ভান্ডারিয়ায় রতিকান্তের ভাগ্যে জোটেনি বসতঘর
- আপডেট সময় : ০৭:৫০:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫ ৫১ বার পড়া হয়েছে
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার মানসিক প্রতিবন্ধী রতি কান্ত হাওলাদার (৫৫) ছয় সদস্যের পরিবার নিয়ে মানবতার জীবনযাপন করছেন। মানুষিক প্রতিবন্ধী পরিবারটি পেটের দায়ে বাড়ির আঙিনার বনবাঁদার থেকে কলমি, এলোনচা ও কচুর শাক সংগ্রহ করে হাটে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।
বসতির জমিটুকু ছাড়া কিছুই নেই । এ অসহায় পরিবারটির নেই একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই। রোদ বৃষ্টি আর ঝড়ে বিপন্ন পরিবারটি চরম কষ্টে বেঁচে আছেন। জানাগেছে, উপজেলার ধাওয়া ইউনিয়নের পশারীবুনিয়া সাত নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রয়াত নিরোধ বিহারীর ছেলে রতি কান্ত হাওলাদার।
রতি কান্ত মানসিক প্রতিবন্ধী সেই সাথে তার স্ত্রীও মানসিক প্রতিবন্ধী এই মানসিক প্রতিবন্ধী দম্পতির পরিবারে রয়েছে চার মেয়ে। বড় মেয়ে রত্না হাওলাদার (১৩) জানায়, সে পঞ্চম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষা দিয়েছে কিন্তু উত্তীর্ণ হলেও নতুন স্কুলে ভর্তি হতে পারবে কিনা তা নিয়ে শংকিত। পেটে ভাত নেই অন্যের দেয়া কিছু কাপড় পরে স্কুলে যেতে হয়। চরম দারিদ্র পরিবারে এখন চরম বিপর্যস্ত অবস্থা।
রত্না বলে, ঘর না থাকায় এই শীতে আমরা কষ্টে আছি। কেউ দেখার নাই। একটি ঘরের অভাবে আমাদের কস্ট হচ্ছে। আমার বাবা শারীরিক অসুস্থতার কারণে তেমন কোনো কাজ করতে পারে না। আমাদের অনেক কষ্টে দিন কাটছে। আমাদের পরিবারের মাথাগোঁজার জন্য একটা ঘরের জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানাই।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ ইদ্রিস আলী মোল্লা জানান আমি সবে মাত্র দায়িত্ব গ্রহণ করেছি, রতিকান্তের এই অবস্থা আমি শুনেছি আমার কাছে আসলে আমার পরিষদের পক্ষ থেকে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। তবে আপাতত তাকে একটি প্রতিবন্ধী ভাতা করে দেয়ার চেষ্টা করব।
এ ব্যাপারে ভান্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইয়াছিন আরাফাত রানা বলেন, রতি কান্তের পরিবারের ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই। বিষয়টি খুবই মানবিক, খোঁজ নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অসহায় পরিবারটির পাশে থাকার উদ্যোগ নেওয়া হবে।