দুর রহিমের নামে ৫টি ও আমার মাতা রমেশা বেগম এর নামে ১টি মামলা সহ গ্রামের ২০ জন মানুষের বিরুদ্ধে মোট ১০টি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেন এবং উক্ত মামালগুলো আওয়ামীলিগের ক্ষমতার অপব্যবহার করে তদন্ত ছাড়াই জোর পূর্বক আমাদের গ্রেপ্তার করে।
মামলাবজ মনিরুজ্জমানের রোষানলে পরে আমরা সর্বশ্য হারিয়েছি। আমাকে মনিরুজ্জামান ০১৭৮৭-৯২১৮৭৩ নম্বর থেকে র‍্যাব পরিচয়ে একাধিক বার তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি প্রদান করেছেন। মামলা গুলো রাজশাহীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ১, গোদাগাড়ী মডেল থানা ও রাজপাড়া, রাজশাহী থানায় দায়ের করেন। উক্ত মামলাগুলোর নম্বর গোদাগাড়ী মডেল থানায় ৭ অক্টোবর ২০২১ সালের মামলা নং- ২১, ৩ডিসেম্বর ২০২১ সালের মামলা নং- ৪২৩, ১৬নভেম্বর ২০২১ সালে মামলা নং- ৪২৬, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ সালে মামলা নং- ৪৩৩, ২০২২ সালের মামলা নং- ৪৩৭ পি, ৭ মার্চ ২০২১ সালের মামলা নং- ৪৪৯ পি, ২০২২ সালের মামলা নং- ৫১৬ পি, ১১ অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখে মামলা নং- ১৪৫৩৪ এবং রাজপাড়া থানায় ৮ নভেম্বর ২০২২ সালের মামলা নং- জিআর ৪৫৮/২২ সহ একাধিক হয়রানি মামলা তিনি গ্রাম আদালতেও করেছেন।

মামলাগুলোর বাদী হিসেবে কোন মামলায় মনিরুজ্জামান নিজে কোন মামলায় তার ভাই বদিউজ্জমান আবার কোন মামলায় তার দুলাভাই মতিনকে ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমার এবং পরিবার সহ গ্রামের অসহায় দরিদ্র লোকজনের দাবী পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের মিথ্যা বানোয়াট ও হয়রানি মূলক মামলাগুলো প্রত্যহার করতে হবে। এছাড়াও প্রশাসন সহ দেশের বর্তমান সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ আমাদের নামে করা মামলা গুলো সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত দোষীকে আইনের আওতায় আনা হোক।
ঐ এলাকার আমির হোসেন বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের মিথ্যা মামলায় পড়ে আমি আমার ৫ টি গরু খুইয়েছি। কেউ ধান বিক্রি করে মামলা চালিয়েছে আবার কেউ জমি বিক্রি করে। তার কেউ আবার চাকুরীও হারিয়েছেন। মনিরুজ্জামান বাড়ির মহিলাদেরকেও মামলায় ফাঁসিয়েছেন। তার মামলায় পড়ে আমরা সর্বশান্ত হয়েছি।