ঢাকা ০৮:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

বেনাপোল চেকপোস্টে ভোগান্তিতে যাত্রীরা

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০১:৩৯:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ২৪৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বেনাপোল চেকপোস্টের সোনালী ব্যাংক বুথে ভ্রমণকরের রসিদ (ট্যাক্স টোকেন) না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। গতকাল রোববার সকালে ব্যাংকের বুথ থেকে কোনো যাত্রী ভ্রমণকরের রসিদ সংগ্রহ করতে পারেননি। ভুক্তভোগী যাত্রী সেলিম রেজা জানান, ভ্রমণকরের রসিদ তো আর একদিনে শেষ হয়ে যায়নি। আগে থেকে রসিদ বই ছাপানো উচিত ছিল। সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাধারণ যাত্রীদের দেশের অন্য কোনো সোনালী ব্যাংক কিংবা অনলাইনে ভ্রমণকর পরিশোধ করে তারপর বর্ডারে আসার কথা বললে আজ শীতের এ সকালে লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে কষ্ট করা লাগতো না।

এ অবস্থায় বুথে চারটি ডেস্কের দুটিতে অনলাইনে ভ্রমণকর কাটতে দেখা গেলেও একেকটি ভ্রমণকর দিতে ৪-৫ মিনিট সময় লাগছে। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। ভারত ভ্রমণে আসা ঢাকার যাত্রী মাসুদ রানা বলেন, ভারতে বেড়াতে যাওয়ার উদ্দেশে রোববার ভোর ৫টা থেকে ভ্রমণকর দেওয়ার জন্য বেনাপোল চেকপোস্ট প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সোনালী ব্যাংক বুথের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। ভোর ৬টা ২৫ মিনিটের সময় ব্যাংকের লোকজন জানায় ভ্রমণকরের রসিদ শেষ। রয়েল পরিবহনের সহকারী ম্যানেজার মুকুল হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে আমার পরিবহনের দুটি গাড়িতে ৫২ জন পাসপোর্টধারী যাত্রী ভারতে যাওয়ার জন্য আসে। তাদের সহযোগিতা করার জন্য পরিবহনের লোকজন ব্যাংকে গেলে ভ্রমণকর কাটতে না পেরে ফিরে এসে বাইরে থেকে ওই যাত্রীদের অনলাইনে ভ্রমণকর দিয়ে দুই ঘণ্টা পর তাদের ভারতে পাঠানো হয়। বেনাপোল চেকপোস্ট সোনালী ব্যাংকের ইনচার্জ রুহুল আমিন বলেন, হঠাৎ ব্যাংকে ভ্রমণকরের রসিদ শেষ হয়ে গেছে। আমরা ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে আগে থেকে জানিয়েছিলাম। রসিদ বই ছাপানোর কাজ চলমান রয়েছে বলে তারা আমাদের জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বেনাপোল চেকপোস্টে ভোগান্তিতে যাত্রীরা

আপডেট সময় : ০১:৩৯:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বেনাপোল চেকপোস্টের সোনালী ব্যাংক বুথে ভ্রমণকরের রসিদ (ট্যাক্স টোকেন) না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। গতকাল রোববার সকালে ব্যাংকের বুথ থেকে কোনো যাত্রী ভ্রমণকরের রসিদ সংগ্রহ করতে পারেননি। ভুক্তভোগী যাত্রী সেলিম রেজা জানান, ভ্রমণকরের রসিদ তো আর একদিনে শেষ হয়ে যায়নি। আগে থেকে রসিদ বই ছাপানো উচিত ছিল। সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাধারণ যাত্রীদের দেশের অন্য কোনো সোনালী ব্যাংক কিংবা অনলাইনে ভ্রমণকর পরিশোধ করে তারপর বর্ডারে আসার কথা বললে আজ শীতের এ সকালে লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে কষ্ট করা লাগতো না।

এ অবস্থায় বুথে চারটি ডেস্কের দুটিতে অনলাইনে ভ্রমণকর কাটতে দেখা গেলেও একেকটি ভ্রমণকর দিতে ৪-৫ মিনিট সময় লাগছে। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। ভারত ভ্রমণে আসা ঢাকার যাত্রী মাসুদ রানা বলেন, ভারতে বেড়াতে যাওয়ার উদ্দেশে রোববার ভোর ৫টা থেকে ভ্রমণকর দেওয়ার জন্য বেনাপোল চেকপোস্ট প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সোনালী ব্যাংক বুথের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। ভোর ৬টা ২৫ মিনিটের সময় ব্যাংকের লোকজন জানায় ভ্রমণকরের রসিদ শেষ। রয়েল পরিবহনের সহকারী ম্যানেজার মুকুল হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে আমার পরিবহনের দুটি গাড়িতে ৫২ জন পাসপোর্টধারী যাত্রী ভারতে যাওয়ার জন্য আসে। তাদের সহযোগিতা করার জন্য পরিবহনের লোকজন ব্যাংকে গেলে ভ্রমণকর কাটতে না পেরে ফিরে এসে বাইরে থেকে ওই যাত্রীদের অনলাইনে ভ্রমণকর দিয়ে দুই ঘণ্টা পর তাদের ভারতে পাঠানো হয়। বেনাপোল চেকপোস্ট সোনালী ব্যাংকের ইনচার্জ রুহুল আমিন বলেন, হঠাৎ ব্যাংকে ভ্রমণকরের রসিদ শেষ হয়ে গেছে। আমরা ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে আগে থেকে জানিয়েছিলাম। রসিদ বই ছাপানোর কাজ চলমান রয়েছে বলে তারা আমাদের জানিয়েছেন।