ঢাকা ০৪:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মুন্সীগঞ্জে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা Logo গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে এনসিপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মাহমুদ মোত্তাকিম Logo গোমস্তাপুরের ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন Logo নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের অর্থায়নে বিশ্বনাথে ‘সমতায় তারুণ্য’ প্রকল্পের উদ্বোধন Logo পলাশবাড়ীতে সুবিধাভোগীদের মাঝে ভিডাব্লিউবির চাল বিতরণ Logo সুন্দরবনে অস্ত্র ও গুলিসহ বনদস্যু দুলাভাই বাহিনীর সহযোগী আটক Logo মধ্যরাতে কোস্ট গার্ডের অভিযান, তিন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার Logo নকলা কৃষি অফিসারের উপর হামলার প্রতিবাদে শ্রীবরদীতে কলম বিরতি Logo শ্রীবরদীতে আদিবাসীর অর্ধশতাধিক সুপারি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ Logo ফেনী-২ আসনের বিএনপির যৌথ প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত

ভারতের টাটা ব্যর্থ : নাক রিকনস্ট্রাকশন সার্জারি করে নজির গড়লো বাংলাদেশ

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ৪৯৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

নেপাল, মালদ্বীপের মতো সার্ক ভুক্ত দেশগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা ও প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেবে বাংলাদেশ

ভুটানের ২৩ বছর বয়সী কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী কারমা দেমা। কয়েক বছর আগে নাকে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। ভারতের টাটা মেমোরিয়াল হসপিটালে চিকিৎসায় ক্যানসারমুক্ত হলেও রেডিওথেরাপিজনিত জটিলতায় নাক নষ্ট হয়ে যায়। সেখানে দুই দফা অপারেশনেও নাক পুনর্গঠনে ব্যর্থ হয় চিকিৎসকেরা।

গত ৯ জানুয়ারি শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারিতে সার্জনদের তিনটি টিম যৌথভাবে প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে নাক রিকনস্ট্রাকশন সার্জারি করে কারমা দেমার। পুরো সার্জারির তত্ত্বাবধানে ছিলেন বার্ন ইনস্টিটিউটের তৎকালীন প্রধান সমন্বয়ক ও বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

২০২৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বরে বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের তৎকালীন প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেনের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ প্লাস্টিক সার্জারি টিম ভুটানে গিয়েছিল।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দুই দেশের সরকারের উদ্যোগে ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে সাত দিনব্যাপী প্লাস্টিক সার্জারি ক্যাম্প পরিচালিত হয়। সেই ক্যাম্পে বাংলাদেশের সার্জনরা ১৬টি সফল জটিল প্লাস্টিক সার্জারি করেন। সেই ক্যাম্পেই প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে নাক ঠিক করার জন্য কারমা দেমাকে নিয়ে আসা হয়েছিল।

ভুটানে কোনো প্লাস্টিক সার্জারি ডিপার্টমেন্ট নেই। সেখানে কারমার সার্জারির ব্যবস্থা ছিল না। একারণে বাংলাদেশের প্লাস্টিক সার্জনরা তাকে বাংলাদেশে আসতে বলে। পরে দুই দেশের সরকারের সহযোগিতায় কারমা দেমা ও তার এক ভাই গত ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশে চিকিৎসার জন্য এসে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়।

মেডিকেল ভিসা নিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে চিকিৎসা নিতে আসেন ভুটানের কারমা দেমা। এরই মধ্যে তার চিকিৎসা শেষ হয়েছে। দেশে ফিরবেন সোমবার (১ এপ্রিল)। রোববার (৩১ মার্চ) সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সোমবার সকাল ৯টায় এর ফ্লাইটে ভুটানের তরুণী কারমা দেমা ও তার ভাই দেশে ফিরে যাবেন। সফল অপারেশন শেষে কামরা দেমাকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছিল। সে সুস্থ হয়ে ওঠায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে ডিসচার্জ করা হয়েছে।

এটা দেশের স্বাস্থ্যখাতের ইতিহাসে বড় সাফল্য। এখন নেপাল, মালদ্বীপের মতো সার্ক ভুক্ত দেশগুলোতে আমরা স্বাস্থ্যসেবা ও প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেব আমরা।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ভারতের টাটা ব্যর্থ : নাক রিকনস্ট্রাকশন সার্জারি করে নজির গড়লো বাংলাদেশ

আপডেট সময় :

 

নেপাল, মালদ্বীপের মতো সার্ক ভুক্ত দেশগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা ও প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেবে বাংলাদেশ

ভুটানের ২৩ বছর বয়সী কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী কারমা দেমা। কয়েক বছর আগে নাকে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। ভারতের টাটা মেমোরিয়াল হসপিটালে চিকিৎসায় ক্যানসারমুক্ত হলেও রেডিওথেরাপিজনিত জটিলতায় নাক নষ্ট হয়ে যায়। সেখানে দুই দফা অপারেশনেও নাক পুনর্গঠনে ব্যর্থ হয় চিকিৎসকেরা।

গত ৯ জানুয়ারি শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারিতে সার্জনদের তিনটি টিম যৌথভাবে প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে নাক রিকনস্ট্রাকশন সার্জারি করে কারমা দেমার। পুরো সার্জারির তত্ত্বাবধানে ছিলেন বার্ন ইনস্টিটিউটের তৎকালীন প্রধান সমন্বয়ক ও বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

২০২৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বরে বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের তৎকালীন প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেনের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ প্লাস্টিক সার্জারি টিম ভুটানে গিয়েছিল।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দুই দেশের সরকারের উদ্যোগে ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে সাত দিনব্যাপী প্লাস্টিক সার্জারি ক্যাম্প পরিচালিত হয়। সেই ক্যাম্পে বাংলাদেশের সার্জনরা ১৬টি সফল জটিল প্লাস্টিক সার্জারি করেন। সেই ক্যাম্পেই প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে নাক ঠিক করার জন্য কারমা দেমাকে নিয়ে আসা হয়েছিল।

ভুটানে কোনো প্লাস্টিক সার্জারি ডিপার্টমেন্ট নেই। সেখানে কারমার সার্জারির ব্যবস্থা ছিল না। একারণে বাংলাদেশের প্লাস্টিক সার্জনরা তাকে বাংলাদেশে আসতে বলে। পরে দুই দেশের সরকারের সহযোগিতায় কারমা দেমা ও তার এক ভাই গত ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশে চিকিৎসার জন্য এসে বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়।

মেডিকেল ভিসা নিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে চিকিৎসা নিতে আসেন ভুটানের কারমা দেমা। এরই মধ্যে তার চিকিৎসা শেষ হয়েছে। দেশে ফিরবেন সোমবার (১ এপ্রিল)। রোববার (৩১ মার্চ) সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সোমবার সকাল ৯টায় এর ফ্লাইটে ভুটানের তরুণী কারমা দেমা ও তার ভাই দেশে ফিরে যাবেন। সফল অপারেশন শেষে কামরা দেমাকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছিল। সে সুস্থ হয়ে ওঠায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে ডিসচার্জ করা হয়েছে।

এটা দেশের স্বাস্থ্যখাতের ইতিহাসে বড় সাফল্য। এখন নেপাল, মালদ্বীপের মতো সার্ক ভুক্ত দেশগুলোতে আমরা স্বাস্থ্যসেবা ও প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেব আমরা।