ঢাকা ০৪:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিলুপ্তির পথে দেশি প্রজাতির মাছ নগরকান্দায় অবৈধ চায়না দোয়ারি জালে সয়লাভ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ৩৭ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার খাল-বিল ও উন্মুক্ত জলাশয়ে অবৈধ চায়না দোয়ারি জাল দিয়ে নির্বিচারে মাছ শিকার চলায় ক্রমশ কমে আসছে দেশি প্রজাতির মাছ।
মাছে-ভাতে বাঙালি, এক সময়ের এই গর্বিত প্রবাদ আজ বিলুপ্তির পথে। আধুনিকতা ও প্রযুক্তির ছোঁয়ায় দেশের মৎস্য শিল্পে উন্নতি এলেও, এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ।
একসময় গ্রামীণ খাল-বিলে খেপলা জাল, পলো বা ঝুড়ি নিয়ে স্থানীয়রা মাছ শিকার করত। সেসব দেশি মাছেই মিটতো মানুষের আমিষের চাহিদা। কিন্তু এখন চায়না দোয়ারি জালের অবাধ ব্যবহার ছোট-বড় সব মাছকে একসঙ্গে ধরে ফেলছে, ফলে মাছের প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে এবং দেশীয় প্রজাতি বিলুপ্তির মুখে পড়ছে।
স্থানীয় জেলেরা জানান, এই জালে রুই, কাতলা, মৃগেলসহ প্রায় সব প্রজাতির মাছই ধরা পড়ে, এমনকি ডিমওয়ালা মা মাছও রক্ষা পায় না। তারা অভিযোগ করেন, উপজেলা মৎস্য অফিসের উদাসীনতা ও কার্যকর নজরদারির অভাবে অবৈধ জালের ব্যবহার দিন দিন বেড়ে চলেছে।
অভিযোগের দায় স্বীকার করে নগরকান্দা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহিল আবরার দায়ি করছেন জনবল সংকটকে, তিনি বলেন, অভিযান চালাতে হলে জনবল প্রয়োজন হয় যেটি আমাদের পর্যাপ্ত নেই। যার ফলে আমাদের নিয়মিত অভিযান চালাতে সমস্যা হচ্ছে।
নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দবির উদ্দিন বলেন, চায়না দোয়ারি জাল ধ্বংস করতে খুব শীঘ্রই আমাদের অভিযান পরিচালিত হবে।
অবিলম্বে অবৈধ চায়না দোয়ারি জাল ব্যবহার বন্ধ না করলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে নগরকান্দার খাল-বিল থেকে দেশীয় মাছ সম্পূর্ণ হারিয়ে যেতে পারে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন পরিবেশবিদরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বিলুপ্তির পথে দেশি প্রজাতির মাছ নগরকান্দায় অবৈধ চায়না দোয়ারি জালে সয়লাভ

আপডেট সময় :

ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার খাল-বিল ও উন্মুক্ত জলাশয়ে অবৈধ চায়না দোয়ারি জাল দিয়ে নির্বিচারে মাছ শিকার চলায় ক্রমশ কমে আসছে দেশি প্রজাতির মাছ।
মাছে-ভাতে বাঙালি, এক সময়ের এই গর্বিত প্রবাদ আজ বিলুপ্তির পথে। আধুনিকতা ও প্রযুক্তির ছোঁয়ায় দেশের মৎস্য শিল্পে উন্নতি এলেও, এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছ।
একসময় গ্রামীণ খাল-বিলে খেপলা জাল, পলো বা ঝুড়ি নিয়ে স্থানীয়রা মাছ শিকার করত। সেসব দেশি মাছেই মিটতো মানুষের আমিষের চাহিদা। কিন্তু এখন চায়না দোয়ারি জালের অবাধ ব্যবহার ছোট-বড় সব মাছকে একসঙ্গে ধরে ফেলছে, ফলে মাছের প্রজনন ব্যাহত হচ্ছে এবং দেশীয় প্রজাতি বিলুপ্তির মুখে পড়ছে।
স্থানীয় জেলেরা জানান, এই জালে রুই, কাতলা, মৃগেলসহ প্রায় সব প্রজাতির মাছই ধরা পড়ে, এমনকি ডিমওয়ালা মা মাছও রক্ষা পায় না। তারা অভিযোগ করেন, উপজেলা মৎস্য অফিসের উদাসীনতা ও কার্যকর নজরদারির অভাবে অবৈধ জালের ব্যবহার দিন দিন বেড়ে চলেছে।
অভিযোগের দায় স্বীকার করে নগরকান্দা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহিল আবরার দায়ি করছেন জনবল সংকটকে, তিনি বলেন, অভিযান চালাতে হলে জনবল প্রয়োজন হয় যেটি আমাদের পর্যাপ্ত নেই। যার ফলে আমাদের নিয়মিত অভিযান চালাতে সমস্যা হচ্ছে।
নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দবির উদ্দিন বলেন, চায়না দোয়ারি জাল ধ্বংস করতে খুব শীঘ্রই আমাদের অভিযান পরিচালিত হবে।
অবিলম্বে অবৈধ চায়না দোয়ারি জাল ব্যবহার বন্ধ না করলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে নগরকান্দার খাল-বিল থেকে দেশীয় মাছ সম্পূর্ণ হারিয়ে যেতে পারে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন পরিবেশবিদরা।