ঢাকা ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কালিগঞ্জে নিরাপদ সড়ক দিবসে র‍্যালি ও আলোচনা সভা Logo মোংলায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালন Logo কক্সবাজারে পর্যটক নিরাপত্তায় রিজিয়ন ট্যুরিস্ট পুলিশের এডিআইজি আপেল মাহমুদ Logo সিরাজদিখানে গ্রাম পুলিশের মাঝে পোশাক ও অন্যান্য সামগ্রী বিতরণ Logo কালিগঞ্জে মাংসের দোকানে ভ্রাম্যমান আদালত Logo পলাশবাড়ী পৌরসভার বহুমুখী উন্নয়নে কাস্টার ডেভেলপমেন্ট প্ল্যান শীর্ষক দিনব্যাপি কর্মশালা Logo টেকনাফে পাহাড়ের পর সাগর পথে পাচার কালে ২৯ জন ভুক্তভোগী সহ মানব পাচারকারী চক্রের ৩ সদস্য আটক Logo তিতাসে বিএনপির লিপলেট বিতরণ Logo গোমস্তাপুরে জোরপূর্বক ধানীজমি দখলের চেষ্টা Logo কিশোরগঞ্জে রেলের গাছ কেটে বিক্রি করলেন কর্মচারীরা

বৃহত্তর ইসরায়েল গড়ার মিশনে নেতানিয়াহু

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ৬০১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বৃহত্তর ইসরায়েল গড়ার মিশনে নেতানিয়াহু, ঝুঁকিতে মিসর-জর্দানওবেনিয়ামিন নেতানিয়াহু
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ পরিকল্পনায় তিনি ‘ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক’ এক মিশনে রয়েছেন। এই পরিকল্পনায় ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের জন্য নির্ধারিত অঞ্চল ছাড়াও বর্তমান জর্দান ও মিসরের কিছু অংশ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ইসরায়েলি সম্প্রচারমাধ্যম আই২৪ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু তার মিশনকে ‘প্রজন্মের মিশন’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, যুগের পর যুগ ইহুদিরা এখানে আসার স্বপ্ন দেখেছে, আর আমাদের পরও বহু প্রজন্ম আসবে।
‘গ্রেটার ইসরায়েল’ ধারণাটি ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর প্রচলিত হয়, যেখানে দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেম, পশ্চিম তীর, গাজা, মিসরের সিনাই উপদ্বীপ এবং সিরিয়ার গোলান মালভূমি অন্তর্ভুক্ত। প্রথমদিকের জায়নিস্ট নেতা এবং লিকুদ পার্টির আদর্শিক গুরু জেভ জাবোটিনস্কি বর্তমান জর্দানকেও এই মানচিত্রে যুক্ত করেছিলেন।
সাক্ষাৎকারে সাবেক নেসেট সদস্য শ্যারন গাল তাকে ‘গ্রেটার ইসরায়েল’-এর মানচিত্র খোদাই করা একটি তাবিজ দেন। এ বিষয়ে তিনি কতটা সংযুক্ত—এমন প্রশ্নে নেতানিয়াহুর উত্তর, ‘খুবই’। লিকুদ পার্টির রিভিশনিস্ট জায়নিজম ভাবধারার কেন্দ্রে রয়েছে এই ‘গ্রেটার ইসরায়েল’ ধারণা। নেতানিয়াহু বরাবরই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের বিরোধিতা করেছেন।
সমালোচকদের অভিযোগ, অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে তিনি এমন বাস্তবতা তৈরি করছেন, যা ভবিষ্যতে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে অসম্ভব করে তুলবে। অনেক বিশ্লেষকের মতে, গাজায় চলমান হত্যাযজ্ঞ এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের গতি বাড়িয়ে দিচ্ছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার নেতানিয়াহু আরও বলেন, সামরিক বাহিনী গাজায় আরও বিস্তৃত হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে, এর মধ্যেই ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের অবরুদ্ধ গাজা থেকে চলে যেতে দেবে।
তিনি এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেন, প্রথমে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে, পরে চাইলে পুরো এলাকা থেকেও—আমরা তাদের যেতে দেব। ‘যুদ্ধ চলাকালীন গাজার ভেতরেই এই সুযোগ থাকবে, আর আমরা চাইলে গাজা থেকেও তাদের যেতে দিতে প্রস্তুত। ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামলা চালানো শুরু করে ২০২৩ সালের অক্টোবরে। সেই থেকে এ পর্যন্ত উপত্যকাটিতে ৬১ হাজার ৬১ হাজার ৬০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েল আন্তর্জাতিকভাবে চলমান নিন্দার মুখে রয়েছে। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এবং গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বৃহত্তর ইসরায়েল গড়ার মিশনে নেতানিয়াহু

আপডেট সময় :

বৃহত্তর ইসরায়েল গড়ার মিশনে নেতানিয়াহু, ঝুঁকিতে মিসর-জর্দানওবেনিয়ামিন নেতানিয়াহু
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘বৃহত্তর ইসরায়েল’ পরিকল্পনায় তিনি ‘ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক’ এক মিশনে রয়েছেন। এই পরিকল্পনায় ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের জন্য নির্ধারিত অঞ্চল ছাড়াও বর্তমান জর্দান ও মিসরের কিছু অংশ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ইসরায়েলি সম্প্রচারমাধ্যম আই২৪ নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু তার মিশনকে ‘প্রজন্মের মিশন’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, যুগের পর যুগ ইহুদিরা এখানে আসার স্বপ্ন দেখেছে, আর আমাদের পরও বহু প্রজন্ম আসবে।
‘গ্রেটার ইসরায়েল’ ধারণাটি ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর প্রচলিত হয়, যেখানে দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেম, পশ্চিম তীর, গাজা, মিসরের সিনাই উপদ্বীপ এবং সিরিয়ার গোলান মালভূমি অন্তর্ভুক্ত। প্রথমদিকের জায়নিস্ট নেতা এবং লিকুদ পার্টির আদর্শিক গুরু জেভ জাবোটিনস্কি বর্তমান জর্দানকেও এই মানচিত্রে যুক্ত করেছিলেন।
সাক্ষাৎকারে সাবেক নেসেট সদস্য শ্যারন গাল তাকে ‘গ্রেটার ইসরায়েল’-এর মানচিত্র খোদাই করা একটি তাবিজ দেন। এ বিষয়ে তিনি কতটা সংযুক্ত—এমন প্রশ্নে নেতানিয়াহুর উত্তর, ‘খুবই’। লিকুদ পার্টির রিভিশনিস্ট জায়নিজম ভাবধারার কেন্দ্রে রয়েছে এই ‘গ্রেটার ইসরায়েল’ ধারণা। নেতানিয়াহু বরাবরই ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের বিরোধিতা করেছেন।
সমালোচকদের অভিযোগ, অবৈধ বসতি সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে তিনি এমন বাস্তবতা তৈরি করছেন, যা ভবিষ্যতে স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে অসম্ভব করে তুলবে। অনেক বিশ্লেষকের মতে, গাজায় চলমান হত্যাযজ্ঞ এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের গতি বাড়িয়ে দিচ্ছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার নেতানিয়াহু আরও বলেন, সামরিক বাহিনী গাজায় আরও বিস্তৃত হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে, এর মধ্যেই ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের অবরুদ্ধ গাজা থেকে চলে যেতে দেবে।
তিনি এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেন, প্রথমে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে, পরে চাইলে পুরো এলাকা থেকেও—আমরা তাদের যেতে দেব। ‘যুদ্ধ চলাকালীন গাজার ভেতরেই এই সুযোগ থাকবে, আর আমরা চাইলে গাজা থেকেও তাদের যেতে দিতে প্রস্তুত। ইসরায়েলে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামলা চালানো শুরু করে ২০২৩ সালের অক্টোবরে। সেই থেকে এ পর্যন্ত উপত্যকাটিতে ৬১ হাজার ৬১ হাজার ৬০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েল আন্তর্জাতিকভাবে চলমান নিন্দার মুখে রয়েছে। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এবং গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা রয়েছে।