ঢাকা ০৪:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় বিএনপির কর্মীসম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo পঞ্চগড়ে পেনশন মেলার উদ্বোধন, আলোচনা সভা ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo তারাকান্দায় সিএনজি  ও বাস মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত ৬ Logo নওগাঁয় মন্দিরের জায়গা দখলচেষ্টা অভিযোগ অস্বীকার করে প্রতিবাদ সংবাদ সম্মেলন Logo কোম্পানীগঞ্জে প্রবাসীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, আটক-৪ Logo ফরিদপুর সদর উপজেলায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ  Logo তিতাসে ১৭০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ১ Logo কক্সবাজারের রামুতে ইসলামি ছাত্র শিবিরের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ ও চারা বিতরণ কর্মসূচি পালিত Logo কেশবপুরে  রিইব’র মানবাধিকার সুরক্ষা দলের ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত Logo নরসিংদীতে লটকন চাষীদের মাথায় হাত

বেইলি রোডে ট্রাজেডির জন্য দায়ি সীমাহিন লোভ : বাংলাদেশ ন্যাপ

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ০৪:১১:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪ ২৮৭ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

কমবেশি সবার অবহেলায় নিষ্ঠুর খেসারত দিতে হয় এই ধরনের অগ্নিকান্ডে

ঢাকায় একের পর এক আগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শতশত মানুষের প্রাণহানির মধ্যে বেইলি রোডের দুর্ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন করে ভাবার কোন উপায় নাই। বেইলি রোডে ট্রাজেডিসহ এ ধরনের দুর্ঘটনার জন্য দায়ি সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও মানুষের অতিরিক্ত লোভ বলে মন্তব্য করেন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূইয়া।

সোমবার ( ৪ মার্চ) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নেতৃদ্বয় এ মন্তব্য করে এ ধরনের ঘটনায় প্রাণহানির পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে প্রতিষ্ঠানের মালিকসহ অবহেলায় জড়িত সরকারি কর্তৃপক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দায় অনুযায়ী শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করলে মনে হয় মানুষ মরল নাকি বাঁচল, তা নিয়ে কারও কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। বেইলি রোডের ভবনটিতে যে ধরনের অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটেছে, তা আসলে গাফিলতিজনিত হত্যাকাণ্ড! অগ্নিকাণ্ডে মানুষের মৃত্যুর অন্যতম কারণ ভবনমালিক ও ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফার লোভ। একই সঙ্গে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের গাফিলতি, উদাসীনতা, দায়িত্বহীন এবং অন্যায় আচরণও এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী।

নেতৃদ্বয় আরও বলেন, সবকিছুর মূল্য বৃদ্ধি পেলেও মানুষের জীবনের মূল্য বৃদ্ধি পায় নাই। রোডের ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই মৃত্যুর দায় কার? ভবন মালিক, রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী, ফায়ার সার্ভিস, রাজউক, নাকি আমাদের পুরো ব্যবস্থার ? কমবেশি সবার অবহেলার নিষ্ঠুর খেসারত দিতে হয় এই ধরনের অগ্নিকান্ডের ফলে। কোনোভাবে এত মৃত্যু, এত আগুন মেনে নেয়া যায় না।

তারা বলেন, এর আগে ২০১০ সালে পুরাতন ঢাকার নিমতলীতে একটি রাসায়নিক গুদামে অনুরূপ দুর্ঘটনায় ১২৪ জনের মৃত্যু হয়। ২০১৯ সালে চকবাজারে একই ধরনের দুর্ঘটনায় ৭১ জন মানুষ মৃত্যুবরণ করে। একই বছর বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুন লেগে ২৭ জনের হানি ঘটে। হাসেম ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ এবং তাজরিন গার্মেন্টসহ এর আগে যে সকল অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটেছে তা থেকে বেইলি রোডের দুর্ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ভাবার উপায় নেই।

ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, বঙ্গবাজার, চুড়িহাট্টা, নিমতলীর বিভীষিকার রেশ এখনো কাটেনি। পুরান ঢাকার বাসাবাড়ি থেকে কেমিক্যাল গোডাউন পুরোপুরি উচ্ছেদ হয়নি। মনিটর করার অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো আগের মতোই দাঁড়িয়ে। এ কারণে ঢাকাজুড়ে বাণিজ্যিক ভবন আর পুরাতন মার্কেটগুলোর বেহাল দশা। সবাই ভবন গড়েন, ব্যবসা-বাণিজ্যর জন্য ভাড়া দেন, নিয়ম মানেন না।

সিটি করপোরেশন কোনো কিছুর খবর রাখে না। রেস্টুরেন্ট অনুমতি দেওয়ার দায়িত্ব ছিল তাদের। পরিবেশ অধিদফতর দিয়েছিল ছাড়পত্র। কী করে সবাই অনুমতি দিলেন? তাজরীন গার্মেন্ট, রানা প্লাজা বড় শিক্ষা দিয়েছিল। তারপরও কেউই ঠিক হননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বেইলি রোডে ট্রাজেডির জন্য দায়ি সীমাহিন লোভ : বাংলাদেশ ন্যাপ

আপডেট সময় : ০৪:১১:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪

 

কমবেশি সবার অবহেলায় নিষ্ঠুর খেসারত দিতে হয় এই ধরনের অগ্নিকান্ডে

ঢাকায় একের পর এক আগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শতশত মানুষের প্রাণহানির মধ্যে বেইলি রোডের দুর্ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন করে ভাবার কোন উপায় নাই। বেইলি রোডে ট্রাজেডিসহ এ ধরনের দুর্ঘটনার জন্য দায়ি সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও মানুষের অতিরিক্ত লোভ বলে মন্তব্য করেন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূইয়া।

সোমবার ( ৪ মার্চ) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নেতৃদ্বয় এ মন্তব্য করে এ ধরনের ঘটনায় প্রাণহানির পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে প্রতিষ্ঠানের মালিকসহ অবহেলায় জড়িত সরকারি কর্তৃপক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দায় অনুযায়ী শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করলে মনে হয় মানুষ মরল নাকি বাঁচল, তা নিয়ে কারও কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। বেইলি রোডের ভবনটিতে যে ধরনের অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটেছে, তা আসলে গাফিলতিজনিত হত্যাকাণ্ড! অগ্নিকাণ্ডে মানুষের মৃত্যুর অন্যতম কারণ ভবনমালিক ও ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফার লোভ। একই সঙ্গে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের গাফিলতি, উদাসীনতা, দায়িত্বহীন এবং অন্যায় আচরণও এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী।

নেতৃদ্বয় আরও বলেন, সবকিছুর মূল্য বৃদ্ধি পেলেও মানুষের জীবনের মূল্য বৃদ্ধি পায় নাই। রোডের ভয়াবহ আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই মৃত্যুর দায় কার? ভবন মালিক, রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ী, ফায়ার সার্ভিস, রাজউক, নাকি আমাদের পুরো ব্যবস্থার ? কমবেশি সবার অবহেলার নিষ্ঠুর খেসারত দিতে হয় এই ধরনের অগ্নিকান্ডের ফলে। কোনোভাবে এত মৃত্যু, এত আগুন মেনে নেয়া যায় না।

তারা বলেন, এর আগে ২০১০ সালে পুরাতন ঢাকার নিমতলীতে একটি রাসায়নিক গুদামে অনুরূপ দুর্ঘটনায় ১২৪ জনের মৃত্যু হয়। ২০১৯ সালে চকবাজারে একই ধরনের দুর্ঘটনায় ৭১ জন মানুষ মৃত্যুবরণ করে। একই বছর বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুন লেগে ২৭ জনের হানি ঘটে। হাসেম ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ এবং তাজরিন গার্মেন্টসহ এর আগে যে সকল অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটেছে তা থেকে বেইলি রোডের দুর্ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ভাবার উপায় নেই।

ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, বঙ্গবাজার, চুড়িহাট্টা, নিমতলীর বিভীষিকার রেশ এখনো কাটেনি। পুরান ঢাকার বাসাবাড়ি থেকে কেমিক্যাল গোডাউন পুরোপুরি উচ্ছেদ হয়নি। মনিটর করার অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো আগের মতোই দাঁড়িয়ে। এ কারণে ঢাকাজুড়ে বাণিজ্যিক ভবন আর পুরাতন মার্কেটগুলোর বেহাল দশা। সবাই ভবন গড়েন, ব্যবসা-বাণিজ্যর জন্য ভাড়া দেন, নিয়ম মানেন না।

সিটি করপোরেশন কোনো কিছুর খবর রাখে না। রেস্টুরেন্ট অনুমতি দেওয়ার দায়িত্ব ছিল তাদের। পরিবেশ অধিদফতর দিয়েছিল ছাড়পত্র। কী করে সবাই অনুমতি দিলেন? তাজরীন গার্মেন্ট, রানা প্লাজা বড় শিক্ষা দিয়েছিল। তারপরও কেউই ঠিক হননি।