ঢাকা ১১:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত নিম্নাঞ্চল

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৪:৫২:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪ ৫৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

নোয়াখালি, ফেণী ও লক্ষীপুরে বানের জলে ভাসছে গ্রামের পর গ্রাম। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে লাখো মনুষ। আশ্রয়ের সন্ধ্যানে ছুটছে মানুষ।

মুহুরী, কহুয়া, সিলোনীয়া ও ফেণী নদীর পানি ফুঁসে ওঠেছে। ভাসিয়ে দিচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম।

টানা বৃষ্টিতে পদ্মা-মেঘনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে চাঁদপুর, লক্ষীপুরে প্লাবিত হয়েছে উপকূলীয় এলাকার কয়েকটি গ্রাম। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি ও বসতবাড়ি।

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ, চর মার্টিন, করইতলা ও চর লরেঞ্চ গ্রামগুলোর মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।

মেঘনার জোয়ারে প্লাবিত হচ্ছে মতিরহাট, নাছিরগঞ্জ ও মতাব্বর হাটসহ উপকূলীয় গ্রামগুলো। জোয়ার আসলে চৌধুরী বাজার থেকে নাছিরগঞ্জ সড়কটির অধিকাংশ এলাকা তলিয়ে যায়। যাতায়াতের জন্য ভাটা পর্যন্ত অপেক্ষা হয় এলাকাবাসীকে।

অতি জোয়ারে ভেসে গেছে মাছের ঘের। মেঘনা উপকূলে বেড়িবাঁধ না থাকায় এসব অঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হবার কথা জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। রামগতি ও কমলনগর মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা অনুমোদন হয়েছে।

কাজের ধীর গতির কারনে বাঁধ নির্মাণ পিছিয়ে যায়। দ্রুত বাঁধ নির্মাণ কাজটি সম্পন্ন করলে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়া থেকে রক্ষা হবে স্থানীয়রা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসেব মতে, নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় এক মিটার পানির উচ্চতা বেড়েছে। পূর্ণিমার প্রভাবে নদী উত্তাল থাকায় আরও অন্তত তিনদিন এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত নিম্নাঞ্চল

আপডেট সময় : ০৪:৫২:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

 

নোয়াখালি, ফেণী ও লক্ষীপুরে বানের জলে ভাসছে গ্রামের পর গ্রাম। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে লাখো মনুষ। আশ্রয়ের সন্ধ্যানে ছুটছে মানুষ।

মুহুরী, কহুয়া, সিলোনীয়া ও ফেণী নদীর পানি ফুঁসে ওঠেছে। ভাসিয়ে দিচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম।

টানা বৃষ্টিতে পদ্মা-মেঘনার পানি বৃদ্ধি পেয়ে চাঁদপুর, লক্ষীপুরে প্লাবিত হয়েছে উপকূলীয় এলাকার কয়েকটি গ্রাম। তলিয়ে গেছে ফসলি জমি ও বসতবাড়ি।

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ, চর মার্টিন, করইতলা ও চর লরেঞ্চ গ্রামগুলোর মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।

মেঘনার জোয়ারে প্লাবিত হচ্ছে মতিরহাট, নাছিরগঞ্জ ও মতাব্বর হাটসহ উপকূলীয় গ্রামগুলো। জোয়ার আসলে চৌধুরী বাজার থেকে নাছিরগঞ্জ সড়কটির অধিকাংশ এলাকা তলিয়ে যায়। যাতায়াতের জন্য ভাটা পর্যন্ত অপেক্ষা হয় এলাকাবাসীকে।

অতি জোয়ারে ভেসে গেছে মাছের ঘের। মেঘনা উপকূলে বেড়িবাঁধ না থাকায় এসব অঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হবার কথা জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। রামগতি ও কমলনগর মেঘনা নদীর তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা অনুমোদন হয়েছে।

কাজের ধীর গতির কারনে বাঁধ নির্মাণ পিছিয়ে যায়। দ্রুত বাঁধ নির্মাণ কাজটি সম্পন্ন করলে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়া থেকে রক্ষা হবে স্থানীয়রা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসেব মতে, নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় এক মিটার পানির উচ্চতা বেড়েছে। পূর্ণিমার প্রভাবে নদী উত্তাল থাকায় আরও অন্তত তিনদিন এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে।