বেনাপোলে ধানের গোলাঘর থেকে পিস্তলসহ আটক ১
- আপডেট সময় : ৩৭ বার পড়া হয়েছে
বেনাপোল সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে ধান রাখার গোলাঘর থেকে একটি পিস্তলসহ আতাউর রহমান (৩৭) নামে এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ভোরে দৌলতপুর গ্রামের উত্তরপাড়া থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক আতাউর বেনাপোল পোর্ট থানার ওই গ্রামের সোলাইমান হোসেনের ছেলে।
বিজিবি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনে দৌলতপুর বিওপির বিজিবির একটি দল দৌলতপুর গ্রামের উত্তরপাড়ায় অভিযান চালিয়ে ধান রাখার গোলাঘরে তল্লাশি করে পিস্তলসহ আতাউর রহমান নামে এক যুবককে আটক করা হয়।
খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল খুরশিদ আনোয়ার জানান, আটকের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
যমুনা নদীর ভাঙ্গনে দিশেহারা আখচাষীরা, সুগার মিলেও নিচ্ছে না আখ হাফিজ লিটন ইসলামপুর থেকে: যমুনা নদীর তীব্র ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার আখ চাষীরা। নদী ভাঙনে মুহূর্তের মধ্যে বিলীন হয়ে যাচ্ছে আখক্ষেত, বসতভিটা আর ফসলি জমি। এদিকে স্থানীয় সুগার মিলে আখ না নেওয়ায় চাষীরা পড়েছেন চরম বিপাকে।
উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের নতুনপাড়া এলাকায় কয়েক দিন ধরেই যমুনার ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। হঠাৎ নদীর পানি কমে যাওয়ার পর থেকেই দেখা দেয় ভাঙন। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে একের পর এক জমি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে।
স্থানীয় আখচাষী বাহাজ উদ্দিন আকন্দ জানান, তাঁর দুই একর আখক্ষেত সম্পূর্ণ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। একই এলাকার সাইফুল ইসলাম, কামরুল হক ও দুদু মিয়ার প্রায় পাঁচ একর জমিও নদী ভাঙনে হারিয়ে গেছে। স্থানীয়দের হিসেবে, এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ বিঘা আখক্ষেত ও ফসলি জমি নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে।
আরেক চাষী সোহানুর বলেন বছরের পর বছর কষ্ট করে আখ চাষ করলেও এবার হঠাৎ ভাঙনে সব শেষ হয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে মিল কর্তৃপক্ষ আখ সংগ্রহ করছেনা, তারা বিক্রিও করতে দিচ্ছেনা! ফলে দ্বিগুণ ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে আমাদের।
আখচাষি সাইফুল ইসলাম বলেন, নদী ভাঙনে জমি গেছে, সুগার মিলেও নিচ্ছে না আখ। কোথায় যাব, কার কাছে বলব, বুঝে উঠতে পারছি না।
এদিকে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ভাঙন প্রতিরোধে প্রশাসন বা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে এখনো কোনো কার্যকর উদ্যোগ দেখা যায়নি। দ্রুত যমুনা তীর সংরক্ষণের দাবি জানিয়েছেন। তাদের আশঙ্কা, দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে পুরো নতুনপাড়া গ্রামই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
নোয়ারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার রোমান হাসান বলেন, বর্তমানে ভাঙনের বিষয়টি আমি জানি না, তবে খোঁজ নিয়ে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানাবো।
দেওয়ানগঞ্জ জিল বাংলা সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ তরিকুল আলম জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত জমির আখগুলো বীজ হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জামালপুর জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নকিবুজ্জামান খান বলেন, ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে এবং প্রকল্প গ্রহণের জন্য ব্যবস্থা করা হবে।


















